কমিটিকে আগামী ৪ অগাস্ট আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
Published : 29 Apr 2024, 02:15 PM
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার প্রতিবাদকারীদের শনাক্ত করে তাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে পাঁচ সচিবের সমন্বয়ে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে দিয়েছে হাই কোর্ট।
সোমবার একটি রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের বেঞ্চ এ রায় দেয়।
কমিটির পাঁচ সচিব হলেন- মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, সমাজকল্যাণসচিব ও অর্থসচিব। কমিটিকে আগামী ৪ অগাস্ট আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটকারী পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভাকেট বাকির উদ্দিন ভূঁইয়া। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী কাজী তামান্না ফেরদৌস। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
রিট আবেদনে বলা হয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের পর সে সময়ের সামরিক সরকার মিছিল-মিটিং বন্ধ করে দেয়। তা সত্ত্বেও নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, খুলনা, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ ও ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ হয়। ১৯৭৫ সালে জাতীয় মুক্তি বাহিনী ও জাতীয় মুজিব বাহিনী নামে দুটি সশস্ত্র প্রতিরোধ বাহিনী গঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধুভক্ত কয়েক হাজার ছাত্র, তরুণ ও মুক্তিযোদ্ধা তখন ওই বাহিনীতে যোগ দিয়ে ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। বঙ্গবন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের হত্যার ৪৭ বছর পার হলেও প্রতিরোধ যোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি; যে কারণে পাঁচজন প্রতিরোধ যোদ্ধা ২০২২ সালে রিট আবেদন করেন।
২০২২ সালের ৭ অগাস্ট রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাই কোর্ট রুল দেয়, যার চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে এই উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হল।