উপদেষ্টা বলেছেন, এ বিষয়ে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে।
Published : 13 Apr 2025, 08:28 PM
গত বছরের জুলাই-অগাস্ট গণ অভ্যুত্থানে আহতদের মধ্যে ২১ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাকিস্তান পাঠানো হবে।
এছাড়া আরও ৩১ জনকে তুরস্কে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
রোববার ঢাকার বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গণ অভ্যুত্থানে অঙ্গহানি হয়েছে এমন রোগীদের দুইটি দেশে পাঠানো হবে। সেখানে তাদের চিকিৎসার জন্য উন্নত প্রযুক্তি আছে। এ বিষয়ে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে।
উপদেষ্টা বলেন, “পাকিস্তান একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ। সেখানে মাইন বিস্ফোরণে আহতদের চিকিৎসায় তারা একটা প্রযুক্তি এনেছেন। ইউকে থেকে আমাদের এখানে একদল চিকিৎসক এসেছিল, তারা বলল জানাল, যারা হাত-পা হারিয়েছে তাদের লাহোরে পাঠানো যেতে পারে।
“সম্ভবত লাহোরে একটা বিশেষায়িত হাসপাতাল আছে, সেখানে এ ধরনের রোগীদের অনেক ভালো চিকিৎসা হয় বলে ইউকের ওই চিকিৎসকরা আমাদের জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে আমরা কথা বলছি।”
নূরজাহান বেগম বলেন, অন্তবর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ পর্যন্ত উন্নত চিকিৎসার জন্য ৪০ জনকে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। তাদের ২৬ জন ব্যাংকক, ১৩ জন সিঙ্গাপুর এবং একজন রাশিয়ায় গেছেন। চিকিৎসা শেষে ২৬ জন দেশে ফিরে এসেছেন।
অভ্যুত্থানের সময় ৪৫০ জন একটি চোখ হারিয়েছেন এবং ২১ জন দুই চোখ হারিয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান নূরজাহান বেগম।
তিনি বলেন, চীন বাংলাদেশে তিনটি হাসপাতাল তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে। এরমধ্যে এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট একটি হাসপাতালের জন্য জমি খোঁজা হচ্ছে।
“বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই হাসপাতাল করবে চীন। এক হাজার বেডের হাসপাতালটি নীলফামারীতে করার সম্ভাবনা আছে।”
সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর।
পরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু জাফর বলেন, চীন বাংলাদেশে তিনটি হাসপাতাল করার প্রস্তাব দিয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের জন্য উত্তরবঙ্গের দিকে জমি দেখা হচ্ছে। পুরো বিষয়টি এখন প্রাথমিক পরিকল্পনায় আছে।
তিনি বলেন, “প্রথমে ঢাকার মিরপুরে করার কথা হচ্ছিল। পরে সেটি রংপুর বিভাগে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। হাসপাতালটি ওই এলাকায় করার জন্য চীন আগ্রহ দেখিয়েছে। নীলফামারীর দিকে একটা জায়গা দেখা হয়েছে।
“ঢাকার ধামরাইয়ে ১০০ শয্যার একটি হাসপাতাল করা হবে, যেটি মূলত শারীরিকভাবে অক্ষম রোগীদের পুনর্বাসনে ব্যবহার হবে। চট্টগ্রামের দক্ষিণ কর্ণফুলী এলাকায় ৫-৭ বেডের একটি হাসপাতাল হবে। এটার ফিজিবিলিটি করতে বলা হয়েছে।”