রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রশ্নে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের দুটি ধারা ও নিবন্ধন বিধিমালার একটি বিধি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছে হাই কোর্ট।
Published : 23 Aug 2017, 03:17 PM
সাবেক মন্ত্রী ও তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এম ফারুকের বেঞ্চ বুধবার এ রুল জারি করে।
আইন সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিব ও কমিশনকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে হবে।
নাজমুল হুদা তার আবেদনের পক্ষে নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০ বি, ১২ (৩) (এ) এবং বিধিমালার ৬ (ঞ) ধারা উল্লেখ করে নাজমুল হুদা বলেন, সেখানে যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছে- তা সংবিধান পরিপন্থি।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, কমিশনের তিনটি শর্তের মধ্যে একটি পূরণ হলে একটি দল নিবন্ধনের যোগ্য বিবেচিত হতে পারে।
শর্তগুলো হলো:
১. দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কোনো জাতীয় নির্বাচনের আগ্রহী দলটি যদি অন্তত একটি সংসদীয় আসন পায়।
২. যে কোনো একটি নির্বাচনে দলের প্রার্থী যদি সংশ্লিষ্ট আসনে পড়া মোট ভোটের ৫ শতাংশ পায়।
৩. দলটির যদি একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়, দেশের কমপক্ষে এক তৃতীয়াংশ [২১ টি] প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর কমিটি এবং অন্তত ১০০টি উপজেলা/মেট্রোপলিটন থানায় কমপক্ষে ২০০ ভোটারের সমর্থন সম্বলিত দলিল থাকে।
নতুন কোনো দলকে নিবন্ধন পেতে হলে শেষ শর্তটিই পূরণ করতে হয়।
নাজমুল হুদার যুক্তি, অনেক দল আছে যারা এসব শর্ত পূরণে প্রতারণার আশ্রয় নেয় বা নেবে। সেজন্য শর্ত তুলে দেওয়া দরকার।
২০০৮ সাল থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে। এ পর্যন্ত ৪২টি দল নিবন্ধিত হলেও দুটির নিবন্ধন বাতিল হয়েছে।
ঘোষিত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নতুন দলের নিবন্ধনের জন্য অক্টোবরে আবেদন আহ্বান করবে কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।