আগামী ২১ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
Published : 31 Oct 2017, 01:16 PM
মঙ্গলবার কমিশন সভা শেষে ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালউদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “ সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, ৫ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। তখন বিস্তারিত বলা হবে।”
কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন কমিশনের তত্ত্বাবধানে এই নির্বাচন হবে রংপুর সিটি করপোরেশনের দ্বিতীয় নির্বাচন। দলীয় প্রতীকেই এ ভোটে মেয়র পদে প্রার্থী হওয়া যাবে।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নিয়ে পাঁচ দিনের মাথায় কুমিল্লা সিটির ভোট করেছিল বর্তমান কমিশন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অংশগ্রহণে সেটাই ছিল এ ইসির অধীনে প্রথম নির্বাচন।
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সব দলের অংশগ্রহণে ভোট করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সংলাপ শেষ করেছে কমিশন। এ অবস্থায় রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ইসির আস্থা অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হিসাবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, “এ সিটি নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে একটি কেন্দ্রে পরীক্ষামূলকভাবে ইভিএম ব্যবহার করা হবে।”
হেলালুদ্দীন জানান, রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র বাছাই করা হবে। ইভিএম কোন কেন্দ্রে ব্যবহার করা হবে, তা তফসিল ঘোষণার সময়ই জানাবে ইসি।
২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো রংপুর সিটি করপোরেশনে ভোট হয়। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ৫ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে হিসাবে ২০১৮ সালের ১৮ মার্চের মধ্যে রংপুরে নির্বাচন করতে হবে।
এ সিটি করপোরেশনে বর্তমানে ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৪২১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৯৬ হাজার ৬৫৯ এবং নারী ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৬২ জন। সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র ১৯৬টি, ভোটকক্ষ ১ হাজার ১৭৭টি।
পাঁচ বছর আগে ভোটার ছিল ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৭৪২ জন। সেই নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ ছিল না। নির্বাচনে জিতে সিটির প্রথম মেয়র হন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু।