বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ
দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ খেলেও বসুন্ধরা কিংসকে আটকাতে পারেনি আন্দ্রেয়াস ক্রুসিয়ানির আবাহনী।
Published : 04 May 2024, 08:13 PM
শুরুতেই দলকে গোল এনে দিলেন রাকিব হোসেন। মিগেল ফিগেইরা দামাশেনোর লক্ষ্যভেদে ব্যবধান হলো দ্বিগুণ। ম্যাচে চালকের আসনে বসে গেল বসুন্ধরা কিংস। দ্বিতীয়ার্ধে দাপট দেখাল আবাহনী। ঘুরে দাঁড়ানোর উপলক্ষও তারা পেল বটে, কিন্তু পারল না কিংসের জয়রথ থামাতে।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় শনিবার আবাহনীকে ২-১ গোলে হারায় কিংস। প্রথম লেগের দেখায় ২-০ গোলে জিতেছিল অস্কার ব্রুসনের দল।
এই জয়ে মোহামেডান ও আবাহনীকে শিরোপা দৌড়ে আরও পেছনে ফেলে দিল কিংস। ১৪ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট লিগের গত চার আসরের চ্যাম্পিয়নদের। গত শুক্রবার চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে ড্র করা মোহামেডান ২৮ পয়েন্ট নিয়ে আছে দ্বিতীয় স্থানে। আর টানা আট ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর হেরে যাওয়া আবাহনী ২৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে।
ঘরের মাঠে প্রথম আক্রমণ থেকেই গোল তুলে নেয় কিংস। পঞ্চম মিনিটে মিগেল ফিগেইরা দামাশেনোর শট আবাহনী গোলরক্ষক শহিদুল আলম কোনোমতে ফেরালেও পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ডিফেন্ডাররাও করতে পারেননি তাদের কাজটুকু। জটলার মধ্যে টোকায় জাল খুঁজে নেন রাকিব।
পাল্টা জবাব দেওয়ার চেষ্টায় আবাহনী তৈরি করতে থাকে সুযোগ। কিন্তু কিংস গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর পরীক্ষা নিতে পারছিলেন না ওয়াশিংতন, কর্নেলিয়াসরা।
অষ্টাদশ মিনিটে রক্তাক্ত হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় জিকোকে। মিলাদ শেখ সোলেমানির ভলি জিকো গ্লাভসে নিতে না পারায় কর্নেলিয়াস ছুটে আসেন শট নিতে, একই সময় বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে ফের ঝাঁপিয়ে পড়েন জিকো। কর্নেলিয়াসের বুটে মাথায় আঘাত পান তিনি। কিংসের পোস্ট সামলানোর ভার ওঠে মেহেদি হাসান শ্রাবণের কাঁধে।
আবাহনীর রক্ষণে চাপ ধরে রেখে ৩৪তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় কিংস। মাঝমাঠে বল পেয়ে বক্সে ঢুকে পড়া দামাশেনোকে পেছন থেকে টেনে ফেলে দেন সুলেমানি। স্পট কিকে শহিদুলকে বিপরীত দিকে ছিটকে দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন দামাশেনো।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ম্যাচে ফেরার উপলক্ষ পেয়ে যায় আবাহনী। ওয়াশিংতন ব্রান্দাওকে বল বাড়িয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন কর্নেলিয়াস। রিমন হোসেনের বাধা কাটিয়ে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের বাড়ানো ফিরতি পাস রাকিবের পা ছুঁয়ে চলে যায় কর্নেলিয়াসের কাছে। নিখুঁত স্লাইডে বুটের টোকায় লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।
আবাহনীর আগ্রাসী ফুটবলে কিছুটা কোণঠাসা হড়ে পড়ে কিংস। ৫৬তম মিনিটে মাশুক মিয়া জনি তালগোল পাকিয়ে বল হারালে পেয়ে যান কর্নেলিয়াস। দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক গলে বেরিয়ে শ্রাবণকে একাও পেয়েছিলেন তিনি, কিন্তু তার শট অল্পের জন্য যায় পোস্টের বাইরে। খানিক পর কর্নেলিয়াসের শট ববুরবেক ইয়ুলদাশোভের পায়ে লেগে বাইরের জাল কাঁপায়।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে বক্সের বেশ বাইরে থেকে বাম পায়ে শট নিয়েছিলেন মোহাম্মদ হৃদয়। গোলরক্ষক শ্রাবণকে ফাঁকি দিয়ে বল কাঁপায় ক্রসবার। তাতে হারের বিষাদ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় আবাহনীকে।