রংপুরের পিপি রথীশচন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনার পেশাগত কাজে ক্ষুব্ধ কোনো পক্ষ তাকে তুলে নিয়ে গেছে বলে মনে করছেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের নেতারা।
Published : 02 Apr 2018, 06:14 PM
রথীশের সন্ধান দাবিতে সোমবার ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই সন্দেহের কথা জানান।
গত ৩০ মার্চ ধরে নিখোঁজ রথীশ হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের একজন সদস্য। ওই দিন রংপুরের বাড়ি থেকে এক যুবকের সঙ্গে মোটর সাইকেলে বের হওয়ার পর থেকে তার সন্ধান মিলছে না।
রথীশ জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলার একজন সাক্ষী।
সরকারি কৌঁসুলি হিসেবে তিনি জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি ও মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যামামলা পরিচালনা করেন; যার রায়ে ১২ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড হয়।
এছাড়াও আইনজীবী হিসেবে তিনি আদালতের মাধ্যমে স্থানীয় মন্দিরের জমি ও পুকুর অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধারে ভূমিকা রেখে আসছেন বলে হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের নেতারা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ট্রাস্টের অন্যতম সদস্য অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারী বলেন, “জামায়াত-বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতায় লালিত জঙ্গিগোষ্ঠী এই জঘন্য কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে আমরা মনে করছি।”
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বলেন, “যেহেতু তিনি কুনিও হোশি ও খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলা পরিচালনা করেছেন, তাই সংক্ষুব্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী তাকে নিয়ে যেতে পারে। আবার মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের এক নেতার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন, তারাও এই কাজটি করতে পারে।
“অবৈধ দখলকারীদের কাছ থেকে স্থানীয় মন্দিরের জমি ও পুকুর উদ্ধারে ভূমিকা রাখায় সংক্ষুব্ধ ভূমি দখলকারীরাও তাকে তুলে নিয়ে যেতে পারে।”
অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারী বলেন, “রথীশ চন্দ্র গণমানুষের কাছের সমাজ সেবক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনেরও পৃষ্ঠপোষক।”
রথীশ চন্দ্র ২০১০ সালের ৬ জুন থেকে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি বর্তমানে রংপুর, নীলফামারী ও পঞ্চগড় জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রাস্টি বলে জানান অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারী।
সংবাদ সম্মেলনে ট্রাস্টের ট্রাস্টি চন্দন রায়, আশা লতা বৈদ্য, পরিতোষ কান্তি সাহা, রিপন রায় লিপু, উজ্জ্বল প্রসাদ কানু, শ্যামল ভট্টচার্য্য, গণেশ চন্দ্র ঘোষ, সুব্রত পাল উপস্থিত ছিলেন।