“যখন দেখি সব জায়গা ব্যর্থ হচ্ছে, তখন মনে হল, আমাদের কাছে একটা ‘ওয়াটার থিওরি’ তো আছে,” বলেন তিনি।
Published : 30 May 2024, 10:25 PM
ডিবির অনুরোধেই কলকাতার পুলিশ সঞ্জিভা গার্ডেনসে স্যুয়ারেজ লাইন ও সেপটিক ট্যাংকে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের লাশের খোঁজ শুরু করে বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেছেন, ঢাকায় গ্রেপ্তার এক আসামি জিজ্ঞাসাবাদে সেই রাতে অনেকবার বাথরুম থেকে পানির (ফ্ল্যাশ করার) শব্দ পাওয়ার কথা বলেছিলেন, যার সূত্র ধরেই সেপটিক ট্যাংকে তল্লাশি করার ধারণা মাথায় এসেছিল।
এমপি আনার হত্যা মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে পাঁচ দিনের কলকাতা সফর শেষে বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকায় ফেরেন হারুনসহ গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তিন কর্মকর্তা।
ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হারুন দাবি করেন, তাদের এ সফর ‘শতভাগ সফল’ হয়েছে।
গোয়েন্দাদের ভাষ্য- কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জিভা গার্ডেনস নামে অভিজাত অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের একটি ফ্ল্যাটে ডেকে নিয়ে গত ১৩ মে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনারকে হত্যা করা হয়। হত্যার পর তার লাশ টুকরো করে ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন ডিবির হাতে গ্রেপ্তাররা।
ডিবির প্রতিনিধি দল ভারতে যাওয়ার আগে থেকেই কলকাতার বিভিন্ন খালে, জঙ্গলে এমপি আনারের লাশের অংশ বা দেহাবশেষের খোঁজ করছিলেন সেখানকার তদন্তকারীরা। তারা কিছুই পাননি।
হারুনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল যাওয়ার পর ২৮ মে সঞ্জিভা গার্ডেনসের সেপটিক ট্যাংক থেকে টুকরো টুকরো করে কাটা কয়েক কেজি মাংস উদ্ধার করা হয়; যেগুলো এমপি আনারের দেহাবশেষ হতে পারে বলে ধারণা দুই দেশের গোয়েন্দাদের।
ডিবির অনুরোধেই সেপটিক ট্যাংকে তল্লাশি চালানো হয় জানিয়ে ঢাকার সাংবাদিকদের হারুন বলেন, “আমরা তাদের অনুরোধ করেছিলাম ওই বাসার সেপটিক ট্যাংক ও স্যুয়ারেজ লাইন দেখার জন্য। সেখান থেকে ‘ভিকটিম’ এর শরীরের অনেকটা অংশ পাওয়া গেছে। যদিও এখন এসব দেহাংশ ফরেনসিক ল্যাবে নিয়ে ডিএনএ টেস্ট করা হবে। তবে প্রাথমিকভাবে আমরা মনে করি ওটা এমপি আনারেরই। কারণ, স্বাভাবিকভাবে মাংসের টুকরাগুলো এভাবে ফ্ল্যাশ করে ট্যাংকে ফেলার কথা নয়।”
কেন মনে হল সেপটিক ট্যাংকে খোঁজা দরকার? ডিবির এ কর্মকর্তা বলেন, “তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে আমরা যখন দেখি সব জায়গা ব্যর্থ হচ্ছে, তখন আমাদের মনে হল, আমাদের কাছে একটা ‘ওয়াটার থিওরি’ তো আছে। যে তিনজন আসামি আমাদের কাছে ছিল, তাদের একজন বলেছিল রাতের বেলায় সে পানির শব্দ পাচ্ছিল। তারা বাথরুমে ঘন ঘন ফ্লাশ করেছিল। সেই ফ্ল্যাশ করে তারা কী ফেলেছিল? সেই ধারণা থেকে আমরা তখন বললাম, স্যুয়ারেজ লাইন ও সেপটিক ট্যাংকটা চেক করলে আলামতের কিছু অংশ পাওয়া যেতে পারে। সে অনুযায়ী তারা করেছে এবং আলামতের অনেকখানি পাওয়া গেছে।”
ফরেনসিকের কোনো আলামত দেশে আনা হয়নি জানিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হারুন বলেন, “আলামতের ডিএনএ পরীক্ষা তারাই করবে। উনারা বলেছেন দ্রুতই করা হবে।”
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “এখানে আমরা যে ‘ডিজিটাল এভিডেন্স’ পাচ্ছিলাম, আমরা সরাসরি গিয়ে সেগুলো দেখলাম। তারা কোন সময় কোন গাড়িটা ব্যবহার করেছে, সংসদ সদস্য কোন সময় ঢুকলেন- এসব। তাদের ওখানে গ্রেপ্তার আসামিকে ‘ক্রসএক্সামিন’ করেছি। আমাদের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য ছিল দেহের অংশ উদ্ধার করা। আমরা সেটাতেও সফল হয়েছি।”
