পাবনার রূপপুরে বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনায় কোম্পানি গঠন করতে সংসদে বিল পাস হয়েছে।
Published : 08 Sep 2015, 10:32 PM
‘পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিল-২০১৫’ মঙ্গলবার সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। পরে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।
এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত করতেই বিল পাস হলো।
এ আইন অনুযায়ী, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালিকানা থাকবে বাংলাদেশ আনবিক শক্তি কমিশনের হাতে। আর কেন্দ্রটি পরিচালনার দায়িত্ব পাবে ‘নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ’।
রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে নির্মিতব্য রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ অন্যান্য পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনার জন্য কোম্পানি গঠন করতেই সংসদে এই বিল উত্থাপন করা হয়।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব কোম্পানির চেয়ারম্যান এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক কোম্পানির প্রথম ব্যবস্থাপনা পরিচালক হবেন বলে এতে বিধান রাখা হয়।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ২০১০ সালে সংসদে প্রস্তাবও পাস করা হয়,গঠন করা হয় একটি জাতীয় কমিটি। ওই বছরই রাশিয়ার সঙ্গে একটি কাঠামো চুক্তি করে সরকার।
২০১৩ সালের অক্টোবরে পাবনার রূপপুরে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তি স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই ইউনিটে দুই হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার এই কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট ২০২১ সালের মধ্যে চালু করা সম্ভব হবে বলে সরকার আশা করছে।
এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৮৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৪ হাজার কোটি টাকা প্রকল্প সহায়তা হিসাবে রাশিয়ান ফেডারেশন দেবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে ইয়াফেস ওসমান বলেন, “পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রাথমিক পর্যায়ের সিংহভাগ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। শিগগিরই মূল কাজ শুরু হবে। এর সফল বাস্তবায়নের জন্য বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের সক্ষমতা থাকা আবশ্যক। এ সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী এ ধরনের প্রকল্পের সকল কার্যক্রম আইনসিদ্ধ হওয়া আবশ্যক।
“সেজন্য আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার গাইডলাইন এবং বিভিন্ন দেশের সুচর্যা অনুযায়ী বাংলাদেশেও স্বতন্ত্র একটি আইনের অধীনে একটি কোম্পানি গঠনপূর্বক পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া আবশ্যক।”