কোটা সংস্কারের আন্দোলনের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ অবস্থান নেওয়ায় সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ সাইফ পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
Published : 09 Apr 2018, 07:44 PM
ফেইসবুকে তিনি লিখেছেন, “ছাত্রলীগ জাতির পিতার নিজ হাতে গড়া সংগঠন। ছাত্রলীগ ডাকসুর ভূমিকা পালন করে। ছাত্রলীগ ছাত্রদের অধিকারে কাজ করে। ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের বন্ধু। যথেষ্ট। ছাত্রলীগের ভূমিকা কী দেখা গেল? এই ছাত্রলীগ কোন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ করে জানি না।
“আমার বঙ্গবন্ধু আলাদা। তাই সজ্ঞানে আমি ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করছি।”
সাইফুল্লাহ সাইফসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন জনের পদত্যাগের কথা শুনলেও সাংগঠনিকভাবে পদত্যাগপত্র পাননি বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স জানিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমরা সাংগঠনিকভাবে পদত্যাগপত্র পাইনি। তিনজন অব্যাহতি চেয়েছে, পদত্যাগপত্র পেলে আমরা অব্যাহতি দিয়ে দিব।”
মোতাহার বলেন, “এই সিদ্ধান্ত একান্তই তাদের ব্যক্তিগত ও নিজস্ব ব্যাপার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কোন নেতাকর্মীর ব্যক্তিগত আগ্রহের বিরোধিতা আমরা করি না।
“ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৩টি বিভাগীয় কমিটি, ১৩টি অনুষদ এবং ১৮টি হলের ছাত্রলীগের কমিটি আছে। এখানে দুই-তিনজনের মতবিরোধ থাকতেই পারে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পরিসংখ্যান বিভাগ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফ হাসান সুজন ও সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের উপ-আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক আছিবুর রহমান অঙ্কুরও পদত্যাগ করেছেন বলে তিনি জানান।
তবে আছিবুরের পদত্যাগপত্রে কোটা সংস্কারের আন্দোলনের কোনো প্রসঙ্গের উল্লেখ না থাকলেও ছাত্রলীগ নেতারা বলছেন, কোটা সংস্কারের আন্দোলনে ছাত্রলীগের সমর্থন না থাকায়ে এবং আন্দোলনে তাদের থাকাটা সংগঠনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় পদত্যাগ করেছেন ছাত্রলীগের এই তিন নেতা।
সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরকে বলেন, “আমি ফেইসবুকে দেখেছি অঙ্কুর অব্যাহতি চেয়েছে। কিন্তু কোন আবেদনপত্র এখনও আমার হাতে এসে পৌঁছায়নি।
“আমি সাধারণ সম্পাদকের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব।”
তবে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পক্ষ থেকে বক্তব্য জানকে ছাত্রলীগের এই তিন নেতাকে ফোন করা হলেও তারা ফোন ধরেননি।