তিনি বলেন, “৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগ) ধারার মামলায় যত সময় পর্যন্ত ভিকটিমের দেহ বা দেহের অংশ বিশেষ উদ্ধার করা না যায়, তত সময় পর্যন্ত মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট, মেডিকেল রিপোর্ট, ভিসেরা রিপোর্টসহ অন্যান্য কাগজপত্র তৈরি করতে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে অনেক বেগ পেতে হয়। এগুলো না হলে আবার মামলাটা নিস্পত্তি করাও অনেক কঠিন হয়ে যায়। এখন এসব ‘এভিডেন্স’ নিয়ে আমাদের সমস্যা হবে না।
“সেখানে গিয়ে কলকাতার সিআইডি আইজির সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জিহাদ বলে একজনকে গ্রেপ্তার করে। আমরা তাকে ‘ক্রসএক্সাজিম’ করেছি। ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে পুলিশসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা নিজেদের চোখে সব দেখে মূল যে (সন্দেহভাজন) ঘাতক (শিমুল ভূঁইয়া) তার বর্ণনার সেখানকার বিষয়গুলো মিলিয়েছি। আমাদের মূল কাজ ছিল আলামত উদ্ধারে কলকাতা পুলিশকে সহায়তা করা। দ্বিতীয়ত ছিল, সিসি ক্যামেরার ফুটেজসহ ডিজিটাল এভিডেন্স সংগ্রহ করা এবং পারিপার্শ্বিক অন্যান্য সাক্ষ্য-প্রমাণ মিলিয়ে দেখা। ঘটনাস্থলে গিয়ে খতিয়ে দেখা। সব কিছুতে আমরা শতভাগ সফল হয়েছি।”
উদ্ধার হওয়া মাংসের টুকরাগুলো এমপি আনারেরই হতে পারে- হারুনের এমন দৃঢ় ধারণার পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান, তাহলে এমপির ‘লাশ’ এর বাকি অংশ উদ্ধারে কি কোনো আশা দেখছেন? তিনি বলেন, “আমি এখনও আশাবাদী।”
এ ঘটনায় বাংলাদেশের অনেক বড় বড় স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নাম আসছে বিভিন্ন মাধ্যমে। পুলিশ কি এমন কিছু পেয়েছে?
হারুন বলেন, “আপনারা মিডিয়া অনেক তথ্য দিচ্ছেন। আমরা অনেক তথ্য পাচ্ছি। আমরা ক্রসএক্সামিন করছি। তবে এমপি আনার হত্যার কারণ এখনও সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।”
কলকাতায় এত বড় একটা ঘটনা ঘটে গেল, এর সঙ্গে ভারতের কারো কোনো যোগসূত্র পাওয়া গেল?
হারুন বলেন, “এখানে নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। প্রাথমিক তদন্তে মূল ঘাতক ও ভারতে গ্রেপ্তার ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে আমরা মোটাদাগে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, ঘটনায় যুক্তরা বেশিরভাগই বাংলাদেশি। বাকি কেউ যদি থাকে, থাকতে পারে। ভারতের পুলিশ, সিআইডি তারা অত্যন্ত দক্ষ তারা কাজ করছে, আমরাও করছি। এখনই শেষ বলে কিছু নেই।
“এমপি আনারের বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের সঙ্গেও কাল দুই ঘণ্টা কথা হয়েছে। তিনি কী ব্যবসা করেন তাও আমরা জেনে এসেছি। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনি তা বলছি না।”
ভারতের পুলিশের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়নকেও এই সফরের বড় অর্জন হিসেবে দেখছেন হারুন অর রশীদ।
তিনি বলছেন, “যখন কোনো অপরাধী বাংলাদেশে অপরাধ করে ভারতে চলে যায় আমরা এত দিন ফোন যোগাযোগের মাধ্যমে ভারত থেকে অপরাধী ফিরিয়ে এনেছি। এবারের সফরে আরেকটা সাফল্য হল, সেখানে গিয়ে প্রত্যেকটা ডিপার্টমেন্টের ছোট-বড় সব কর্মকবর্তার সঙ্গে কথা বলেছি। আমি মনে করি বাংলাদেশের কোন অপরাধী এখানে অপরাধ করে ভারতে ‘সেফ হেভেন’ বানাবে, কলকাতার সহায়তায় সেটি হতে দেব না আমরা। অনুরুপভাবে বাংলাদেশকেও ভারতের অপরাধীদের ‘সেফ হেভেন’ হতে দেব না।”
এমপি আনার হত্যা মামলার ‘কারণ’ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কিছুই জানায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দারা। ঘটনা জানাজানির পর সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও হত্যা রহস্যের জট খোলেনি। এ ক্ষেত্রে আর কত দিন লাগবে?
