কর্মী নিখোঁজের নেপথ্যের কারণ জানা যায়নি: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, তিন দিনের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মী ‘নিখোঁজ’ হওয়ার নেপথ্যের কারণ এখনও তারা জানতে পারেননি।

মোতালেব হোসেন মোতালেব হোসেন

নাসির উদ্দিন নাসির উদ্দিন

শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী নিখোঁজ

রোববার সচিবালয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ব্যক্তিগতভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের আইজি ও র‌্যাবের ডিজির সঙ্গে কথা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেছি। সবাই বলেছেন, তারা চেষ্টা করছেন ও দেখছেন। এখন পর্যন্ত আমরা সুনির্দিষ্টভাবে জানতে পারিনি- কী কারণে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।”

শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) মোতালেব হোসেনকে ‘তুলে নেওয়ার’ অভিযোগে ঢাকার হাজারীবাগ থানায় একটি জিডি করেছে তার পরিবার।

সেখানে বলা হয়েছে, রাজধানীর বসিলা এলাকা থেকে শনিবার বিকেলে ৪৫ বছর বয়সী মোতালেবকে তুলে নেওয়া হয়। এর পর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গ্রহণ ও বিতরণ শাখার উচ্চমান সহকারী নাসির উদ্দিন নিখোঁজ জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে বনানী থানায় জিডি করেন তার শ্বশুর।

নাসির বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের মহাসচিব। পুলিশ এখনও তার কোনো খোঁজ পায়নি।

মোতালেব হোসেন

নাসির উদ্দিন

 

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “এ ঘটনাগুলো ঘটেছে, আমরা তাদের আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে তথ্য পেয়েছি। আমি গতকাল সিলেটে ছিলাম, এসেই এয়ারপোর্টে শুনেছি। শুনে সঙ্গে সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করেছি যে এই ঘটনা ঘটেছে। আইজিপিকে ফোন করেছি এই ঘটনা ঘটেছে।”

পুলিশ ‘যথেষ্ট তৎপর’ হলেও এখন পর্যন্ত কোনো কিনারা করতে পারেনি জানিয়ে নাহিদ বলেন, পরিবারগুলোও এ বিষয়ে নিশ্চিত কোনো ধারণা দিতে পারেনি।

“তাদের পরিবার খুবই উদ্বিগ্ন। সকালে মোতালেবের স্ত্রী, আত্মীয়-স্বজন আমার বাসায় এসেছিল। সহকর্মীদের একটি সমিতি আছে, তাদের সঙ্গেও কথা বলেছি। তারাও সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারছেন না- কী হয়ে থাকতে পারে।”

এ বিষয়ে পুলিশের সহায়তা চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

এদিকে পরপর দুইজন নিখোঁজ হওয়ায় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে নাহিদ বলেন, “সবাইকে আমি চিনি, এমন কোনো সম্ভাবনা দেখি না। তবু কারণ নিশ্চয়ই আছে; কোনো স্বার্থ থাকতে পারে, অভিযোগ থাকতে পারে, আমরা হয়তো জানি না। আমরা সবাইকে শান্ত থাকতে বলেছি।”

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, শনিবার মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু আলম খানের বাসায় গিয়েও অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন ব্যক্তি খোঁজখবর করেছে। এর পর থেকে আবু আলমও আতঙ্কে  আছেন।

রোববার বিকালে মন্ত্রণালয়ে আবু আলমের কক্ষে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। কারা তার বাসায় গিয়েছিল, কোন বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছে- সেসব প্রশ্নে তার বক্তব্যও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানতে পারেনি।