একাত্তরে নজিরবিহীন নিষ্ঠুরতার সঙ্গে গণহত্যা ও হত্যার সংঘটিত করার চার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে হল চট্টগ্রামের ত্রাস খ্যাত স্বাধীনতাবিরোধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে।
Published : 22 Nov 2015, 12:25 AM
রাউজানে কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের মালিক নূতন চন্দ্র সিংহ, সুলতানপুর ও ঊনসত্তরপাড়ায় হিন্দু বসতিতে গণহত্যা এবং হাটহাজারীর আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজাফফর ও তার ছেলে শেখ আলমগীরকে অপহরণ করে খুনের দায়ে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত আইনি লড়াইয়ে গিয়েও হেরে যান সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী।
জান বাঁচানোর শেষ প্রচেষ্টা হিসেবে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদনও নাকচ হলে রোববার প্রথম প্রহরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগরে একাত্তরের এই যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়; অবসান হয় একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা আর ক্ষতিগ্রস্তদের চার দশকের অপেক্ষার।
২০১৩ সালের ১ অক্টোবর সালাউদ্দিন কাদেরের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে সাকা সুপ্রিম কোর্টের আপিল করলে তাতে সাজা বদলায়নি। গত ২৯ জুলাই আপিলের রায়ে চার অভিযোগে তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে আপিল বিভাগ।
ওই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য সালাউদ্দিন কাদের আপিল বিভাগে আবেদন করলেও শুনানি শেষে বুধবার তা খারিজ করে দেয় সর্বোচ্চ আদালত।
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা ও আপিল বেঞ্চের অন্য তিন বিচারকের দেওয়া রায়ে বলা হয়, আপিল শুনানির পর দেওয়া রায়ে কোনো ত্রুটি বিচারকদের নজরে আসেনি। সুতরাং দণ্ড পুনর্বিবেচনার কোনো কারণও তারা খুঁজে পাননি।
তিনি কীভাবে একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীকে নিয়ে হত্যা, লুটপাট চালিয়েছেন, কীভাবে তিনি মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতার পক্ষের লোকজনকে ধরে এনে নিজের গুডহিলের বাসায় আটকে রেখে নির্যাতন চালিয়েছেন- তার বিশদ বিবরণ উঠে আসে ওই রায়ে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ২৩ অভিযোগের মধ্যে নয়টিতে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে এই মামলার রায় দেয় ট্রাইব্যুনাল। এই রায়ের বিরুদ্ধে তার করা আপিল আংশিক মঞ্জুর করে শুধু ৭ নম্বর অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেয় সর্বোচ্চ আদালত।
কিন্তু নিষ্ঠুরতা ও অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৮, ১৭ ও ১৮ নম্বর অভিযোগে যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরীর সাজা সর্বোচ্চ আদালতও বহাল রাখে।
রায়ের পর্যবেক্ষণে এসেছে, একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর নিষ্ঠুরতার জন্য তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়াই যথাযথ হয়েছে। …নজিরবিহীন নিষ্ঠুরতার জন্য কোনো উদারতা পাওয়ার যোগ্য নন তিনি।
রায়ে বলা হয়, “মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা মানব সভ্যতায় বিদ্যমান জঘন্যতম অপরাধ। সভ্যতার সব যুগে এই সব অপরাধকে সবচেয়ে নৃশংস, আতঙ্কজনক ও ভয়াবহ কাজ হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
“আসামি এসব অপরাধ সর্বোচ্চ নির্দয়তা ও নিষ্ঠুরতার সঙ্গে করেছেন। বেসামরিক ও নিরস্ত্র মানুষকে তিনি নিপীড়ন করেছেন, নির্যাতন করে হত্যা করেছেন, নির্দোষ মানুষের অন্তর্ধানের কারণ হয়েছেন, মানুষকে অন্তর্ধানে পাকিস্তানি বাহিনীকে সহায়তা করেছেন। তিনি নির্বিচারে মানুষের সম্পত্তি লুটপাট করেছেন, লুটপাটে সহায়তা করেছেন।”
সালাউদ্দিন কাদের ঠাণ্ডা মাথায় সুপরিকল্পিত ছকে এসব অপরাধ সংগঠন করেছেন বলেও আপিলের রায়ে উঠে আসে।
“সেই এলাকায় তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও হিন্দু সম্প্রদায়কে সম্পূর্ণ বিনাশ করতে তিনি এই সব অপরাধ সংঘটন করেছেন। গণ মানুষকে হত্যায় তার এই মিশনকে তিনি সফলতার সঙ্গে সম্পূর্ণ করেছেন, যা দখলদার সেনাবাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীদের সাহায্যে সংগঠিত নজিরবিহীন নিষ্ঠুরতা।”
