বর্তমানে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত থাকায় তা সংস্কার আনার জন্য বিভিন্ন সময়ই দাবি উঠেছে, কিন্তু এবারের মতো সাড়া পড়েনি আগে কখনও।
‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ ব্যানারে এই বছরের শুরু থেকে কোটা সংস্কারের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালনের পর রোববার শাহবাগে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান নেয় কয়েক হাজার শিক্ষার্থী।
রাতে পুলিশ তাদের পিটিয়ে তুলে দেওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শুরু হয় সংঘাত; বিভিন্ন হল থেকে আন্দোলনে নেমে আসে ছাত্রীরাও। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিশ্ববিদ্যালয়েও শুরু হয় বিক্ষোভ।
সোমবারও ঢাকাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনভর বিক্ষোভের পর সচিবালয়ে আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ওই বৈঠকে সরকারের পক্ষ থেকে কোটা পদ্ধতি পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে দেখার আশ্বাসে প্রতিনিধি দলটি কর্মসূচি এক মাস স্থগিত করলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদেরই একটি অংশ আন্দোলনের অটল থাকার ঘোষণা দেয়।
পরে অন্য অংশটিও সরকারকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে রাতে ক্যাম্পাস ছাড়ে।
এই আন্দোলন থেকে তারা পাঁচটি দাবি তুলেছে, তা হল- সরকারি নিয়োগে কোটার পরিমাণ ৫৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা, কোটার যোগ্য প্রার্থী না পেলে শূন্যপদে মেধায় নিয়োগ, কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা না নেওয়া, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে অভিন্ন বয়সসীমা, নিয়োগপরীক্ষায় একাধিকবার কোটার সুবিধা ব্যবহার না করা।
কোটা এল যেভাবে
সংবিধানের আলোকে শুরু থেকেই বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটা রয়েছে।
সংবিধানের ২৯ এর ৩(ক) উপধারায় বলা আছে, “নাগরিকদের যে কোনো অনগ্রসর অংশ যাহাতে প্রজাতন্ত্রের কর্মে উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব লাভ করিতে পারেন, সেই উদ্দেশ্যে তাহাদের অনুকূলে বিশেষ বিধান-প্রণয়ন করা হইতে রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করিবে না।”
১৯৭২ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা হয়। ওই সময় ৪০ শতাংশ জেলা কোটা, ১০ শতাংশ যুদ্ধবিধ্বস্ত নারী কোটা এবং ২০ শতাংশ মেধা কোটা ছিল।
১৯৭৬ সালে জেলা কোটা ২০ শতাংশ কমিয়ে মেধা কোটা ৪০ শতাংশ করা হয়।
১৯৮৫ সালে মেধা কোটা ৪৫ শতাংশ, নারী কোটা ১০ শতাংশ, জেলা কোটা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটা ৫ শতাংশ এবং মুক্তিযোদ্ধার জন্য ৩০ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করা হয়।
পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালেই এই কোটা ব্যবস্থাকে আরও সম্প্রসারিত করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের এর আওতাভুক্ত করা হয়। এর মধ্যে যোগ হয় এক শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা।
বর্তমানে পাঁচ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য। প্রতিবন্ধী এক শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারী ও জেলা কোটা ১০ শতাংশ করে। সব মিলিয়ে কোটার জন্য বরাদ্দ ৫৬ শতাংশ।
ফলে এর কোনো শ্রেণিতে যারা পড়েন না, তাদের প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে বাকি ৪৪ শতাংশ পদের জন্য।
১৯৭৭ সালে তৎকালীন পে ও সার্ভিস কমিশনের একজন সদস্য বাদে সবাই সরকারি নিয়োগে কোটাব্যবস্থার বিরোধিতা করেন।
কোটার পক্ষে অবস্থা নেয়া এম এম জামান প্রচলিত কোটাগুলো প্রথম ১০ বছর বহাল রেখে ১৯৮৭ সাল থেকে পরবর্তী ১০ বছরে ধীরে ধীরে কমিয়ে দশম বছরে তা বিলুপ্ত করার পক্ষে মত দেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোজাম্মেল হক বলছেন, কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে ওইসব পদ মেধা তালিকা থেকে পূরণে সার্কুলার জারির ফলে কোটা পদ্ধতি এক ধরনের অকার্যকর হয়ে গেছে।
উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, “নারী কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে মেধা তালিকায় শীর্ষে থাকাদের মধ্য থেকে ওই পদ পূরণ করা হবে। পুরুষদের মধ্যে যারা শীর্ষে থাকবে নারী কোটায় তারাও চাকরি পাবে। ফলে কোটা তো আসলে কার্যকর নেই।”
কোটায় মেলে না, পদ ফাঁকা
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সরকারি চাকরিতে শূন্য থাকার পদগুলোর বেশিরভাগই কোটা পূরণ না হওয়া পদ।
