বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সম্পর্কে অর্থমন্ত্রীর ‘অশোভনীয়’ বক্তব্যের জন্য অর্থমন্ত্রীকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
Published : 10 Sep 2015, 12:34 AM
বুধবার রাতে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়।
স্বতন্ত্র পে-স্কেলের দাবি এবং নতুন বেতন কাঠামোয় সিলেকশন গ্রেড বাতিলের প্রতিবাদে শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে একদিন আগে মুহিতের করা মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বুধবার শিক্ষক সমিতির কার্যকরি পরিষদের এক জরুরি সভা থেকে এই আহ্বান জানানো হয়।
অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামো প্রস্তাবের পর থেকে গ্রেড অবনমনসহ কয়েকটি বিষয়ে নিজেদের আপত্তি তুলে আন্দোলন করে আসছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা। নানা কর্মসূচি পালনের পর কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়ার মধ্যে গত সোমবার মন্ত্রিসভা অষ্টম বেতন কাঠামো অনুমোদন করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ‘ইচ্ছেমতো’ পদোন্নতি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন অর্থমন্ত্রী, যাকে তিনি আখ্যায়িত করেন ‘করাপট প্র্যাকটিস’ হিসেবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির বিবৃতিতে বলা হয়, সভায় ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জ্ঞানের অভাব ও পদোন্নতির কোনো নীতিমালা নেই’ অর্থমন্ত্রীর এরকম ‘অবিবেচনাপ্রসূত ও অসংলগ্ন’ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
মন্ত্রী হিসেবে অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী হয়ে কারও প্রতি কোনো আচরণ করবেন না বলে যে শপথ মুহিত নিয়েছেন, তার ওই মন্তব্যে সেই শপথ ভঙ্গ হয়েছে বলে শিক্ষকরা মনে করছে।
“এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি মন্ত্রী হিসেবে থাকার সকল নৈতিক ও সাংবিধানিক অধিকার হারিয়েছেন। তাই শিক্ষকরা তাকে অবিলম্বে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন,” বলা হয় বিবৃতিতে।
মুহিতের ওই মন্তব্যে সরকারি অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকরাও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন এক বিবৃতিতে মুহিতকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।