প্রায় এক মাসের বেশি সময়ের প্রচারে সরগরম নগরী একদিন নিশ্চুপ থাকল যেন; নির্বাচন কমিশনও এই ফাঁকে ভোটের সরঞ্জাম কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠিয়েছে; বৃষ্টির আভাস নিয়ে এখন ভোটের অপেক্ষায় ঢাকার পাশের গাজীপুর সিটি করপোরেশন।
Published : 26 Jun 2018, 12:08 AM
পাল্টিপাল্টি অভিযোগ চললেও শান্তিপূর্ণ প্রচারের পর মঙ্গলবার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলছে নির্বাচন কমিশন; ভোটাররাও চাইছেন এই শান্তি-স্বস্তির পরিবেশ ভোটের দিনও যেন থাকে।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪২৫টি কেন্দ্রে একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদের এই নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬ জন।
২৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার ষাটোর্ধ্ব বাচ্চু মিয়া; সোমবারের গোধূলীতে গাজীপুর সদর এলাকায় নিজের স’ মিলে হিসাব গোছানোর সময় কথা হয় তার সঙ্গে।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গাজীপুরে শান্তিপূর্ণ ভোট হতেই আমরা দেখে আসছি। সেটা যেন এবারও থাকে। এখন পর্যন্ত যে পরিস্থিতি তা অনেক ভালো।”
ভোটের পরিস্থিতি জানতে চাইলে বাচ্চু বলেন, “জয়দেবপুর ও গাজীপুর সদরে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর আবাস হওয়ায় এখানে তিনি বেশি ভোট পাবেন। এলাকার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে অনেক বিএনপি লোকও তাকে ভোট দেবে। হাসান সরকারের টঙ্গী এলাকায় ভোট নির্ধারণ করবে ফল।”
রিকশাচালক রমজান খান ভোটার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের; কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সামনে যাত্রীর জন্য অপেক্ষার সময় কথা হয় তার সঙ্গে।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভোট তো ভালোই হচ্ছে। পুলিশ, বিজিবি, র্যাব নামছে। তারা যদি ঠিকমতো কাজ করে সুন্দর ভোট হবে।”
ভোটারদের এমন ভাষ্য পাওয়া যায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের গাজীপুর জেলা কমিটির সভাপতি মুকুল কুমার মল্লিকের কথায়ও।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পরিস্থিতি ভালো ছিল, সেটা যেন থাকে। আমরা তো সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনই চাই।”
মুকুল কুমারের মূল্যায়ন: “দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে দলীয় কর্মীরা দলের প্রতীকেই ভোট দেবেন। তবে নারী এবং শ্রমিকরা নিজের ভালো বুঝে চিন্তাভাবনা করে ভোট দেবেন। তাদের ভোট ফলের ক্ষেত্রে প্রভাবক হিসাবে কাজ করবে।”
মোট সাত মেয়র প্রার্থীর পাশাপাশি ২৫৬ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ৮৪ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মেয়র পদে রাজনীতিতে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ বিএনপির হাসান উদ্দিন সরকারের বিপরীতে এবার ৩৯ বছর বয়সী জাহাঙ্গীর আলমকে বেছে নিয়ে আওয়ামী লীগ।
৭০ বছর বয়সী মুক্তিযোদ্ধা হাসান সরকার এরশাদের সামরিক শাসনামলে দুই দফায় সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছেন টঙ্গী পৌরসভা চেয়ারম্যান হিসাবে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাসান সরকার এক মেয়াদে গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানও ছিলেন।
তার চেয়ে ৩১ বছর কম বয়সী ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম গত মেয়র নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী হতে চেয়ে আলোচনায় আসেন।
গতবার বিএনপির সমর্থিত প্রার্থী আবদুল মান্নানের কাছে হেরে যাওয়া আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আজমত উল্লাহ খানকে বাদ দিয়ে এবার তরুণ এই নেতাকে নির্বাচনী টিকেট দেয় ক্ষমতাসীন দল।
অন্য মেয়র প্রার্থীরা হলেন- মিনার প্রতীকে ইসলামী ঐক্য জোটের ফজলুর রহমান, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. নাসির উদ্দিন, মোমবাতি প্রতীকে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. জালাল উদ্দিন, কাস্তে প্রতীকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কাজী মো. রুহুল আমিন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ আহমদের প্রতীক টেবিল ঘড়ি।
