সবকিছু ঠিক থাকলে শনিবার প্রথম প্রহরে মহাকাশের পথে রওনা হবে বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্যিক উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু-১’।
Published : 10 May 2018, 10:38 PM
আর এর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ নাম লেখাবে সেইসব দেশের তালিকায়, যাদের স্যাটেলাইট পৃথিবীর চারপাশ প্রদক্ষিণ করছে সর্বক্ষণ।
এই স্বপ্নযাত্রার প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল এক দশক আগে। বাংলাদেশে টেলি যোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি ২০০৮ সালে এ বিষয়ে একটি কমিটি করে। আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর ২০০৯ সালে জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি নীতিমালায় রাষ্ট্রীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের বিষয়টি যুক্ত করা হয়।
এরপর নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিটের (আইটিইউ) কাছে ইলেক্ট্রনিক আবেদন দাখিলসহ প্রাথমিক ধাপ শেষ করে বাংলাদেশ। দেশি-বিদেশি সংস্থার সম্পৃক্ততায়, জনবল এবং বাজেট বরাদ্দে এগিয়ে চলে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিভিন্ন ধাপ।
অবশেষে ফ্লোরিডার কেইপ কেনাভেরালের লঞ্চ প্যাড থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্সের মাধ্যমে নিজেদের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশ।
বিভিন্ন খাতে খরচ
উপগ্রহ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে সম্প্রচার ও টেলিযোগাযোগ সেবা পরিচালনায় ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে একনেক সভায় দুই হাজার ৯৬৮ কোটি টাকার ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ’ প্রকল্প অনুমোদন পায়।
এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয় এক হাজার ৩১৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা, যা মোট ব্যয়ের প্রায় ৪৪ শতাংশ। এ ছাড়া ‘বিডার্স ফাইন্যান্সিং’ এর মাধ্যমে এ প্রকল্পের জন্য এক হাজার ৬৫২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা সংগ্রহের পরিকল্পনা নেওয়া হয়।
এই প্রেক্ষিতে হংক সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশনের (এইচএসবিসি) সঙ্গে প্রায় একহাজার ৪০০ কোটি টাকার ঋণচুক্তি হয় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে। এক দশমিক ৫১ শতাংশ হার সুদসহ ১২ বছরে ২০ কিস্তিতে ওই অর্থ পরিশোধ করতে হবে।
স্যাটেলাইট সিস্টেমের নকশা তৈরির জন্য ২০১২ সালের মার্চে প্রকল্পের মূল পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ‘স্পেস পার্টনারশিপ ইন্টারন্যাশনাল’।
এরপর স্যাটেলাইট সিস্টেম কিনতে ফ্রান্সের কোম্পানি তালিস এলিনিয়া স্পেসের সঙ্গে একহাজার ৯৫১ কোটি ৭৫ লাখ ৩৪ হাজার টাকার চুক্তি করে বিটিআরসি।
পৃথিবীর কক্ষপথে একটি স্যাটেলাইট বসাতে প্রয়োজন হয় সুনির্দিষ্ট অরবিটাল স্লট। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে রাশিয়ার সংস্থা ইন্টারস্পুটনিকের কাছ থেকে এই অরবিটাল স্লট ইজারা নিতে অনুমোদন দেওয়া হয় ২১৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
এর মাঝে স্যাটেলাইটের সার্বিক ব্যবস্থাপনার জন্য ‘বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড’ নামে একটি সংস্থা গঠন করা হয়। এই সংস্থা গঠনে মূলধন হিসেবে অনুমোদন দেওয়া হয় পাঁচ হাজার কোটি টাকা।
সম্ভাবনা
বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএসসিএল) স্যাটেলাইট মহাকাশে কাজ শুরু করার তিন মাসের মধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। পুঁজিবাজারে এ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ছাড়ার পরিকল্পনার কথাও ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে এসেছে।
বর্তমানে বিদেশি স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ বাংলাদেশকে গুণতে হয় ১ কোটি ৪০ লাখ ডলার। নিজস্ব উপগ্রহ উৎক্ষেপণের পর বাংলাদেশ সেই নির্ভরশীলতা কাটিয়ে উঠে অর্থ সাশ্রয় করতে পারবে বলে সরকার আশা করছে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে রয়েছে মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডার। এর ২০টি বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে এবং বাকি ২০টি ট্রান্সপন্ডার ভাড়া দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে নেপাল, মিয়ানমার ও ভুটানের কাছে স্যাটেলাইট সেবা দিয়ে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা আয়ের সম্ভাবনা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খলিলুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের অবস্থান হবে ইন্দোনেশিয়ার একদম উপরে।
“ইন্দোনেশিয়ার পেছন দিকে পুরোটাই সমুদ্র। ইন্দোনেশিয়া থেকে সামনের দিকে যত দেশ আছে যেমন মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, সিঙ্গাপুর সবই কিন্তু আমাদের কাভারেজে আছে।”
তিনি বলেন, “এখন কিন্তু বিশ্বটা হয়ে গেছে ওপেন মার্কেট। যাকে কম খরচে সেবা দেয়া হবে সেই কিনতে রাজি হবে। স্যাটেলাইটের কমার্শিয়াল দিকটা নিয়ে যারা কাজ করছেন তারা হয়ত সেভাবেই চিন্তা করবেন।”
এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে চাকরির নতুন ক্ষেত্র ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। স্যাটেলাইট কোম্পানি বা ‘বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড’ পরিচালনার জন্য ১০৫ জন জনবল প্রয়োজন হবে। তরুণরাও স্যাটেলাইট ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য আগ্রহী হবে, যা হবে আগামীর জন্য একটি ভালো বিনিয়োগ।
ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ফিরোজ আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশের কোনো ইউনিভার্সিটিতেই এখন স্যাটেলাইট কমিউনিকেশনের ওপর কোনো প্রোগ্রাম নেই। হয়ত একটা কোর্স থাকতে পারে। তবে কোর্সগুলো অপশনাল হয়ে থাকে। কেন নেই এর উত্তর হচ্ছে জব মার্কেট একটা ফ্যাক্টর। শিক্ষার্থীরা গ্র্যাজুয়েট হলে তাকে কোথায় চাকরি দেয়া হবে?
