‘প্রতারক চক্রের’ স্ক্যাম সেন্টার থেকে ফেইসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে দেশবিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়, বলছে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাস।
Published : 22 Nov 2024, 07:51 PM
চাকরির কথা বলে ‘জিম্মি’ করার ঘটনায় থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশি নাগরিকদের সতর্ক করেছে থাইল্যান্ডে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।
শুক্রবার দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সতর্কতা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, “কিছু অসাধু ব্যক্তি এবং এসব দেশে গড়ে ওঠা বেশ কিছু স্ক্যাম প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার অপারেটর, টাইপিস্ট, কলসেন্টার অপারেটরসহ বিভিন্ন পদে আকর্ষণীয় বেতনের প্রলোভন দিয়ে নিয়োগের লক্ষ্যে বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে (ভুয়া ওয়েবসাইট, ই-মেইল, ফেইসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ইত্যাদি) প্রচার কার্যক্রম ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করছে।
“এসব ক্ষেত্রে স্ক্যাম সেন্টারগুলো বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সাথে বাংলাদেশিদেরও সুকৌশলে স্ক্যাম সেন্টারের ভেতরে নিয়ে গিয়ে অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক জিম্মি করে স্ক্যামের কাজে নিয়োজিত করছে।”
থাইল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাস চলছে, ‘প্রতারক চক্রের’ স্ক্যাম সেন্টার থেকে ফেইসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে দেশবিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ক্রিপ্টো কারেন্সির মাধ্যমে বিনিয়োগ করলে চক্রটি সেসব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে অর্থ আত্মসাৎ করে তারা।
বিদেশে কম্পিউটার পরিচালনা সংক্রান্ত চাকরির প্রস্তাব পেলে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “প্রয়োজনে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা অথবা জনশক্তি, কর্মস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর সংশ্লিষ্ট শাখার মাধ্যমে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহের সহযোগিতায় নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্য যাচাই করা যাবে।”
মিয়ানমার ও কম্বোডিয়ায় গড়ে ওঠা স্ক্যাম সেন্টারগুলো থেকে মুক্তি পাওয়া ও পালিয়ে আসা বেশ কয়েকজন বাংলাদেশিকে এরই মধ্যে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে দূতাবাস।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “এসব দেশগুলোতে সাইবার স্ক্যাম নিয়ে কাজ করছে এমন এনজিওসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।”