উন্নত দেশের স্থলবন্দরগুলো কীভাবে সেবা দেয়, সে বিষয়ে অভিজ্ঞতা নিতে প্রয়োজনে সেসব দেশ ঘুরে আসার পরামর্শও দেন তিনি।
Published : 08 Feb 2024, 08:48 PM
স্থলবন্দরে স্ক্যানার নষ্ট হওয়াকে ‘শুভঙ্করের ফাঁকি’ মন্তব্য করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এই যন্ত্র নষ্ট করে দেওয়া হয় কি না, সেই প্রশ্নও রেখেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “স্ক্যানার নষ্ট। ব্যবসায়ীরা অসন্তুষ্ট। কারণ, তারা বিদেশ থেকে আমদানি করে বা রপ্তানি করে। এই হয়রানি যেন না হয়।
“স্ক্যানারগুলো যেন নষ্ট না হয় বা নষ্ট করে দেওয়া না হয়। আমি বলি, এটা কিন্তু বন্ধ করতে হবে। কারণ, এটাই শুভঙ্করের ফাঁকি।”
আমদানি-রপ্তানি নির্বিঘ্ন করার মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের সন্তুষ্টি অর্জনে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
যে কোনো প্রকল্প বাস্তবায়নে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীলদের আরও মনোযোগী হতে এবং বারবার পরিদর্শনের পরামর্শও দেন তিনি।
খালিদ মাহমুদ বলেন, “প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আরও মনোযোগী হতে হবে, শৃঙ্খলা থাকতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। শৃঙ্খলা না রাখলে কার্যক্রম ভেঙে পড়বে।
“প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রকল্প পরিচালকদের রেগুলার ফিল্ড ভিজিট করতে হবে। শুধু প্রকল্প পরিচালক না-যারা আপনারা আছেন, তারা যখনই যে এলাকায় যাবেন চার্টে ভিজিটরের মন্তব্য লিখে আসবেন। আমি এই মন্তব্যগুলো দেখতে চাই।”
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকাণ্ড জানাতে গিয়ে ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দরের জমি বরাদ্দের ওপর হাই কোর্টে মামলার কথা উল্লেখ করেন বন্দরের চেয়াররম্যান জিল্লুর রহমান চৌধুরী।
প্রতিমন্ত্রী উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, “জমি নিষ্কণ্টক না করে টেন্ডারে যাওয়া কি ঠিক হয়েছে? এখন যে ব্যয় বাড়ছে এর টাকা কে দেবে? দায় কে নেবে? প্রকল্প ঠিকাদার নেবে?”
উন্নত দেশের স্থলবন্দরগুলো কীভাবে সেবা দেয়, সে বিষয়ে অভিজ্ঞতা নিতে প্রয়োজনে সেসব দেশ ঘুরে আসার পরামর্শও দেন তিনি। বলেন, “সেবাটা হতে হবে বিশ্বের উন্নত দেশের মত।”
৮০০ কোটি টাকা এফডিআর করার সাফল্য অর্জন করায় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদও দেন তিনি। বলেন, “এটা এক সময় মিলিয়ন-বিলিয়নে ছড়িয়ে পড়বে।”
এ সময় বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী, যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবীর (সদস্য, ট্রাফিক), যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ মুসা (সদস্য, অর্থ ও প্রশাসন), যুগ্ম সচিব ডি এম আতিকুর রহমান (পরিচালক, প্রশাসন), উপসচিব আক্তার উননেছা শিউলী (পরিচালক, ট্রাফিক), উপসচিব মো. ছাদেকুর রহমানও (পরিচালক, হিসাব) উপস্থিত ছিলেন।