সাংবাদিক মারধরের অভিযোগের মুখে থাকা উপসচিব আব্দুল বারীকে জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার তালিকা প্রকল্প থেকে সরিয়ে নিতে বলেছে নির্বাচন কমিশন।
Published : 20 Aug 2015, 06:48 PM
সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে পেশাগত দায়িত্বপালনে সাংবাদিকদের বাধা ও লাঞ্ছনার ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়ে বলেন, উপ সচিব বারীকে প্রত্যাহার করে উপযুক্ত একজন কর্মকর্তা দিতে বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
আগারগাঁওয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনে জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার তালিকা প্রকল্প কার্যালয়ে সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে লাঞ্ছিত হন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের প্রতিবেদক জি এম মুস্তাফিজুল আলম ও ক্যামেরাপার্সন রিপু আহমেদ।
বুধবার উপ সচিব বারীর কক্ষে নিয়ে দুই সংবাদকর্মীকে মারধর, তাদের সঙ্গে থাকা ক্যামেরা ভাংচুর করা হয় বলে তাদের অভিযোগ।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সংবাদ সংগ্রহে থাকা সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) পক্ষ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিবকে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ীদের ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়।
ইসি সচিব সিরাজুল বলেন, “নির্বাচন কমিশনে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছি। ওই কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার থেকে প্রকল্পে নেই। প্রকল্পে ফিরে আসার সুযোগ নেই তার।”
এনআইডি উইংয়ে জন প্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রেষণে নিয়োগ পাওয়া উপ সচিব বারী নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র স্মার্টকার্ড প্রদান সংক্রান্ত প্রকল্প আইডিইএ’র উপ প্রকল্প পরিচালক।
সাংবাদিকদের মারধরে আর যারা জড়িত ছিলেন, তাদের চিহ্নিত করতে কমিটি গঠন করে সোমবারের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলে জানান ইসি সচিব।
তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন- সৈয়দ মোহাম্মদ মুসা পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) , মো. ছালামত উল্লাহ মিঞা উপ-পরিচালক (বাজেট, হিসাব ও সাধারণ সেবা) ও মোহাম্মদ আল-মামুন সহকারী পরিচালক (সঠিকতা যাচাইকরণ)।
দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।