জেলা কোটা চালুর সময় দেশে ১৯টি জেলা থাকায় ওই সময় জেলা কোটার পদগুলো পূরণ করা যেত। এখন অন্যান্য কোটার সঙ্গে জেলা কোটাও পূরণ হয় না।
সরকারি চাকরিতে ফাঁকা পদ
সাল | পদ সংখ্যা | কর্মরত | খালি |
২০১১ | ১৩,৭০,১২৭ | ১১,১৫,৯২২ | ২,৫৪,২০৫ |
২০১২ | ১৪,০৫,৫২৪ | ১১,২৯,৫৬০ | ২,৭৫,৯৬৪ |
২০১৩ | ১৪,৭১,০৩৬ | ১১,৯৪,৪৪৯ | ২,৭৬,৫৮৭ |
২০১৪ | ১৬,৭৮,৩৪২ | ১৩,৭৫,৪৩৮ | ৩,০২,৯০৪ |
২০১৫ | ১৭,১০,৭০৪ | ১৩,৪২,৩৯৩ | ৩,২৮,৩১১ |
২০১৮ |
|
| ৩,৫৯,২৬১ |
জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম গত ১৬ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে জানান, সরকারি চাকরিতে তিন লাখ ৫৯ হাজার ২৬১টি পদ ফাঁকা রয়েছে।
এর মধ্যে ৪৮ হাজার ২৪৬টি প্রথম শ্রেণির, ৫৪ হাজার ২৯৪টি দ্বিতীয় শ্রেণির, এক লাখ ৮২ হাজার ৭৩৭টি তৃতীয় শ্রেণির এবং ৭৩ হাজার ৯৮৪টি চতুর্থ শ্রেণির পদ শূন্য আছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ৯ম থেকে ১২তম গ্রেডের (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি) কর্মকর্তা সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) নিয়োগ দেয়। আর ১৩তম থেকে ২০তম গ্রেডের (তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি) পদে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থা নিজস্ব নিয়োগবিধি অনুযায়ী নিয়োগ দেয়।
তবে জনপ্রশাসন সচিব মোজাম্মেল হক বলেন, “শুধু কোটার পদ ফাঁকা থাকার জন্য নয়, বিভিন্ন কারণে এতগুলো পদ ফাঁকা আছে।
“কেউ পিআরএলে যাওয়ার পর পদ খালি হয়। প্রতি মাসেই পদ খালি হয়, নতুন নতুন নিয়োগও হচ্ছে, এটা চলমান প্রক্রিয়া, এটা কোনো দিনও শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা সম্ভব নয়। এসবের সঙ্গে কোটার কোনো সম্পর্ক নেই।”
কোটার পূরণ না হওয়া পদ মেধা তালিকা থেকে নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় সরকারি চাকরিতে এখন কোনো পদই আর ফাঁকা থাকবে না বলে মনে করেন মোজম্মেল হক।
কোটার পক্ষে যুক্তি
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরুর পর সম্প্রতি চট্টগ্রামে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়ে দেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা থাকছে।
তবে আন্দোলনের এক পর্যায়ে সরকার জানায়, এক কোটায় প্রার্থী না পাওয়া গেলে অন্য কোটা দেখা হবে, তাতেও না পাওয়া গেলে মেধা তালিকা থেকে নেওয়া হবে।
এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনকারীরা।
উত্তাল আন্দোলনের মধ্যে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকেও বিষয়টি আলোচনায় ওঠে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, কোটার কারণে মেধাবীরা ‘খুব বেশি বঞ্চিত হয়নি’।
গত তিনটি বিসিএসের নিয়োগে কত শতাংশ মেধাবী নিয়োগ পেয়েছেন- সেই তথ্য তুলে ধরেন শফিউল।
তিনি বলেন, ৩৩তম বিসিএসের ৭৭ দশমিক ৪০ শতাংশ পদ মেধা কোটা দিয়ে পূরণ করা হয়েছে। আর ৩৫তম বিসিএসে ৬৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং ৩৬তম বিসিএসে ৭০ দশমিক ৩৮ শতাংশ পদ মেধা থেকে পূরণ হয়েছে।
“মেধা কোটা কখনও অবহেলিত হয় না। মেধাটা আসলে… যেমন ধরুন মহিলা কোটা- মহিলা কোটায় যদি ১০টি পদ থাকে, এই ১০টির মধ্যে তারাই আসবে যারা লিখিত বা অন্যান্য সব ক্যাটাগরিতে ভালো করেছে, তারাই আসবে যারা উপরের দিকে আছে। মহিলাদের মধ্যে যারা মেধা তালিকায় ভালো করবে তারাই আসবে। এমন নয় যে যারা মেধাবী তারা অবহেলিত হয়ে যাচ্ছে, পিছনে পড়ে যাচ্ছে।
“জেলা কোটার ক্ষেত্রেও তাই। জেলার মধ্যে যারা ভালো করবে তারা আসবে, প্রত্যেক সেক্টরেই মেধার মধ্যে যারা অগ্রসর তারাই আসবে, কোটার দ্বারা কিন্তু কারো মেধা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।”
তিনি বলেন, “শুধু মেধা যদি হয় তাহলে অনগ্রসর জেলাগুলো তাদের জন্য যে জেলা কোটা রাখা আছে সেখানে তারা একসেস পাবে না, এটা তো বুঝতে হবে। মহিলা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধীরা পাবে না।
“মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে মেধার কনটেস্ট হচ্ছে। তাদের মধ্যে যারা মেধায় অগ্রসর, উপরের দিকে তারাই তো আসবে। এখানে মেধাকে আন্ডারমাইন করা হচ্ছে না।”
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সমালোচনা করে বলেন, “মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানেরা সুযোগ পাবে না, রাজাকারের বাচ্চারা সুযোগ পাবে? তাদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংকুচিত হবে?”
