সম্পদের মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে বিতর্কিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
Published : 10 Mar 2016, 06:38 PM
কমিশনের উপ-পরিচালক মীর জয়নুল আবেদিন শিবলী বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর রমনা থানায় মুসার বিরুদ্ধে মামলা করেন।
অবৈধ সম্পদ এবং মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় দুদক আইনের ২৬ (১) ও (২) ধারায় মামলা হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।
রমনা থানার উপ-পরিদর্শক আমেনা বেগমও ব্যবসায়ী মুসার বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করার কথা জানিয়েছেন।
বাণিজ্য সাময়িকী বিজনেস এশিয়ায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিমের বেয়াই মুসা বিন শমসেরের সম্পদের অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ ছিল সুইস ব্যাংকে মুসার সাত বিলিয়ন ডলার আছে।
অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে ওই বছর ১৮ ডিসেম্বর প্রথমবারের মত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে তলব করেছিল দুদক।
এরপর ২০১৫ সালের মে মাসে তাকে সম্পদ বিবরণী জমা দিতে নোটিস দেয় দুদক। নোটিসের জবাবে পরের মাসে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন তিনি।
সম্পদ বিবরণীতে মুসা জানান, সুইস ব্যাংকে তার ১২ বিলিয়ন ডলার (প্রতি ডলার ৭৮ টাকা হিসেবে বাংলাদেশী টাকায় ৯৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা) ‘ফ্রিজ’ অবস্থায় আছে। এ ছাড়া একই ব্যাংকে তার ৯০ মিলিয়ন ডলারের অলঙ্কার রয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
এছাড়া গাজীপুর ও সাভারে এক হাজার ২০০ বিঘা জমি আছে বলেও উল্লেখ করেছিলেন মুসা।
এর মধ্যে চলতি বছর ২৮ জানুয়ারি তাকে দ্বিতীয়বারের মত তলব করে দুর্নীতি দমন কমিশন।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কমিশন কার্যালয়ে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুসা বলেছিলেন, “আমি ধোলাইখাল থেকে পানি নিয়ে আটলান্টিক মহাসাগর গড়িনি। আর বাংলাদেশ থেকে হুণ্ডি করে বিদেশে এত টাকা জমানো সম্ভব নয়। ৪০ টি দেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমার ব্যবসা। সেসব দেশে যত বিল সেটল হয়েছে, তা সুইস ব্যাংকে ট্রান্সফার হয়েছে। দুদককে আমি সেই সব তথ্য দিয়েছি।”
বৃহস্পতিবার এ বিষয় এক প্রশ্নের উত্তরে দুদকের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, “উনি সাংবাদিকদের কি বলেছেন তা জানি না, তবে সুইস ব্যাংকের টাকার অনুসন্ধানে প্রয়োজনীয় কোনো তথ্য তিনি দুদককে কখনও দেননি। সাভারে সম্পত্তির বিষয়ে তিনি আমাদের যে তথ্য দিয়েছিলেন, তাতেও যথেষ্ট গরমিল রয়েছে।”