রাউজানের সতীশ চন্দ্র পালিতকে হত্যা ও লাশ পোড়ানোর অভিযোগ থেকে সর্বোচ্চ আদালত সাকা চৌধুরীকে খালাস দেন, তাতে তাকে ২০ বছরের সাজা দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল।
বাকি অভিযোগগুলোর মধ্যে ৩, ৫, ৬ ও ৮ নম্বর অভিযোগে হত্যা ও গণহত্যার ঘটনায় তার ফাঁসির রায় আসে। প্রথম তিনটি অপরাধ ঘটানো হয় ১৯৭১ সালের ১৩ এপ্রিল, অপরটি তার চার দিন পর।
২ ও ৪ নম্বর অভিযোগের প্রতিটিতে সাকা চৌধুরীকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। আর ১৭ ও ১৮ নম্বর অভিযোগের প্রতিটিতে পাঁচ বছরের সাজা দেওয়া হয়।
নির্মমতার চার অভিযোগে ফাঁসি
৩, ৫, ৬ ও ৮ নম্বর অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ে বলা হয়, “এটা প্রমাণিত যে, অভিযুক্ত নিজে উপস্থিত থেকে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে। আমরা এই বিষয়ে একমত যে, মানবতার নীতিবোধকে কাঁপিয়ে দেওয়া এ ধরনের গুরুতর অপরাধে আইন অনুযায়ী আসামির সর্বোচ্চ সাজাই প্রাপ্য।”
৩ নম্বর অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ১৩ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে রাউজানের গহিরা এলাকায় কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের মালিক নূতন চন্দ্র সিংহের বাড়ি ঘিরে ফেলা হয়। সালাউদ্দিন কাদেরের উপস্থিতিতে প্রার্থনারত নূতন চন্দ্রকে টেনে বাইরে নিয়ে আসা হয়। সাকার নির্দেশে পাকিস্তানি সেনারা নূতন চন্দ্রের ওপর গুলি চালায়। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী নিজে তাকে গুলি করেন।
এঘটনায় তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়।
সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে গণহত্যা ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ রয়েছে ৫ নম্বরে। এতে বলা হয়, একই দিন দুপুর ১টার দিকে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও তার সহযোগীরা পথ দেখিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে রাউজানের সুলতানপুর গ্রামের হিন্দুবসতিপূর্ণ বণিকপাড়ায় নিয়ে যান। সেখানে হিন্দুদের উপর নির্বিচারে গুলি চালানো হলে নেপাল চন্দ্র ধর, মণীন্দ্র লাল ধর, উপেন্দ্র লাল ধর ও অনীল বরণ ধর নিহত হন। পরে বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার সময় লুকিয়ে থাকা সনাতন বিশ্বাস ও তার পরিবার পরে পালিয়ে ভারতে চলে যান।
৬ নম্বর অভিযোগে বলা হয়, ওই দিন বিকাল ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে রাউজানের হিন্দু বসতি ঊনসত্তরপাড়ায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যান সালাউদ্দিন কাদের ও তার কয়েকজন সহযোগী। বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা বলে গ্রামের ক্ষিতিশ মহাজনের পুকুরপাড়ে নিয়ে ব্রাশফায়ার করে ৭০ জনকে হত্যা করা হয়। এদের মধ্যে চন্দ্র কুমার পাল, গোপাল মালী, সন্তোষ মালী, বলরাম মালীসহ ৫০ জনের পরিচয় জানা গেলেও বাকিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। ওই ঘটনায় জানুতি বালা পাল নামে একজন গুলিবিদ্ধ হলেও বেঁচে যান। আরও অনেক হিন্দু পরিবারসহ পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন তিনি।
এ ঘটনায় গণহত্যা, দেশান্তরে বাধ্য করাসহ তিনটি অভিযোগ আনা হয় আসামির বিরুদ্ধে।
৮ নম্বর অভিযোগে বলা হয়, ১৭ এপ্রিল বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজাফফর তার পরিবারসহ রাউজান থেকে চট্টগ্রাম শহরে আসার পথে হাটহাজারীর তিন রাস্তার মোড় এলাকায় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর নেতৃত্বে ও সহযোগিতায় তাদের প্রাইভেট কার থেকে নামিয়ে হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আর্মি ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে তাদের মুক্তির জন্য সালাউদ্দিন কাদেরের বাবা ফজলুল কাদের চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা দুজন ফিরে আসেনি। পরে তাদের দুজনকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় সালাউদ্দিন কাদেরের বিরুদ্ধে অপহরণ ও হত্যায় সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়।
গণহত্যায় সহযোগিতায় ২০ বছর
২ ও ৪ নম্বর অভিযোগে সাকা চৌধুরীকে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া ২০ বছরের কারাদণ্ডই আপিল বিভাগ বহাল রেখেছে।
