গত কয়েক বছরে পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে ‘ব্যর্থতার’ সমালোচনার মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলছেন, আসছে এসএসসি পরীক্ষায় এই ধরনের চেষ্টা কেউ করলে তাদের হাত ভেঙে যাবে।
Published : 25 Jan 2016, 05:14 PM
১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া এসএসসি পরীক্ষা উপলক্ষে সোমবার সচিবালয়ে এক বৈঠকে এই হুঁশিয়ারি দেওয়ার পাশাপাশি প্রশ্ন ফাঁসের গুজবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
প্রশ্ন ফাঁসের সব সুযোগ বন্ধ করারে দাবি করে নাহিদ বলেন, “দেশবাসীর প্রতি এই মেসেজ পৌঁছে দিতে চাই- প্রশ্ন পাবেন, (প্রশ্ন) ফাঁস হবে, নকল করতে পারবেন- এই আশায় বসে থাকবেন না, তাহলে বিপদে পড়বেন, সর্বনাশ হয়ে যাবে।
“শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুরোধ- মিথ্যার পিছনে ছুটো না, ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আশা করব, আমাদের ছেলে-মেয়েরা বিভ্রান্ত হবে না, অভিভাবক-শিক্ষকরা সেভাবে প্রস্তুত করুন।”
এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৬ লাখ ৬৯ হাজার ৩১৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবেন।
প্রশ্নপত্র ফাঁস বা ফাঁসের গুজব ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারীদের উদ্দেশে নাহিদ বলেন, “যারা ফটোকপি করে বিলি (প্রশ্ন) করেন, দয়া করে এখানে হাত দেবেন না, আমাদের যথেষ্ট শক্তি এবং জনবল গড়ে উঠেছে।
“যিনি হাত দেবেন, হাত পুড়ে বা ভেঙে যাবে। এখান থেকে রেহাই পাবে না। আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি।”
গত কয়েক বছরের কয়েকটি পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠার পর তা নিয়ে শিক্ষাবিদরা সমালোচনা করলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় বারবারই গুজব বলে তা নাকচ করে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রশ্নফাঁস, প্রশ্ন ফাঁসের নামে বিভ্রান্তি সৃষ্টি, মিথ্যা তথ্য দিয়ে কোচিং সেন্টারের ব্যবসা ও মানুষকে বিভ্রান্ত করার সুযোগ ‘উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে’।
প্রশ্ন ছাপানোর স্থান বিজি প্রেস থেকে ফাঁস হওয়ার সুযোগ বন্ধ করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
“সেখান থেকে অটোমেটিক সিলগালা হয়ে প্রশ্ন চলে যাবে। সেখানে কারও পক্ষে একটি প্রশ্নও মুখস্ত করা সম্ভব না।”
তবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সুযোগ বন্ধে আধা ঘণ্টা আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রশ্ন পৌঁছানো এই মুহূর্তে প্রয়োগ করা সম্ভব নয় বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষক নামধারী কিছু ‘কুশিক্ষক’ পরীক্ষা শুরুর আগে নিজ নিজ ছাত্রদের এমসিকিউ প্রশ্ন ফাঁস করে দিত বলে শিক্ষামন্ত্রী জানান।
“তাদের অনেককে শাস্তির আওতায় নিয়ে এসেছি। এজন্য সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রণয়ন করা হয় না।”
এর আগে ফেইসবুকসহ ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগও ওঠে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ফেইসবুকে প্রশ্ন ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি বন্ধে পরীক্ষার সময় বিটিআরসি তৎপর থাকবে।