দামি দামি মোবাইল ফোন চুরি বা ছিনতাই হওয়ার পর চলে যাচ্ছে একটি চক্রের কাছে। চক্রটি একটি ডিভাইসের মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিটি (আইএমইআই) নম্বর পরিবর্তন করে সেগুলো বাজারে ছাড়ছে। তারপর কেনা বেচা বা ব্যবহার হচ্ছে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডেও। ফলে ওইসব সেট কারও পক্ষেই আর খুঁজে বের করা সম্ভব হচ্ছে না।
Published : 08 Mar 2016, 12:45 AM
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার আশিকুর রহমান সোমবার জানিয়েছেন, গত ৫ মার্চ তাদের একটি দল রাজধানীর গুলিস্তানের পাতাল মার্কেটে অভিযান চালিয়ে মোক্তার আমিন ওরফে বাবু এবং রাজু আহম্মেদ নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করার পর এ ধরনের মিলেছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, চুরি বা ছিনতাই হয়ে যাওয়া অধিকাংশ মোবাইল সেট রাজধানীর স্টেডিয়াম মার্কেট বা গুলিস্তানের পাতাল মার্কেটে চলে যায়। এসব মার্কেটে একটি নিয়মিত চক্রই আছে; যারা ফোনগুলো পাওয়ার পর একটি ডিভাইসের মাধ্যমে খুব দ্রুত আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে ইচ্ছামতো নম্বর বসিয়ে সেভ করে।
“ব্যাস মোবাইলের নতুন আইএমইআই নম্বর হয়ে গেলে। তারপর আর কারও পক্ষেই সম্ভব হয় না ফোনটির আসল আইএমইআই নম্বর বের করা,” বলেন গোয়েন্দা কর্মকর্তা আশিকুর।
তিনি বলছেন, এ কারণে ছিনতাই বা চুরি হওয়া মোবাইল ফোনগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। আর নিশ্চিন্তে অপর একটি চক্র এসব ফোনের খোলস বদলে প্রকাশ্যেই নতুন হিসেবে কেনা-বেচা করছে।
আইএমইআই নম্বর পাল্টে ওই ফোন খুব সহজে অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করার সুযোগও রয়েছে বলে জানান তিনি।
আশিকুর বলেন, সাধারণত দামি মোবাইল ফোন চুরি-ছিনতাই বা হারিয়ে গেলে অভিযোগ করা হয়। অপরাধীরা এসব মোবাইল বেশি গুরুত্ব দিয়ে ব্যবহার করার আগেই আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে।
বড়বড় মার্কেটে এ ধরনের মোবাইল সেট থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয় বলে মনে করেন তিনি।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা আশিকুর বলেন, রাজধানীতে এ ধরনের বেশ কয়েকটি চক্র আছে। তাদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।