“এখন যেহেতু আমাদের এরকম একটি স্যাটেলাইট লঞ্চ হচ্ছে, একটা জব সেক্টর তৈরি হচ্ছে, তাহলে এর একটা ফিউচার আছে। এতে করে আগামীতে শিক্ষার্থীরা হয়ত আগ্রহী হবে। এমন প্রসপেক্টস থাকলে ইউনিভার্সিটিগুলোতেও এই কোর্স একটা ফোকাস পাবে।”
স্যাটেলাইট সেবাখাতে বাংলাদেশ
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের কেইউ-ব্যান্ড ট্রান্সপন্ডারের স্পট বিমের আওতায় থাকবে বাংলাদেশ ও বঙ্গপোসাগরের জলসীমা। অন্যদিকে এই ব্যান্ড ট্রান্সপন্ডারের রিজিওনাল বিমের আওতায় রয়েছে ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপিন্স ও ইন্দোনেশিয়া।
রিজিওনাল সি-ব্যান্ড বিমের আওতায় থাকা দেশগুলো হচ্ছে ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স, বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কিমেনিস্তান এবং কাজাখস্তানের কিছু অংশ। ফলে এসব দেশে টেলিযোগাযোগ ও সম্প্রচার সেবা দিতে পারবে বঙ্গবন্ধু-১।
সরকারি এই প্রকল্প নিয়ে অন্যতম প্রত্যাশা হচ্ছে নিজস্ব এই স্যাটেলাইট বাংলাদেশে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে ভূমিকা রাখবে। ডাইরেক্ট টু হোম (ডিটিএইচ) পদ্ধতিতে স্যাটেলাইট থেকে সিগনাল গ্রহণের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলেও সরাসরি টেলিভিশন সম্প্রচার করা সম্ভব হবে।
বিশেষ করে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশের বিদ্যমান টেরেস্ট্রিয়াল অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হলেও যোগাযোগব্যবস্থা নিরবচ্ছিন্ন রাখতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ব্যবহার করা যাবে।
এ প্রসঙ্গে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ফিরোজ আহমেদ বলেন, সাবমেরিন কেবল সি-মি-উই ৪ এবং সি-মি-উই ৫ যদি কোনো কারণে কাজ না করে তখন বিকল্প যোগাযোগে এই স্যাটেলাইট কাজে আসবে।
“পৃথিবীর প্রাকৃতির দুর্যোগ প্রভাব স্যাটেলাইটের ওপর থাকবে না। ধরা যাক সন্দ্বীপ-হাতিয়ায় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যাগ হলো। তাতে যদি ঢাকার সাথে ল্যান্ড কমিউকেশন বন্ধ হয়ে যায়, তখনও স্যাটেলাইটের মাধ্যমে যোগাযোগ করা যাবে ঢাকার সাথে।”
‘জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট’
পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতার ওপর ভিত্তি করে কক্ষপথকে চিহ্নিত করা হয় তিনভাবে। এগুলো হল লো আর্থ অরবিট (এলইও), জিওস্টেশনারি আর্থ অরবিট (জিইও) এবং মিডিয়াম আর্থ অরবিট (এমইও)।
সফলভাবে উৎক্ষেপণ ও সব কাজ শেষে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ হবে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৫ হাজার ৮০০ কিলোমিটার উপরে ‘জিওস্টেশনারি আর্থ অরবিটের’ একটি কৃত্রিম উপগ্রহ।
জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট হল এমন একটি কৃত্রিম উপগ্রহ যেটি নিরক্ষ রেখা বরারবর ওই কক্ষপথে থেকে পৃথিবীকে ২৪ ঘণ্টায় একবার প্রদক্ষিণ করবে। এই প্রদক্ষিণ হবে পৃথিবীর আবর্তনের দিকে, অর্থাৎ পশ্চিম থেকে পূর্বে। ফলে গ্রাউন্ড স্টেশনের সাপেক্ষে উপগ্রহটি থাকবে প্রায় স্থির। এ কারণেই ‘জিওস্টেশনারি’ শব্দটি এসেছে।
মহাকাশে স্যাটেলাইটের কার্যকারিতার একটি নির্দিষ্ট মেয়াদকাল থাকে। তিন হাজার ৫০০ কেজি উৎক্ষেপণ ভরের বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মিশনের মেয়াদকাল হবে ১৫ বছর।
স্যাটেলাইটের ট্রান্সপন্ডার তড়িৎচৌম্বকীয় তরঙ্গ অথবা মাইক্রোওয়েভ সংকেত আকারে গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে পাঠানো তথ্য (আপ-লিংক) গ্রহণ করবে। ওই সংকেতকে কয়েকগুণ ‘অ্যামপ্লিফাই’ করে আবার তা ফেরত পাঠাবে (ডাউন-লিংক) পৃথিবীতে।
Standing down today due to a standard ground system auto abort at T-1 min. Rocket and payload are in good health—teams are working towards tomorrow’s backup launch opportunity at 4:14 p.m. EDT, or 20:14 UTC.
