এক যুগ আগে ৯৫ লাখ টাকা আত্মসাতের এক মামলায় ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের সাবেক পাঁচ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে আদালত।
Published : 09 Jul 2018, 09:00 PM
ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম সোমবার এই রায় দেন।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জানান, পাঁচ আসামির মধ্যে ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনামুল হক ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহ মো. হারুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
সেই সঙ্গে তাদের ২৫ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আর ওই ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদ হোসেন ও কামরুল ইসলাম এবং অ্যাসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. ফজলুর রহমানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারক।
পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ১৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে আদালত। জরিমানা না দিলে তাদের আরও এক বছর করে জেল খাটতে হবে।
আসামিদের মধ্যে কেবল এনামুল হক রায় ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন। বাকি চারজন পলাতক বলে জানান জাহাঙ্গীর।
ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলের শেষ দিকে সংকটে পড়ে তৎকালীন ওরিয়েন্টাল ব্যাংক। পরে ২০০৯ সালে মালিকানা হাতবদলে ব্যাংকটির নতুন নাম হয় আইসিবি ইসলামী ব্যাংক। ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের সব দায় ও সম্পত্তি গ্রহণ করে এই ব্যাংক।
২০০৫-০৬ সালে ওরিয়েন্টাল ব্যাংক থেকে আনুমানিক ৩৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন ২০০৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর বিভিন্ন থানায় মোট ৩৪টি মামলা দায়ের করেন।
এর মধ্যে সোমবার যে মামলার রায় হল, ২০০৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর সেটি দায়ের করেন দুদকের তখনকার সহকারী পরিচালক (বর্তমানে উপপরিচালক) এসএমএম আখতার হামিদ।
তদন্ত শেষে দুদকের উপপরিচালক শেখ ফাইয়াজ আলম ২০১৪ সালের ৩১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
সেখানে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মেসার্স সুপার মেটাল ওয়ার্কস নামের এক ভুয়া প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়ার নামে ব্যাংকের ৯৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।
ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের মামলাগুলোর মধ্যে চারটি মামলার রায়ে গত এপ্রিলে পাঁচ কর্মকর্তাকে ৬৮ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত।
তার আগে ২০১৫ সালের অগাস্টে সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ওই বছর এপ্রিলে সাতজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং২০১৪ সালের অগাস্টে সাতজনকে বিভিন্ন মেয়াদের সাজা দেওয়া হয়।