সম্পদের তথ্য গোপন: দুদক কর্মকর্তা বরখাস্ত

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এবার নিজেদের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

সোমবার রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আমিরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে দুদকের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

তিনি জানান, অনুসন্ধানে আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রায় দুই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের প্রমাণ মিলেছে।

দুদকের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ( কমিশনার) ড. নাসিরউদ্দিীন আহমেদের সই করা অফিস আদেশ বলা হয়, দুদকের ওই কর্মকর্তা তার আয়কর বিবরণীতে ব্যাংক হিসাবে গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ শূন্য দেখিয়েছেন। অথচ দুদকের অনুসন্ধানে সোনালী ব্যাংকের সেগুনবাগিচা শাখায় ১২ লাখ ৮৬ হাজার ৮৪৫ টাকা পাওয়া যায়, যা আয়কর নথিতে গোপন রেখেছিলেন তিনি।

অন্যদিকে অনুসন্ধানে গাজীপুর ও টাঙ্গাইল জেলায় তার স্ত্রীর নামে এক কোটি ৭৫ লাখ টাকার  ১ দশমিক ৩০ একর জমি থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই বিষয়ে তিনি বৈধ আয়ের কোনো উৎস দেখাতে পারেননি। এই সম্পদও তিনি গোপন রেখেছিলেন বলে ওই আদেশে উল্লেখ করা হয়।

অফিস আদেশে আরও বলা হয়, দুদক কর্মকর্তা আমিরুল ইসলামের এই কার্যক্রম দুদক কর্মচারী বিধিমালা -২০০৮ অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই দুদক মনে করে তাকে চাকরিতে রাখা জনস্বার্থের জন্য ক্ষতিকর। এ বিবেচনায় এই বিধিমালার ৪৩ (১) বিধি অনুযায়ী ২৩ অক্টোবর থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে দুদক মহাপরিচালক মুনীর চৌধুরী বলেন, আমিরুল ইসলামকে শুধু সাময়িক বরখাস্তই নয়, স্বাভাবিক নাগরিকরা দুর্নীতির দায়ে যেভাবে আইনের মুখোমুখি হয়ে থাকেন, তার ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।