জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নিয়ে ঢাকার দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলা তদন্তের ভার বনানী থানা থেকে পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারকে দেওয়া হয়েছে। এখন মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও নতুন করে নিয়োজিত হবেন।
Published : 09 May 2017, 08:30 PM
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়ার নির্দেশে মামলাটি স্থানান্তর করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার রাতে পুলিশের গণমাধ্যম শাখার উপ-কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন।
আপন জুয়েলার্সের মালিকের এক ছেলেসহ প্রভাবশালী কয়েকটি পরিবারের সন্তানদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটির ছায়া তদন্তে রয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
তবে মাসখানেক আগের ওই ঘটনায় শনিবার মামলা দায়েরের পর তিন দিন পার হলেও এখনও কোনো আসামিকে ধরতে পারেনি পুলিশ।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে নাঈম আশরাফ (৩০) একজন ঠিকাদারের ছেলে, সাদমান সাকিফ (২৪) পিকাসো রেস্তোরাঁর অন্যতম মালিক মোহাম্মদ হোসেন জনির ছেলে। বাকি দুই আসামির একজন সাফাতের দেহরক্ষী ও অন্যজন গাড়িচালক।
আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
এতদিন মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা বনানী থানার পরিদর্শক আব্দুল মতিন দুপুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সাফাতের বাসায় পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। অন্যান্যা আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
একই কথা বলেছেন গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. শাহাজাহান।
রাতে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা অপরাধীদের ধরতে কাজ করে যাচ্ছি।”
শনিবার রাতে বনানী থানায় দায়ের করা মামলার বাদী শিক্ষার্থীর অভিযোগ, আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানের দাওয়াত পেয়ে ২৮ মার্চ এক বান্ধবীসহ তিনি বনানীর ‘দি রেইনট্রি’ হোটেলে গিয়েছিলেন। সেখানে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাতভর আটকে রেখে সাফাত ও নাঈম তাদের ধর্ষণ করেন। অন্য তিনজন তাতে সহায়তা করে।
ধর্ষিতাদের ‘ইচ্ছা অনুযায়ী’ মামলাটি ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশের এই সেবা কেন্দ্রে দায়িত্বরত উপ-কমিশনার ফরিদা ইয়াসমিন জানিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভিকটিমরা চেয়েছে মামলাটির তদন্ত ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার থেকে করা হোক। এছাড়া থানা ও গোয়েন্দা পুলিশও তদন্তে থাকবে।”