২ নম্বর অভিযোগে বলা হয়, আসামি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ১৯৭১ সালের ১৩ এপ্রিল ভোর সাড়ে ৬টা থেকে ৮টার মধ্যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে রাউজানের মধ্যগহিরা হিন্দুপাড়া ঘিরে ফেলে। পরে ডা. মাখনলাল শর্মার বাড়ির আঙিনায় নিরস্ত্র হিন্দুদের একত্রিত করে সালাউদ্দিন কাদেরের উপস্থিতিতেই নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। এ ঘটনায় পঞ্চবালা শর্মা, সুনীল শর্মা, জ্যেতিলাল শর্মা ও দুলাল শর্মা ঘটনাস্থলেই নিহত হন। মাখনলাল শর্মা ঘটনার তিন-চারদিন পর মারা যান। জয়ন্ত কুমার শর্মা গুরুতর আহত হন এবং পরে প্রতিবন্ধী হয়ে যান।
এ ঘটনায় গণহত্যায় সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয় সালাউদ্দিন কাদেরের বিরুদ্ধে।
তার বিরুদ্ধে গণহত্যা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও দেশান্তরে বাধ্য করায় পরিকল্পনা ও সহযোগিতার ঘটনায় ৪ নম্বর অভিযোগ আনা হয় বিএনপি নেতা সাকার বিরুদ্ধে।
এতে বলা হয়, ১৩ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে পাকিস্তানি সেনা সদস্যদের নিয়ে রাউজানের জগৎমল্লপাড়ায় যান সালাউদ্দিন কাদের। ওই দিন সকালে সালাউদ্দিনের অন্য দুই সহযোগীকে ওই গ্রামে পাঠিয়ে গ্রামের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একটি মিটিংয়ে যোগ দিতে বলা হয়। পরে গ্রামটি ঘিরে ফেলে কিরণ বিকাশ চৌধুরীর বাড়ির আঙিনায় জমায়েত হওয়া হিন্দুদের ওপর নির্বচারে গুলি চালানো হয়। এতে তেজেন্দ্র লাল নন্দী, সমীর কান্তি চৌধুরী ও অশোক চৌধুরীসহ ৩২ জন নিহত হন।
এছাড়া অমলেন্দ্র বিকাশ চৌধুরী, জ্যোৎস্না বালা চৌধুরী ও ছবি রাণী দাস গুরুতর আহত হন। এরা প্রত্যেকে পরে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এরপর গ্রামের বিভিন্ন বাড়িঘর লুটপাট করা হয় এবং আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
দুই অভিযোগে ৫ বছর
দুই অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে সাকা চৌধুরীকে দেওয়া ট্রাইব্যুনালের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড আপিল বিভাগও বহাল রেখেছে।
এর মধ্যে ১৭ নম্বর অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ৫ জুলাই সন্ধ্যা ৭টা-সাড়ে ৭টার দিকে কয়েকজন সহযোগী ও পাকিস্তানি সেনাকে নিয়ে কোতোয়ালি থানার হাজারী লেনে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর বাড়ি থেকে নাজিমুদ্দিন আহমেদ, সিরাজ, ওয়াহিদ ওরফে জানু পাগলাকে অপহরণ করা হয়। তাদের চট্টগ্রাম শহরের গুডস হিলে সাকা চৌধুরীর বাড়িতে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। পরে ওয়াহিদ ওরফে জানুকে ছেড়ে দেওয়া হলেও নাজিমুদ্দিন ও সিরাজকে স্বাধীনতার আগ পর্যন্ত আটকে রাখা হয়।
এ ঘটনায় অপহরণ, আটক ও নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয় সালাউদ্দিন কাদেরের বিরুদ্ধে।
১৮ নম্বর অভিযোগে বলা হয়, জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহে একদিন ভোর সাড়ে ৫টার দিকে চাঁদগাঁও থানাধীন মোহরা গ্রামের মো. সালাহউদ্দিনকে তার বাড়ি থেকে অপহরণ করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একটি গাড়িতে করে গুডস হিলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে সালাউদ্দিন কাদেরের উপস্থিতিতে আটকে রেখে নির্যাতন করে পাকিস্তানি সেনারা। পরে তাকে হত্যার জন্য নিয়ে যাওয়া হলেও মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় সালাউদ্দিন কাদেরের বিরুদ্ধে অপহরণ, আটক ও নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়।
আর যে ৭ নম্বর অভিযোগে তাকে উচ্চ আদালত খালাস দিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ১৪ এপ্রিল বেলা আনুমানিক ১২টার দিকে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল পাকিস্তানি সেনাসদস্য রাউজান পৌরসভা এলাকায় সতীশ চন্দ্র পালিতের বাড়িতে প্রবেশ করে। সতীশ ঘর থেকে বেরিয়ে এলে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, তাকে মেরে ফেলতে হবে। এরপর সৈন্যরা সতীশকে ঘরের ভেতর যেতে বলে। তিনি পেছন ফেরার পর সৈন্যরা তাকে গুলি করে হত্যা করে এবং কাঁথা মুড়িয়ে লাশ পুড়িয়ে ফেলে।