অল্প বৃষ্টিতেই হাঁটু পানি হয়ে চলাচলের প্রধান সড়কের বড় অংশ এবং ছোটোখাটো অলিগলিতে; সোমবার ভোটের আগের দিন নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অল্প বৃষ্টিপাতের মধ্যে আবহাওয়া অফিস ভোটের দিনও বৃষ্টির আভাস দিচ্ছে গাজীপুরে। সেক্ষেত্রে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসতে দুর্ভোগ পোহানোর বিষয় ভাবাচ্ছে অনেককে।
এর মধ্যে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলে ভোটারদের কেন্দ্রে আসার আহ্বান জানিয়েছেন এই নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডল।
সোমবার সকালে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমি মনে করি, আমরা অত্যন্ত ভালো নির্বাচন অনুষ্ঠান করব। এক্ষেত্রে আমরা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সহায়তা পাচ্ছি। নির্বাচন কমিশন থেকেও জানানো হয়েছে, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে। এবং সাড়ে ১১ লাখ ভোটার যাতে ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তাদেরকে আমরা সেটার নিশ্চয়তার ব্যবস্থা করেছি।”
কেউ অন্যায়-অনিয়ম করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “যদি কেউ নির্বাচনে অন্যায়-অনিয়ম করে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের কড়া মেসেজ দেওয়া হয়েছে, নির্বাচনের কাজে যদি বিঘ্ন সৃষ্টি করে, সে প্রার্থী হতে পারে বা সমর্থক হতে পারে, ... বা কোনো অফিসিয়াল হতে পারে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা আমরা কড়া আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
নির্বাচন কমিশন থেকে এমন আশ্বাসবাণী শোনানো হলেও বিএনপি নেতাকর্মীদের ভোটের আগের রাতে গণহারে গ্রেপ্তার ও তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলীয় প্রার্থী হাসান সরকার।
সোমবার রাতে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ধড়পাকড় শুরু করছে ব্যাপক হারে। আমি ইলেকশন কমিশনারকে টেলিফোনে জানাইছি যে হাই কোর্ট থেকে আদেশ দিছে বিএনপির কোনো লোকজনকে গ্রেফতার না করার জন্য। ইলেকশন কমিশন থেকেও চিঠি দিছে।
“সাদা পোশাক, ইউনিফর্ম পরা লোকেরা আমাদের নেতাকর্মীদের ধরে ধরে থানা নিচ্ছে, কিছু জিজ্ঞেস না করে। বাপকে না পেলে ছেলেকে গালাগাল করতেছে, ছেলেকে না পেলে বাপকে গালিগালাজ করতেছে। আমি সিইসিকে ফোন করেছিলাম। তিনি বলেছেন, বিষয়টি দেখবেন।”
এর আগে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অনেকবার অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেন হাসান সরকার।
তবে এত কিছুর পরেও ভোটে থাকবেন বলে জানান তিনি।
বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এর আগে সকালের সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নে তিনি বলেছিলেন, “তারা অভিযোগ করলে আমরা সাথে সাথে আমলে নিচ্ছি। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে এবং মৌখিকভাবে আমরা অবহিত করছি। তদপুরি কমিশনে আমরা চিঠি দিচ্ছি। কমিশন থেকেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করছে।
বিএনপির বড় অভিযোগ গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন-অর রশীদের বিরুদ্ধে। তাকে প্রত্যাহারের দাবি কেন্দ্রীয়ভাবেও জানিয়েছে বিএনপি।
রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, “কালকে পুলিশ সুপারকে লেখা একটি চিঠি আমরা পেয়েছি, যাতে বলা আছে, ফেরারি ছাড়া কাউকে বিনা কারণে হয়রানি করা যাবে না। এবং নির্বাচনের পরিবেশ বিনষ্ট করা যাবে না। সে বিষয়টি আমরা প্রার্থী হাসান সরকারকেও জানিয়েছি, অন্যান্য প্রার্থীকেও জানিয়েছি। পুলিশ সুপারকেও জানিয়েছি, যাতে সবাই সচেতন থাকে।”
এর আগে সকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি বন্ধের নির্বাচন কমিশনে দু’টি অভিযোগ দেন প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট সোহরাব উদ্দিন। সেখানে ভোটের পরিবেশ নিয়ে বিএনপি শঙ্কিত বলেও উল্লেখ করা হয়।
বিএনপির পক্ষ থেকে এসব বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর বলেন, “গাজীপুরের মানুষ শান্ত শিষ্ট; এখানকার মানুষ কোনো মারামারি বা সহিংসতা চায় না, যেটা বিএনপি প্রার্থী ৮৬ ও ৮৮র নির্বাচনে করেছেন। সর্বশেষ আহসান উল্লাহ মাষ্টারকে তার পরিবারের সদস্যরা হত্যা করেছে।
