২০১৮ সালের আলোচিত এ মামলায় ৩৮ জনের মধ্যে ২৪ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।
Published : 03 Jul 2024, 07:45 PM
পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করেছেন আইনজীবীরা।
বুধবার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফয়সল আতিক বিন কাদেরের আদালতে জেরা করা হয় তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক শেখ মাহবুবুর রহমানকে।
এ আদালতের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) শাহাদাৎ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ১৫ দিন পরপর সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পড়ছে আলোচিত এ মামলায়। বিচারক আগামী ২১ জুলাই পরবর্তী তারিখ রেখেছেন।
২০১৮ সালের খুনের এ মামলায় ৩৮ জনের মধ্যে ২৪ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।
রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি আব্দুস সাত্তার দুলাল বলেন, আরও বেশ কয়েকজনকে সাক্ষী হিসেবে আদালতে ডাকা হবে।
ছয় বছর আগে ঢাকার পুলিশ পরিদর্শক মামুনকে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে ফেলার এ মামলা ২০২৩ সালের মার্চে আবার আলোচনায় আসে দুবাইতে আরাভ জুয়েলার্স উদ্বোধনের সময়।
সেই অনুষ্ঠানে জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানসহ বিনোদন জগতের তারকারা ছুটে গেলে আরাভের চেহারা প্রকাশ্যে আসে।
তখন (১৫ মার্চ) ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেছিলেন, আরাভ খানেই যে রবিউল, তারা তা নিশ্চিত হয়েছেন।
আরও জানা যায়, মামলার পর রবিউল ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলেন। পরে আরাভ খান নামে ভারতীয় পাসপোর্ট করিয়ে দুবাইয়ে পাড়ি জমান।
আরাভকে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে ইন্টারপোলের ‘রেড নোটিস’ জারি করে বাংলাদেশ পুলিশ।
মামুন হত্যা মামলার প্রধান আসামি দুবাইয়ে পলাতক স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান পলাতক রয়েছেন।
আরাভের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ৯ মে অস্ত্র মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা করে ঢাকার অন্য একটি আদালত।
রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানসহ আটজন আসামির বাকিরা হলেন-সুরাইয়া আক্তার কেয়া, রহমত উল্লাহ, স্বপন সরকার, মিজান শেখ, আতিক হাসান, সারোয়ার হাসান ও দিদার পাঠান।
আপন, সোহাগ, হৃদয়সহ নানা নামে পরিচিত রবিউল এখন দুবাইয়ে রয়েছেন আরাভ খান নামে। তার স্ত্রী কেয়াও রয়েছেন দুবাইয়ে। তারা দুজন এই মামলায় পলাতক।
এ মামলায় অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি দুই কিশোরীর বিচার শিশু আদালতে চলছে।
২০১৮ সালের ৭ জুলাই বনানীতে খুন হন পুলিশ পরিদর্শক মামুন। ঘটনার তিন দিন পরে তার ভাই বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ রহমত উল্লাহ ও রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে সোহাগ ওরফে হৃদয় ওরফে হৃদিসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ।
২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, রবিউল ইসলামের (আরাভ খান) নেতৃত্বে বিত্তবানদের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায় করত একটি চক্র। তাদের লক্ষ্য ছিল রহমত উল্লাহকে আটকে ‘অশালীন’ ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে টাকা আদায় করা। সেজন্য ওই চক্র জন্মদিনের নাটক সাজিয়ে রহমতকে নিমন্ত্রণ জানিয়েছিল বনানীর ওই বাসায়। বন্ধু রহমতের সঙ্গে সেখানে গিয়ে খুন হন পুলিশ কর্মকর্তা মামুন।
‘অভিনয়ের সঙ্গীদের ফাঁদে’ খুন হন এসবি পরিদর্শক মামুন
হত্যার আসামি রবিউলই দুবাইয়ের আরাভ খান, বলছে পুলিশ
পুলিশ কর্মকর্তা মামুন হত্যা: আরাভ খানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ পেছাল
আরাভ নামে কাউকে চিনি না: বেনজীর
অস্ত্র মামলায় আরাভ খানের ১০ বছরের জেল