জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও প্রগতিশীল গ্র্যাজুয়েট মঞ্চ’।
Published : 26 Dec 2017, 09:12 PM
ভোটের চার দিন আগে মঙ্গলবার ঢাকার ধানমণ্ডিতে জাবি গ্র্যাজুয়েট ক্লাবে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এই আহ্বান জানান মঞ্চের উপদেষ্টা অধ্যাপক এম এ মতিন।
তিনি বলেন, “প্রশাসনে দায়িত্বপালন করা দুজন উপ-উপাচার্য একটি বিশেষ প্যানেলের পক্ষে সরাসরি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন, যা শোভন নয় এবং সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে শঙ্কা তৈরি করেছে।”
দেড় যুগ ধরে জাহাঙ্গীরনগরের সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন হচ্ছে; এতে সাবেক উপাচার্য শরীফ এনামুল কবির নেতৃত্বাধীন প্যানেলকে চ্যালেঞ্জ করে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছে অধ্যাপক মতিন সমর্থিত এই মঞ্চ।
১৭ বছর ধরে যারা সিনেটের পদগুলো ‘দখল’ করে ছিলেন, তাদের প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানান অধ্যাপক মতিন।
তিনি বলেন, “ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রয়োজনে এ প্যানেলে বিভিন্ন ব্যাচ থেকে পরীক্ষিত ছাত্রনেতাদের নিয়ে নতুন প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। এই প্যানেলে ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের মূলধারার নেতারা রয়েছেন। একমাত্র এ প্যানেলেরই সুস্পষ্ট নির্বাচনী অঙ্গীকার রয়েছে।”
এই প্যানেল বিজয়ী হলে তিন বছর পূরণের আগেই সিনেটে পরবর্তী রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন এবং জাকসু নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগ নেবে বলে জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় এক সাংবাদিকের প্রশ্নে মঞ্চ পরিচালনা কমিটির সদস্য মঈনুল হাসান মিতুল বলেন, “বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা আরও একটি প্যানেলের পোস্টারে থাকলেও সেই প্যানেলের প্রার্থীরা নিজেরাই সর্বত্র প্যানেলের পরিচয় দিচ্ছেন শরীফ-মোতাহার প্যানেল হিসেবে।
“এটা প্রমাণ করে এ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও প্রগতিশীল গ্র্যাজুয়েট মঞ্চই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একমাত্র প্যানেল।”
সভায় মঞ্চের আহ্বায়ক ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সফিকুল আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক ছাত্র ইউনিয়ন নেতা নিহার রঞ্জন স্যানাল, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আতিয়ার জামান, সাবেক ছাত্র ইউনিয়ন নেতা রাশেদ মেহেদী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইমরুল হাসান খান, এ কে এম রেজাউল হক তুহিন উপস্থিত ছিলেন।