স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত হিন্দু সম্পত্তি দখলের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
Published : 08 Aug 2015, 07:41 PM
হিন্দুদের ‘জমি দখলে’ মন্ত্রী-এমপিরাও
মন্ত্রী মোশাররফের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগের তদন্ত দাবি বিএনপির
তিনি বলেছেন, “আমার বিরুদ্ধে হিন্দু সম্পত্তি দখলের অভিযোগ ‘ডাঁহা মিথ্যা’ ও ‘ষড়যন্ত্রমূলক’।”
শনিবার ফরিদপুর চেম্বার অব কমার্সের আয়োজনে ‘ফরিদপুরের উন্নয়ন’ নিয়ে মুক্ত আলোচনায় একথা বলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।
হিন্দু সম্পত্তি দখলের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, “এটি শুধু আমার মন্ত্রিত্বের উপর নয়, বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত করার সামিল।
‘ফরিদপুরের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা নস্যাৎ করতেই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে’ এ অভিযোগ করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
দুদিন আগে রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলন করে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি, সম্পত্তি দখল এবং ভয়-ভীতি দেখিয়ে, নির্যাতন চালিয়ে উচ্ছেদের ঘটনায় সরকারের মন্ত্রী ও এমপিরা জড়িত রয়েছেন অভিযোগ করে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
এ প্রেক্ষাপটে সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জাতীয় সংসদের হুইপ মাহবুব আরা গিনি, ঠাকুরগাঁওয়ের আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলাম ও পিরোজপুরের আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালের নাম উল্লেখ করা হয়।
এদিকে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে হিন্দু সম্পত্তি দখলের অভিযোগ তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
তবে হিন্দু সম্পত্তি দখলের মিথা অপবাদ ছড়ানোর পেছনে বিএনপি নেতা চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের হাত রয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।
“আমার বিরুদ্ধে দখলের অভিযোগ ওঠার পর আমি অরুণ মজুমদারকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না। শুনেছি তিনি কলকাতায় রয়েছেন।”
এই ষড়যন্ত্রকে ‘জনগণ ও উন্নয়নের বিরুদ্ধে’ আখ্যায়িত করে এবিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান খন্দকার মোশাররফ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সক্ষমতা রয়েছে, প্রশাসনিক শক্তিও রয়েছে।
“শুধু গ্রামেরই নয়, শহরের উন্নয়নের কাজও এই মন্ত্রণালয় করে। আমরা ব্যক্তিগতভাবে না দেখে সমগ্র জেলার সুষম উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা নিয়ে আগাচ্ছি।”
সভায় জেলা প্রশাসক সরদার সরাফত আলী, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, ফরিদপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর ও পৌর মেয়র শেখ মাহতাব আলী মেথু বক্তব্য রাখেন।
মুক্ত আলোচনা পর্বে ফরিদপুরের উন্নয়ন নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা সরাসরি ও ফোনে মন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের জন্য প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। মন্ত্রী তাদের প্রশ্নের জবাব দেন।
পরে ছাত্রলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।