ঢাকা মহানগরী ও পাশ্বর্তী জেলার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনায় মেট্রোরেলের পাঁচটি রুট এবং দুটি বাস র্যাপিড ট্রানজিট রুট (বিআরটি) থাকছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
Published : 28 Oct 2015, 06:47 PM
এছাড়া ঢাকা মহানগর ঘিরে বৃত্তাকার তিনটি রিং রোড এবং ছয়টি এক্সপ্রেসওয়ের প্রস্তাবও রাখা হয়েছে সংশোধিত এসটিপিতে।
বুধবার সিরডাপ মিলনায়তনে সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, “রিভাইজ এসটিপিতে মেট্রোরেলের ৫টি রুট, ২টি বিআরটি বা বাস র্যাপিড ট্রানজিট, ঢাকা মহানগরীকে ঘিরে বৃত্তাকার ৩টি রিং রোড এবং ৬টি এক্সপ্রেওয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে।”
“ঢাকা মহানগরীর সড়কগুলো উত্তর-দক্ষিণে হলেও পূর্ব-পশ্চিমে কানেক্টিভিটি বাড়াতে মেট্রোরেল রুট-৫ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ রুট হবে গাবতলী থেকে শুরু হয়ে মিরপুর-১, মিরপুর-১৪ হয়ে কামাল আতার্তুক এভিনিউ-মাদানী এভিনিউ-নতুন বাজার হয়ে ভাটারা পর্যন্ত। এ রুটে কামাল আতার্তুক এভিনিউ থেকে ভাটারা পর্যন্ত হবে আন্ডারগ্রাউন্ড।”
বর্তমানে এমআরটি লাইন-৬ বা মেটোরেল রুট-৬ এর কাজ চলছে এবং ২০১৯ সালে এর একটি অংশের কাজ শেষ হবে।
এ তথ্য জানিয়ে কাদের বলেন, “আশা করছি আগামী ফেব্রয়ারিতে মেট্রোরেলের ফিজিক্যাল ওয়ার্ক শুরু হবে।”
মন্ত্রী বলেন, “মেট্রোরেল রুট-১ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শুরু হয়ে কুড়িল-প্রগতি স্মরণি-রামপুর হয়ে কমলাপুর স্টেশনে এসে শেষ হবে।”
এয়ারপোর্ট-গাজীপুর রুটে বিআরটি তৈরির কাজ আগামী ফেব্রুয়ারিতে শুরু হচ্ছে বলেও জানান কাদের।
সংশোধিত এসটিপি প্রকল্পগুলো স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। স্বল্প মেয়াদের মেগা প্রকল্পগুলো ২০২০ সালের মধ্যে, মধ্য মেয়াদে ২০২৫ সালের মধ্যে এবং দীর্ঘমেয়াদে ২০৩৫ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান কাদের।
বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় ২০০৫ সালে দীর্ঘমেয়াদি স্ট্র্যাটেজিক ট্রান্সপোর্ট প্ল্যান বা এসপিটি তৈরি করা হয়।
আগামী ডিসেম্বরে সংশোধিত এসটিপি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় ওঠানো হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “অনুমোদনের পর আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় যেতে পারব বলে আশা করি।”
কর্মশালায় এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জামিলুর রেজা চৌধুরী, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এম এ এন ছিদ্দিক, বিআরটিএ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, বিআরটিসি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান, ডিটিসিএ নির্বাহী পরিচালক মো. কায়কোবাদ হোসেনসহ জাইকার প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।