রায়ের কপি পেয়ে আপিলের প্রস্তুতিতে খালেদার আইনজীবীরা

জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি পেয়েছেন তার আইনজীবী।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Feb 2018, 10:36 AM
Updated : 19 Feb 2018, 01:12 PM

১০ দিন পর সোমবার বিকালে রায়ের কপি পেয়ে এখন আপিলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিএনপির আইনজীবীরা; হাই কোর্টে আপিল করে জামিন নিয়ে দলীয় চেয়ারপারসন কারাগার থেকে বেরিয়ে আসবেন বলে আশা করছে বিএনপি।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারের বিশেষ এজলাসে বসে দুদকের এই মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন ঢাকার বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামান। জনাকীর্ণ এজলাসে তিনি শুধু রায়ের সংক্ষিপ্তসার পড়েছিলেন।

তারপর থেকে রায়ের অনুলিপি না পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছিল।

বিএনপির নেতারা অভিযোগ করে আসছিলেন, খালেদা জিয়াকে বেশি দিন বন্দি রাখতেই রায়ের অনুলিপি দেওয়া হচ্ছে না।

রায়ের পুরো অনুলিপি হাতে খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।

অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারা তা প্রত্যাখ্যান করে বলছিলেন, রায়ের অনুলিপি পেতে বিএনপি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিচারকের কাছে আবেদন জানাতে দেরি করেছে।

এই বিতর্ক চলার মধ্যে রোববার আখতারুজ্জামানের দ্বারস্ত হন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। তিনি সোমবার তা দেওয়ার আশ্বাস দেন।

সোমবার বিকালে আখতারুজ্জামানের আদালতের পেশকার মোকাররম হোসেনের কাছ থেকে রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি সংগ্রহ করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া।

বিএনপি চেয়ারপারসনের আরেক আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেছেন, “আগামীকাল আপিল ফাইল করব।”

খালেদার অন্যতম আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেজবাহ গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জানিয়েছিলেন, রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি নেওয়ার জন্য ৩ হাজার পৃষ্ঠার স্ট্যাম্প ফোলিও পেপার তারা জমা দিয়েছেন।

রায়ের যে অনুলিপি খালেদার আইনজীবীরা পেয়েছেন, তাতে ওই কাগজের ১১শ পৃষ্ঠার মতো ব্যবহৃত হয়েছে।

এজলাসে রায়ের সময় বলা হয়েছিল, পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে রায়টি ৬৩২ পৃষ্ঠার।

পরে আইনমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের অন্য নেতারাও ৬ শতাধিক পৃষ্ঠার রায়ের কথাই বলছিলেন।

সানাউল্লাহ মিয়ার কনিষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুমনের হাতে রায়ের অনুলিপির কিছু অংশ।

অন্যদিকে রায় পেতে দেরি দেখে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছিলেন, রায় নতুন করে লেখা হচ্ছে বলে তারা জানতে পেরেছেন।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়াকে দণ্ড দিয়ে দেওয়া এই রায়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ফৌজদারি এই মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারা, না পারার বিষয়টিও এতে যুক্ত হয়ে পড়েছে।

বিএনপি নেতারা আশা করছেন, আপিলে সাজা স্থগিত হলে তাদের নেত্রী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।

তবে আইনমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না, তা এখন আদালতের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে।

নির্বাচন কমিশনও একই কথাই বলেছে।