পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি প্রশ্ন রেখেছেন, এ পুলিশ বাহিনীর কোনো প্রয়োজন আদৌ আছে কিনা।
মঙ্গলবার বিকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশনের আয়োজনে ‘ডিভিশনাল কনসালটেশন অন ভলান্টারি ন্যাশনাল রিভিউ অন এসডিজি’ শীর্ষক এক মুক্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছিলেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।
গত ২৮ মার্চ বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ নামের একটি হোটেলের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করে নিয়ে ওই দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গত শনিবার মামলা হয়।
মামলার আসামিদের মধ্যে সাফাত আহমেদ আপন জুয়েলার্সের মালিক চার ভাইয়ের একজন দিলদার আহমেদের বড় ছেলে।নাঈম আশরাফ ও সাদমান সাকিফ (২৪) নামে দুজন সাফাতের বন্ধু এবং বিল্লাল (২৬) তার গাড়িচালক। অপরজন সাফাতের দেহরক্ষী, মামলায় তার নাম উল্লেখ করা হয়নি।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করে বলেন, “এই পুলিশের প্রয়োজন কি আমাদের। দুই ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে ৪ মে বনানী থানায় মামলা করতে গেলে তাদের দুই দিন ঘোরায় পুলিশ। এমনকি মেয়ে দুটির চরিত্র হনন করা হয়েছে। একটি মামলা নিতে দুই দিন লাগে?”
ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়েরের পর তিন দিন গড়ালেও পাঁচ আসামির কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
তবে পুলিশ বলছে, আসামিরা প্রভাবশালী হলেও তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আসামিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে সে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এরই মধ্যে মামলার প্রধান আসামি সাফাতকে গ্রেপ্তারে তার বাসায় কয়েক দফা অভিযান চালানো হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
কাজী রিয়াজুল বলেন, “পুলিশের গাফলতি ও নিষ্ক্রিয়তার কারণে ধর্ষণ মামলার আসামি যুবকরা ধরা পড়েনি। জনগণের টাকায় প্রতিপালিত পুলিশের এ আচরণ কোনোভাবেই সহ্য করা যায় না।”
তিনি বলেন, “বনানীর মতো অভিজাত এলাকায় একটি চারতারকা মানের হোটেলে নিয়ে দুজন মেয়েকে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হলো, আর পুলিশ কিছুই জানে না। অথচ এ হোটেলে কে আসছে, কে যাচ্ছে সব কিছুই পুলিশের নখদর্পনে থাকে। যাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তারা প্রভাবশালী ও বিত্তশালী হয়েও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন ঘটিয়েছে।”