হারুন বলেন, “মামলাটা আমরা কনক্লুসিভ পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। তবে এখনও হত্যার কারণ সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।”
পূর্বাপর
ঝিনাইদহ-৪ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য আনার কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। গত ১১ মে তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। প্রথমে কলকাতার বরাহনগরে তার বন্ধু স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। কিন্তু সেখান থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন।
এরপর স্থানীয় থানায় জিডি করেন গোপাল বিশ্বাস। তদন্ত শুরু হয় দুই দেশে। ২২ মে সকালে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে খবর আসে, নিউ টাউনের এক বাড়িতে খুন হয়েছেন এমপি আনার। এর পরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ভারতের পুলিশের বরাত দিয়ে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতীয় পুলিশের দেওয়া তথ্যে বাংলাদেশে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডেও নেওয়া হয়।
ওই তিনজন হলেন- আমানুল্লা সাঈদ ওরফে শিমুল ভুঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুঁইয়া (৫৬), তানভীর ভুঁইয়া (৩০) ও সেলেস্টি রহমান (২২)।
পুলিশ বলছে, এমপি আনার হত্যার ‘হোতা’ তার বাল্যবন্ধু ও ঝিনাইদহের যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী আখতারুজ্জামান ওরফে শাহিন মিয়া। আর হত্যাকাণ্ডটি বাস্তবায়ন করেছেন চরমপন্থি নেতা আমানুল্লা ওরফে শিমুল। আনার কলকাতায় যাওয়ার পরদিন বৈঠক করার জন্য আখতারুজ্জামান শাহীনের ভাড়া বাসায় যান। সেখানেই আসামিরা তাকে হত্যা করে।
গ্রেপ্তার তিনজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ডিবি কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ গত ২৪ মে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সংসদ সদস্যকে হত্যার পর শরীরের বিভিন্ন অংশ টুকরো করে হলুদ লাগিয়ে ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে গ্রেপ্তার তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা জানতে পেরেছেন। ফলে লাশ উদ্ধার করা কঠিন।
তদন্তের এক পর্যায়ে জিহাদ হাওলাদার নামের এক কসাইকে গ্রেপ্তার করে পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তাকে নিয়ে কয়েকটি খাল, জঙ্গলে ব্যপক তল্লাশি চালিয়েও আনারের লাশের হদিস মেলাতে পারেনি কলকাতা পুলিশ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ২৪ বছর বয়সী জিহাদ হাওলাদার বাংলাদেশের খুলনার বাসিন্দা। অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন তিনি। আনারকে ‘খুনে’র প্রায় দুই মাস আগে অভিযুক্তরা জিহাদকে মুম্বাই থেকে কলকাতায় নিয়ে আসেন।
জিজ্ঞাসাবাদে সিআইডিকে জিহাদ বলেছেন, আখতারুজ্জামানের নির্দেশেই তিনি ‘সব কাজ’ করেছেন। আরও চার জন বাংলাদেশি এই কাজে সাহায্য করেছেন।
ভারতীয় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বাংলাদেশে এসে ২৪ মে ঢাকায় গ্রেপ্তার তিনজনকের জিজ্ঞাসাবাদ করে যান। এরপর ২৫ মে কলকাতায় যান হারুন অর রশীদসহ ডিবির তিন কর্মকর্তা।
তারাও কসাই জিহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং তাকে নিয়ে সঞ্জিভা গার্ডেনসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সোমবার দুপুরে সঞ্জিভা গার্ডেনস থেকে বেরিয়ে হারুন কলকাতায় সংবাদকর্মীদের বলেন, “এই সেই স্থান যেখানে আমাদের সংসদ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে, তার দেহ টুকরো টুকরো করার পর গায়েব করে ফেলা হয়েছে। এমন পরিকল্পিত নৃশংস হত্যাকাণ্ড আমি আমার জীবনে দেখিনি।”
পরদিন মঙ্গলবার ঢাকার পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভারতে অবস্থানরত ডিবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে সঞ্জিভা গার্ডেনসে সেফটিক ট্যাংকে মাংসের টুকরা উদ্ধারের বিষয়ে কথা হয়েছে।
“সেখানে সঞ্জিভা গার্ডেনসের সেপটিক ট্যাংকের মধ্যে কিছু মাংস পাওয়া গেছে। সেটা সংসদ সদস্য আনারের না অন্য কিছু, তা ডিএনএ পরীক্ষা না করে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে না।”
কলকাতা থেকে ফিরে ডিবির হারুণও ডিএনএ পরীক্ষা পর্যন্ত অপেক্ষা করার কথা বলছেন।
খুঁজে পাওয়া মাংসের টুকরাগুলোর সঙ্গে ডিএনএ মিলিয়ে দেখতে আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিনকে ভারত নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ভিসার অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি।
শাহীন যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেলে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, বৃহস্পতিবার বিমানবন্দরে জানতে চাইলে ডিবির হারুন বলেন, “শাহীনকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরাতে ভারতের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দিবিনিময় চুক্তি না থাকায় ভারতের মাধ্যমে তাকে ফেরানোর চেষ্টা হচ্ছে।”
বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রানধির জেসওয়াল সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বলেন, এ তদন্তে বাংলাদেশকে ‘পূর্ণ সহায়তা’ দেওয়া হবে।
“ভারত উভয় দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এক্ষেত্রে সমন্বয় করছে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য আদানপ্রদান করছে। চলমান তদন্তের অংশ হিসাবে আমাদের দিক থেকে সরকার বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে পূর্ণ সহায়তা দিচ্ছে।”