“আমি মনে করি অতীত এবং ২০১৮ সাল এক নয়। গাজীপুরের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল এবং বিএনপিরও একাংশ আমার সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছে। আমাকে এবং নৌকা মার্কাকে ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েছে।”
ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় নৌকার প্রার্থী জাহাঙ্গীর বলেন, “আমি মনে করি সে (হাসান) যেহেতু অন্য দল থেকে বিএনপিতে এসেছে, সে কারণে প্রকৃত বিএনপিকর্মীরা তাকে পছন্দ করে না। যে কারণে নির্বাচনী এজেন্ট দিতে না পেরে হতাশ হচ্ছে।”
ভোট ঘিরে নগরীতে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তায় ১২ হাজার ও পুলিশ বাহিনী মোতায়েন ছাড়াও সড়কে সড়কে টহল দিচ্ছে বিজিবির ২৯ প্লাটুন সদস্য।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ান আনসার সমন্বয়ে ৫৭টি ওয়ার্ডে ৫৮টি মোবাইল ফোর্স, ২০টি স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োজিত থাকবে। নির্বাচনের আগে ও পরে চার দিন ৫৭টি ওয়ার্ডে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন।
এছাড়া ১৯ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। তারা ২৪ জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত নগরীতে দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনী এলাকায় র্যাবের ৬শ সদস্য ৫৭টি টিমে ভাগ হয়ে কাজ শুরু করেছে।
সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে নিজ এলাকার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেবেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম।
বিএনপির প্রার্থী হাসান সরকার সকাল ৮টায় ভোট দেবেন টঙ্গীর আউচ পাড়া এলাকার বসির উদ্দিন উদয়ন একাডেমি কেন্দ্রে।
প্রায় ৩৩০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৩ সালের ৬ জুলাই। এবার এর দ্বিতীয় নির্বাচন।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ১৫ মে নির্বাচন অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে ২৪ এপ্রিল থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হয়েছিল গাজীপুর সিটিতে। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে হাইকোর্টে স্থগিতাদেশ আপিল বিভাগের স্থগিত হয়।
এরপর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ১৮ জুন থেকে পুনরায় ২য় পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়ে শেষ হয় রোববার।
গাজীপুরের এই ভোট জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্ব বহন করছে। কারচুপির আশঙ্কা প্রকাশ করে বিএনপি ইতোমধ্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছে, সেই ধরনের কিছু হলে আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় অন্য তিন সিটির নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে তারা।
অন্যদিকে তার প্রতিক্রিয়ায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছেন, দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপি একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ইসিকে হেয় করতে এসব অভিযোগ তুলছে।
নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার একটি মোর্চা ইলেকশন ওয়ারর্কিং গ্রুপের (ইডব্লিউজি) পরিচালক আব্দুল আলীম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা সবাই গাজীপুরের ভোটের দিকে তাকিয়ে রয়েছি।
“সর্বশেষ খুলনার নির্বাচনে কিছু অনিয়ম দেখা গেছে, যদিও তা ফলাফলে তেমন প্রভাব পড়েনি। কিন্তু গাজীপুরে একটা মডেল নির্বাচন দেখতে চাই আমরা।”
ভোটের দিনে বৃষ্টির আভাস
মধ্য আষাঢ়ে এসে বাংলাদেশের ওপর বর্ষা খুব বেশি সক্রিয় থাকায় মঙ্গলবারও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ভোটের দিন বৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, “এ সময়টাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা খুব বেশি। গাজীপুরেও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। তবে দিনের কোন সময়ে হবে তা এখনই সুনির্দিষ্ট করে বলা যাবে না।”
নির্বাচন কমিশন বৃষ্টির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নিশ্চয়ই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রাখবে বলে প্রত্যাশা রাখেন এ পূর্বাভাস কর্মকর্তা।
“আমরা যেভাবে বিশ্লেষণ করি তাতে দেখা যাচ্ছে-সকালের দিকে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের এ বৃষ্টি হতে পারে। আর সন্ধ্যার পরেও এমন আভাস রয়েছে।”