— SpaceX (@SpaceX) May 10, 2018
উৎক্ষেপণ ও নিয়ন্ত্রণ
শুক্রবার বাংলাদেশ সময় ভোররাত ৩টা ৪৭ মিনিটে বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহটি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে মহাকাশ পানে যাত্রা শুরুর কথা ছিল। সব প্রস্তুতি সেরে উৎক্ষেপণের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছিল; কিন্তু মিনিট খানেক আগে সমস্যা দেখা দেওয়ায় স্যাটেলাইটটি আর ওড়েনি লঞ্চ প্যাড থেকে।
শনিবার বাংলাদেশ সময় ভোররাত ২টা ১৪ থেকে ৪টা ২১ মিনিটের মধ্যে উৎক্ষেপণের নতুন সময় ঠিক করা হয়েছে।
স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য গত বছর ১৬ ডিসেম্বর তারিখ ঠিক করা হলেও হারিকেন আরমায় ফ্লোরিডায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলে তা পিছিয়ে যায়। এ বছরেও কয়েকদফা উৎক্ষেপণের তারিখ পিছিয়ে যায় আবহাওয়ার কারণে।
চূড়ান্ত পর্যায়ে উৎক্ষেপণ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গত ৪ মে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারে দুই স্টেজের এই রকেটের স্ট্যাটিক ফায়ার টেস্ট সম্পন্ন হয়।
লঞ্চ প্যাড থেকে উৎক্ষেপণের পরপরই স্টেজ-১ চালু হয়ে ওপরের দিকে উঠতে শুরু করে প্রচণ্ড শক্তিতে মহাকাশের দিকে ধাবিত হবে রকেটটি। একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর রকেটের স্টেজ-১ খুলে নিচের দিকে নামতে থাকবে।
এরপর চালু হবে স্টেজ-২। ৩৫ হাজার ৭০০ কিলোমিটার যাওয়ার পর রকেটের স্টেজ-২ খুলে যাবে। পুনরায় ব্যবহারযোগ্য স্টেজ-১ পৃথিবীতে ফিরে এলেও স্টেজ-২ স্যাটেলাইটকে নিয়ে গিয়ে মহাকাশের একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব পর্যন্ত।
মহাকাশযাত্রায় ৩৬ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে স্যাটেলাইটটি স্থাপিত হবে মহাকাশের ১১৯.১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের অরবিটাল স্লটে।
কক্ষপথে স্থাপিত হওয়ার আগ পর্যন্ত স্যাটেলাইটের যাত্রার ধাপটিকে বলে লঞ্চ অ্যান্ড আরলি অরবিট ফেইজ (এলইওপি)। এই ধাপে লাগবে ১০ দিনের মত। এরপর কক্ষপথে স্থাপিত হওয়ার ধাপটিকে বলা হয় স্যাটেলাইট ইন অরবিট। কক্ষপথে স্থাপনের এই প্রক্রিয়াটিতে সময় লাগবে ২০ দিন।
স্যাটেলাইট রকেট থেকে উন্মুক্ত হওয়ার পর এটি নিয়ন্ত্রণ করা হবে যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি এবং কোরিয়ার তিনটি গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে। স্যাটেলাইট সম্পূর্ণ চালু হওয়ার পর বাংলাদেশের গ্রাউন্ড স্টেশন থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর ও রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায়। জয়দেবপুরের গ্রাউন্ড স্টেশনটি হবে মূল স্টেশন; বেতবুনিয়ায় স্টেশনটি ব্যাকআপ হিসেবে রাখা হবে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের গায়ে বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকার রঙের নকশার ওপর ইংরেজিতে লেখা রয়েছে বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু ১। বাংলাদেশ সরকারের একটি মনোগ্রামও সেখানে রয়েছে।
স্পেসএক্সের ইউটিউব চ্যানেলে দেখা যাবে এই উৎক্ষেপণের ‘লাইভ স্ট্রিমিং’। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল বিটিভি ওই উৎক্ষেপণ সরাসরি সম্প্রচার করবে।