কোটা সংস্কারের পক্ষে যুক্তি
মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ রাখার সমালোচনা হচ্ছে। এটা উঠিয়ে দেওয়ার পক্ষে রয়েছেন সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম।
তার মতে, “কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ এবং তারা তো কখনও পিছিয়ে পড়া মানুষ নন। কোটা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের তো সম্মান করা হচ্ছেই না, উল্টো অসম্মান করা হচ্ছে।”
মুক্তিযোদ্ধা কোটা, প্রতিবন্ধী কোটা ও আদিবাসী কোটা ছাড়া অন্য যেসব কোটা রয়েছে সেসব কোটার পক্ষে অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
তিনি বলেন, “কোটার পরিমাণ সামঞ্জস্যপূর্ণ, যুক্তিপূর্ণ, লজিক্যাল এবং দেশের স্বার্থের সঙ্গে ডিপেনডেন্ট হতে হবে। কিন্তু যদি মনে হয় এর পরিমাণ বেশি হয়ে গেছে তবে সেটা পরিবর্তন করা দরকার।”
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তারা শুধু মুক্তিযোদ্ধা, নারী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কোটার রাখার পক্ষে।
সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার মনে করেন, ৮০ শতাংশ পদ মেধাবীদের জন্য নির্দিষ্ট রাখা উচিত।
তিনি বলেন, “বাকি ২০ শতাংশ দেওয়া উচিত প্রাধিকার কোটায়। প্রাধিকারে কোন কোটায় কতটি যাবে, সেটা সংখ্যানুপাতে ও যৌক্তিকতা বিবেচনা করা উচিত।
১৯৮৫ সাল থেকে বর্তমান কোটা পদ্ধতি চলছে জানিয়ে সাবেক এই আমলা বলেন, এই সরকারের আমলে এক শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা যুক্ত করা হয়েছে। আসলে ১৯৮৫ সালের পরে আর কোটাতে হাত দেওয়া হয়নি।
“তখনকার বাস্তবতার সঙ্গে এখনকার বাস্তবতার আকাশ-পাতাল পার্থক্য।”
কোটার সংস্কারের বিরোধিতা করে সরকারি চাকরির বাছাই পরীক্ষা থেকেই কোটা অনুসরণের দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতি মেহেদী হাসান।
তিনি বলেন, “ভারতে প্রিলিমিনারি থেকে কোটা পদ্ধতি প্রয়োগ করা শুরু হয়। কোটার আসন যদি পূর্ণ করতে হয় তাহলে প্রয়োগ পদ্ধতিতে পরিবর্তন করতে হবে। প্রিলিমিনারি ও লিখিত পার হওয়ার পর কোটার যৌক্তিকতা আর থাকে না।”
কোটার অপূরণকৃত পদ মেধাবীদের মধ্য থেকে পূরণে সরকারি সার্কুলারের বিরোধিতা করে মেহেদী বলেন, “আমরা এটা মানি না। মুক্তিযোদ্ধা কোটার প্রার্থী পাওয়া না গেলে ওই পদগুলো সংরক্ষণের বিধান আছে, যা পরবর্তী সার্কুলারে যুক্ত হবে।”
সরকার কী ভাবছে
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তারা এক মাস সময় নিচ্ছেন কোটা পদ্ধতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে।
বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি যাচাই-বাছাই করে শিগগিরই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক।
তবে সরকারি নিয়োগের ৫৬ শতাংশ কোটা কীভাবে সংস্কার বা সংযোজন-বিয়োজন করা হবে সে বিষয়ে কোনো ধারণা দেননি তিনি।
এই সংক্রান্ত আরও খবর