ছিটমহল বিনিময়ের আনুষ্ঠানিকতার পর সেখানকার ভোটারযোগ্য অধিবাসীদের তালিকাভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করবে নির্বাচন কমিশন।
Published : 31 Jul 2015, 11:41 PM
এরই মধ্যে নতুন পতাকা পাওয়া এই জনপদের বিষয়ে ইসির কর্মপরিকল্পনা জানতে চেয়েছে সরকার।
আর দেশজুড়ে হালনাগাদ প্রক্রিয়া চলমান থাকায় ছিটমহলবাসীর বিষয়ে শিগগির আলোচনায় বসে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম।
শুক্রবার রাতে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মন্ত্রণালয় আমাদের পরিকল্পনা জানতে চেয়েছে। এখন আমাদের কাজ হচ্ছে ভোটারযোগ্য ছিটবাসীকে তালিকাভুক্ত করা। হস্তান্তরের পর আমাদের কাজ শুরু হবে। কোন ছিটমহল কোন আসনে যাবে-এ সীমানা পুননির্ধারণ করেই তথ্য সংগ্রহ শুরু করা হবে।”
আটষট্টি বছর ধরে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলেন ভারত ও বাংলাদেশে থাকা ১৬২ ছিটমহলের অধিবাসীরা, যার ১১১টি যোগ হচ্ছে বাংলাদেশের মানচিত্রে।
দেশজুড়ে ২৫ জুলাই থেকে ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তথ্য সংগ্রহ, ছবি তোলা ও আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে নিবন্ধনসূচি রয়েছে ইসির।
কমিশন সচিব বলেন, “এ হালনাগাদে ছিটবাসীদের তথ্য সংগ্রহ করা যাবে কিনা, পরবর্তী কাজ কি- তা কমিশন আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।”
নির্ধারিত সময়ে না পারলেও ছিটবাসীদের প্রয়োজনে বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক বলেন, ছিটমহলবাসীদের ভোটার করতে যে কোন সময় প্রস্তুতি রয়েছে নির্বাচন কমিশন। সরকারের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। সব কিছু বিবেচনা করে সময় নির্ধারণ করা হবে তাদের জন্য। তাদের দেওয়া হবে জাতীয় পরিচয়পত্র।
দুই দেশের স্থলসীমান্ত চুক্তি অনুযায়ী, দাশিয়ারছড়াসহ ভারতের ১১১টি ছিটমহল ১ অগাস্ট প্রথম প্রহর থেকে হবে বাংলাদেশের ভূখণ্ডের অংশ। একইভাবে ভারতের মধ্যে থাকা বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল ভারতের অংশ হয়ে যাবে।
সর্বশেষ গত ১৬ জুন দুই দেশের জয়েন্ট বাউন্ডারি ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে ঠিক করা ছিটমহল বিনিময়ের কর্মকৌশল অনুযায়ী ৬ থেকে ১৬ জুলাই যৌথ সমীক্ষা চালানো হয়।
এতোদিন বাংলাদেশের ভেতরে থাকা ভারতের ১১১টি ছিটমহলের অধিকাংশ অধিবাসী বাংলাদেশে থাকতে চেয়েছেন। ঠিকানা বদলে ভারতের নাগরিকত্ব নিতে চেয়েছেন ৯৭৯ জন। অন্যদিকে ভারতের ভেতরে থাকা বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের অধিবাসীর সবাই ভারতের নাগরিকত্ব নিয়ে সেখানেই থাকার পক্ষে।
যারা পুরনো আবাস বদলে ভারতের নাগরিকত্ব রেখে সে দেশে চলে যাবেন ঠিক করেছেন, তারা ১ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নতুন ঠিকানায় চলে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।