বর্তমানে প্রচলিত ১ ও ২ টাকার মুদ্রার সঙ্গে ৫ টাকার মুদ্রা প্রচলনের দায়িত্ব সরকারের হাতে এসেছে, যা এতদিন ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্বে।
Published : 15 Nov 2015, 08:03 PM
রোববার ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ কয়েনেজ অর্ডার সংশোধনের প্রস্তাব সংসদে পাসের জন্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত উপস্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
গত ৮ সেপ্টেম্বর বিলটি সংসদে তুলেছিলেন অর্থমন্ত্রী। পরে সেটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল।
বর্তমানে শুধু ১ ও ২ টাকা পর্যন্ত মুদ্রা সরকার বের করে। ৫ টাকা থেকে শুরু করে উপরের সব নোট বের করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
৫ টাকার ধাতব মুদ্রা ও কাগজে নোট উভয়ই রয়েছে বাজারে। এখন ৫ টাকাও সরকারি মুদ্রায় রূপান্তরিত হল।
এই পদক্ষেপের কারণ ব্যাখ্যা করে অর্থমন্ত্রী ১৯৮৯ সালে ২ টাকার মুদ্রাকে সরকারি মুদ্রা করার তথ্য তুলে ধরে বলেন, “প্রায় ২৬ বছর অতিবাহিত হয়েছে। ২ টাকার ক্রয় ক্ষমতাও আগের চাইতে অনেক হ্রাস পেয়েছে বিধায় বর্তমানে উক্ত আইনের অধিকতর সংশোধনের মাধ্যমে ৫ টাকার নোটকে সরকারি মুদ্রায় রূপান্তরের সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের মোট অর্থের জোগান অপরিবর্তিত (সরকারের নোট/কয়েন যতটা বাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংকের নোট/কয়েন ততটা কমবে) থাকবে বলে মূল্যস্ফীতিতে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন মুহিত।
অর্থমন্ত্রী জানান, ১৯৭৪-৭৫ সালে বাজারে প্রচলিত মোট অর্থের মধ্যে সরকারি মুদ্রার পরিমাণ ছিল ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ, যা ২০১৩-১৪ অর্থবছর শেষে শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশে নেমে এসেছে।
৫ টাকা মূল্যমানের নোট ও কয়েনগুলো সরকারি মুদ্রায় রূপান্তর হলে সরকারি মুদ্রার পরিমাণ বাজারে প্রচলিত মোট মুদ্রার এক দশমিক ৫০ শতাংশে উন্নীত হবে বলেও জানান তিনি।