বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগ বাড়াতে থাইল্যান্ডকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Published : 06 Jul 2017, 04:51 PM
বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডন প্রামুদউইনাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতে গেলে এ আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রেস সচিব বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে থাইল্যান্ড থেকে আরো বিনিয়োগ আহ্বান করেছেন, বিশেষ করে কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরন খাত ও পর্যটনে।
“প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে হবে এবং বাণিজ্য আরো বাড়াতে হবে।”
বাংলাদেশে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ রয়েছে দেড় বিলিয়ন ডলারের মত। দুই দেশের বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমান এক বিলিয়ন ডলার।
থাইল্যান্ড বাংলাদেশের কাছে দুই লাখ মেট্ট্রিক টন চাল বিক্রি করতে চাওয়ায় ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
“শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের খাদ্যের অভাব নেই। তারপরও বন্যার মৌসুম হওয়ায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মজুদ বাড়ানো হচ্ছে।”
প্রেস সচিব বলেন, “সফররত থাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, থাইল্যান্ডের এশিয়ান ইন্সটিটিউট ফর টেকনোলজিতে বঙ্গবন্ধুর নামে একটি চেয়ার স্থাপন করা হয়েছে যেটির উদ্বোধন করবেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।”
মেকং-গঙ্গা কোঅপারেশন ফোরাম এবং দ্য ইস্ট ওয়েস্ট ইকনোনিমক ফোরামের মতো আঞ্চলিক ফোরামে সদস্য হতে বাংলাদেশকে থাইল্যান্ড সমর্থন দেবে বলে তিনি জানান।
এছাড়া আসিয়ানের সেক্টরাল পার্টনার হতেও বাংলাদেশকে সমর্থনের আশ্বাস দেন থাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
২০১০ সালে থাইল্যান্ডের রাজকন্যা প্রিন্সেস শিরিন ধর্নের বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করে আগামী বছরের শুরুর দিকে আবারো রাজকন্যা বাংলাদেশ সফরে এলে খুশি হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
থাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের পারস্পরিক সফরের কথাও বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত রাজা ভুমিবলের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বর্তমান রাজাকে অভিনন্দন জানান।
সৌজন্য সাক্ষাতে পরাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী উপস্থিত ছিলেন।