দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা সীমান্তরক্ষা বাহিনীর নেতৃত্ব পেয়েছেন মেজর জেনারেল আবুল হোসেন, যিনি রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
Published : 02 Nov 2016, 04:27 PM
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ১৯৮১ সালে কমিশন পাওয়া এই কর্মকর্তা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক পদে মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন।
অন্যদিকে আজিজ আহমেদ পদোন্নতি পেয়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল হয়ে ফিরে যাচ্ছেন সেনাবাহিনীতে।
আজিজ আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তাকে সেনা সদর দপ্তর থেকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল হিসেবে পদোন্নতির কথা জানানো হয়েছে। ‘আর্মি ট্রেইনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড (এআরটিডিওসি)’ এর জিওসি করা হয়েছে তাকে।
পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ভয়াবহতা পেরিয়ে সীমান্তরক্ষা বাহিনীর নাম ও পোশাক বদলে যাওয়ার পর ২০১২ সালে এ বাহিনীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন জেনারেল আজিজ।
গত চার বছরে সীমান্তের পাশাপাশি দেশের ভেতরে রাজনৈতিক অস্থিরতায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বও এ বাহিনীকে পালন করতে হয়েছে।
মেজর জেনারেল হোসেন রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিবের দায়িত্ব নিয়ে বঙ্গভবনে আসার আগে সেনা সদরদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার ইন চিফ এবং মিরপুরে সেনাবাহিনী পরিচালিত মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ও গাজীপুরে বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানার কমান্ডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন।
এক সময় ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব পালন করা আবুল হোসেন কুয়েতে জাতিসংঘ শান্তি মিশনেও নেতৃত্বের পর্যায়ে কাজ করেছেন।
বুয়েট থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি পাওয়া এই সেনা কর্মকর্তা ব্যবসায় প্রশাসন ও ডিফেন্স স্টাডিজে মাস্টার্স করেছেন। চীন, তুরস্ক ও যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের নিয়েছেন প্রশিক্ষণ।
১৯৬২ সালে জন্ম নেওয়া মেজর জেনারেল আবুল হোসেনের বাড়ি পটুয়াখালী জেলায়। তিনি দুই মেয়ের বাবা।