দুই বছর আগে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলার অভিযোগপত্র আগামী এক মাসের মধ্যে দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
Published : 12 Jun 2018, 04:11 PM
মঙ্গলবার দুপুরে মহাখালী বাস টার্মিনালে আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকের প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন।
পুলিশ কমিশনার বলেন, “হলি আর্টিজানে অভিযানের সময় হামলাকারীরা নিহত হয়েছে, কিন্তু এর পেছনে যারা রসদ দিয়েছে, মদদ দিয়েছে, ঘর ভাড়া দিয়েছে তাদের আমরা শনাক্ত করেছি। এর মধ্যে কিছু কিছু বন্দুকযুদ্ধে এনকাউন্টারে মারাও গিয়েছে। বাকি যারা আছে তাদের উপযুক্ত শাস্তি বিধান করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপন প্রয়োজন। এটি একেবারে শেষ পর্যায়ে।
“আমারা আশা করি মাস খানেকের মধ্যে হলি আর্টিজান মামলার অভিযোগপত্র বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করতে পারব।”
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে কূটনীতিক পাড়া গুলিশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। তাদের ঠেকাতে গিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হন।
ওই ঘটনায় গুলশান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইন, হত্যাকাণ্ড ও তথ্য গোপনের অভিযোগে তিনটি মামলা করে পুলিশ।
হলি আর্টিজান মামলার তদন্তে থাকা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম গতবছর ডিসেম্বরের মধ্যে অভিযোগপত্র দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছিলেন।
পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া এ প্রসঙ্গে বলেন, “দেখুন মামলার তদন্ত একটি জটিল প্রক্রিয়া। একটি অভিযোগনামা যখন বিজ্ঞ আদালতে যায় সে অভিযোগের প্রেক্ষিতে কার কার বিরুদ্ধে কি কি অভিযোগ আছে এটা প্রমাণ করার জন্য আমাদের মুখের কথায় হয় না। এখানে কিন্তু সারকামসটেন্স এভিডেন্স এবং আমাদের ফিজিক্যাল এভিডেন্স এবং সায়েন্টিফিক এভেডেন্স- সমস্ত ধরনের এভিডেন্স দরকার হয়।”
তিনি বলেন, “হলি আর্টিজানের ঘটনা ছিল দেশের বিরুদ্ধে একটি চক্রান্ত- এটি কোনো সাধারণ অপরাধ ছিল না। এঘটনার সাথে বহু কর্নার, বহু লোক, বহু উদ্দেশ্য জড়িত ছিল।
“তাদের প্রত্যেকের অপরাধকে খুঁজে বের করা, তাদের প্রত্যেকটা ব্যক্তির স্বার্থ, উদ্দেশ্য এবং তাদের এক্টিভিটিজ কি ছিল তা আলাদা আলাদাভাবে শনাক্ত করা….এর পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য তথ্য উপাত্ত জোগাড় করা- এটা কিন্তু অনেক কঠিন বিষয়। সেক্ষেত্রে কোনো মামলার তদন্ত হয়ত বেশি সময় লাগে, কোনো মামলার কম সময় লাগে।”