পহেলা বৈশাখে বর্ষবরণের উৎসবে নারীদের যৌন নিপীড়নের মামলায় গ্রেপ্তার মো. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধেই আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশের তদন্ত ব্যুরো-পিবিআই।
Published : 20 Dec 2016, 11:09 AM
মামলাটি পুনরুজ্জীবিত হওয়ার প্রায় ১১ মাস পর মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় পিবিআইয়ের পরিদর্শক আবদুর রাজ্জাক এই অভিযোগপত্র জমা দেন।
পিবিআইয়ের প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার ভৌমিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কামালের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। তদন্তে আমাদের মনে হয়েছে, কামাল ওই ঘটনায় জড়িত।”
দেড় বছরের বেশি সময় আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বর্ষবরণের উৎসবের মধ্যে ওই ঘটনায় আর কাউকে পিবিআই শনাক্ত করতে পারেনি বলে জানান বনজ কুমার।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, অভিযোগপত্রে রাষ্ট্রপক্ষে মোট ৩৪ জনকে সাক্ষী করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
২০১৫ সালে পহেলা বৈশাখের সন্ধ্যায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটকে ভিড়ের মধ্যে একদল যুবক নারীদের ওপর চড়াও হয়। পরদিন শাহবাগ থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এরপর ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ভিডিও থেকে আট নিপীড়কের ছবি পাওয়ার কথা জানান পুলিশ প্রধান। তাদের ধরিয়ে দিতে গত বছরের ১৭ মে এক লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়।
কিন্তু এ বছর ২৮ জানুয়ারি ঢাকার চকবাজার এলাকা থেকে মো. কামাল হোসেন নামের এক সব্জি বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, তার ছবিও ওই আটজনের মধ্যে ছিল। ঘটনার সময় তার দাঁড়ি থাকলেও গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি তা কেটে ফেলেন।
মামলা সক্রিয় না থাকায় কামালকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। সেই সঙ্গে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা পুরনো মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা দীপক।
মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করার পর রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মাহমুদা খাতুনের আবেদনে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ৩ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার মামলা পুনঃতদন্তের দায়িত্ব দেন পুলিশের তদন্ত ব্যুরোকে।
কয়েক দফা সময় পেছানোর পর বুধবার কেবল কামালকে আসামি করেই অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা রাজ্জাক।
আরও পড়ুন