সরকারের অনুমতি ছাড়া জাহাজ ভাঙা ইয়ার্ড স্থাপন করলে দুই বছরের জেল ও সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে আইন করার প্রস্তাব সংসদে পাস হয়েছে।
Published : 24 Jan 2018, 07:10 PM
শিল্পমন্ত্রী আমির হেসেন আমু বুধবার ‘বাংলাদেশ জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ বিল-২০১৮’ সংসদে উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি হয়।
গতবছরের ১০ জুলাই বিলটি সংসদে তোলার পর পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দিতে শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলে জাহাজ ভাঙার জন্য আলাদা ‘জোন’ ঘোষণা করার বিধান রাখা হয়েছে।
বিলে অনাপত্তি সনদ ছাড়া পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য জাহাজ আমদানি বা স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করলে সর্বোচ্চ দুই বছরের জেল ও সর্বনিম্ন ১০ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ছাড়পত্র ছাড়া জাহাজ সৈকতে আনলে বা পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করলেও একই সাজার বিধান রাখা হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, সরকারের অনুমতি নিয়ে নির্দিষ্ট জোনে ইয়ার্ড স্থাপন করতে হবে। এই ইয়ার্ডের মধ্যেই জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করতে হবে।
বর্তমানে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জাহাজ ভাঙার কারখানাগুলো রয়েছে। সেখানে অনিরাপদ পরিবেশে জাহাজ ভাঙার পাশাপাশি অনিরাপদ জাহাজ এনে ভাঙার অভিযোগও রয়েছে, যা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে আন্তর্জাতিক নানা সংগঠনের।
জাল সনদ দিয়ে কোনো সুবিধা নিলে কমপক্ষে পাঁচ লাখ ও সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে বিলে।
বিলে জাহাজ ভাঙার কার্যক্রম দেখাশোনা করতে একটি বোর্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয় মনোনীত একজন অতিরিক্ত সচিব এই বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন।
এছাড়া এই বোর্ডে সার্বক্ষণিক দায়িত্বে থাকবেন সরকারের নিয়োগ করা একজন মহাপরিচালক, যিনি হবেন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী।
পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে, বোর্ড জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ কাজ করার ক্ষেত্রে এ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আইন ও কনভেনশনের শর্ত মানার বিষয়টি নিশ্চিত করবে।