গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে শুক্রবার থেকে আগামী সাত দিন দেশজুড়ে জঙ্গি দমনে ‘সাঁড়াশি অভিযানে’ নামার ঘোষণা দিয়েছে পুলিশ।
Published : 09 Jun 2016, 06:44 PM
চট্টগ্রামে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নেতৃত্বদাতা কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের পর বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দপ্তরে আইজিপি এ কে এম শহীদুল হকের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে এই অভিযানের সিদ্ধান্ত হয়।
‘জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামছে পুলিশ’ শিরোনামে এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানে নামছে পুলিশ। দেশব্যাপী এই অভিযান শুক্রবার ভোর থেকে শুরু হবে, চলবে সাত দিন।”
গত এক বছরে যেভাবে লেখক, প্রকাশক, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, বিদেশিদের হত্যা করা হয়েছিল, গত ৫ জুন সেই কায়দায়ই কুপিয়ে ও গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় এসপিপত্নী মাহমুদা আক্তার মিতুকে।
বাবুল পুলিশ সদর দপ্তরে বদলি হয়ে ঢাকায় এলেও তার স্ত্রী ও দুই সন্তান চট্টগ্রামেই ছিলেন। ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দেওয়ার সময় বাড়ির কাছেই আক্রান্ত হন মিতু।
এই হত্যাকাণ্ডে জঙ্গিদের সন্দেহ করলেও পাঁচ দিনেও খুনিদের শনাক্ত কিংবা গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এর মধ্যেই পুলিশ সদর দপ্তরে সহকর্মীর স্ত্রী হত্যার পর পরিস্থিতি নিয়ে বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন পুলিশপ্রধান শহীদুল হক।
প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার এই বৈঠকে পুলিশের মহাপরিদর্শক জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবিরোধী প্রচারণা জোরদার করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন এবং তথ্য সংগ্রহের জন্য কমিউনিটি পুলিশিংকে কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন।
শহীদুল হক বলেন, “এই ঘটনার (বাবুলের স্ত্রী খুন) সাথে যারা জড়িত, তাদের অত্যন্ত দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আমাদের আনতে হবে।”
এজন্য বাহিনীর সব সদস্যকে একতাবদ্ধ হয়ে, দৃঢ় মনোবল নিয়ে, পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান পুলিশ প্রধান।
বাবুলের স্ত্রী খুনের পর ঢাকা ও উত্তরাঞ্চলে পুলিশের কথিত বন্দুকযুদ্ধে অন্তত তিনজন নিহত হন, যারা জঙ্গি বলে পুলিশের দাবি।
সভায় আসার আগে আইজিপি বনশ্রীতে বাবুলের বাসায় যান। সভার শুরুতে সহকর্মীর স্ত্রীর স্মৃতির প্রতি সম্মান জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সভায় অতিরিক্ত আইজিপি ফাতেমা বেগম, সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি শেখ হিমায়েত হোসেন, রেলওয়ে রেঞ্জের অতিরিক্ত আইজিপি আবুল কাশেম, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ সব মহানগর পুলিশ কমিশনার, বিভিন্ন রেঞ্জের ডিআইজি এবং ঢাকা, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, জয়পুরহাট, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ, নীলফামারী, বগুড়া, ঝিনাইদহ ও নাটোর জেলার পুলিশ সুপাররা উপস্থিত ছিলেন।