চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক হচ্ছে কিনা তা দেখা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।
Published : 05 May 2016, 07:36 PM
বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমরা বিকৃত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন লক্ষ্য করছি। নির্বাচনে সহিংসতা ও অনিয়মের পাশাপাশি বর্তমানে প্রকাশ্যে অস্ত্রের ব্যবহার হচ্ছে, যা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য অশনি সংকেত।
“শুধু নির্বাচনের দিনকে বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বললে হবে না; বরং নির্বাচনের আগে-পরে কী ঘটছে, নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক হচ্ছে কিনা এবং সবাই প্রার্থী হতে পারছে কিনা তা বিবেচনায় নিতে হবে।”
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চালচিত্র’ শীর্ষক এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সুজন।
লিখিত বক্তব্যে সুজন কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার বলেন, “বিভিন্ন কারণে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন জনগণের দৃষ্টি কেড়েছে।
“কারণগুলোর মধ্যে ব্যাপক সহিংসতা ও প্রাণহানি, মনোনয়ন বাণিজ্যের ব্যাপকতা, রেকর্ড সংখ্যক ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া, একটি বড় রাজনৈতিক দল কর্তৃক অনেক ইউনিয়নে প্রার্থী দিতে না পারা, এক দলকেন্দ্রিক ফলাফল, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হামলা-নির্যাতন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।”
ইউপি নির্বাচনে ‘ব্যাপক অনিয়ম’র অভিযোগে নির্বাচন কমিশনকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে মন্তব্য করে দিলীপ বলেন, “সমালোচনার মুখে পড়েছে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোও, বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।”
প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকের এই নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলো মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে নারী প্রার্থীদের উপেক্ষা করেছে বলে মনে করছে সুজন।
সংস্থাটির কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক দলগুলো নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের কথা বলে এলেও বাস্তবে আমরা উল্টো চিত্রটি দেখতে পাই। প্রথম দুদফায় আওয়ামী লীগ মাত্র ১২ জন এবং বিএনপি মাত্র ছয়জনকে চেয়ারম্যান প্রার্থী করে।”
এবারের নির্বাচনে এ পর্যন্ত ১৪ জন নারীর চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হওয়ার তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়।
সুজন সভাপতি এম হাফিজউদ্দীন খানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে সুজনের জাতীয় কমিটির সদস্য মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।