প্রায় এক মাস আগে প্রতারণার অভিযোগে গুলশানের ‘সানভীস বাই তনি’ শোরুম বন্ধ করে দেয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তাদের বিরুদ্ধে দেশে তৈরি পোশাক পাকিস্তানি বলে বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে।
Published : 10 Jun 2024, 07:40 PM
রোবাইয়াত ফাতেমা তনির ‘সানভিস বাই তনি’র বন্ধ শোরুম খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। তবে ওই শোরুমে পাকিস্তানি পোশাক বিক্রি না করারও আদেশ দেওয়া হয়।
সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে তনির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খালেকুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ ও আনিচ উল মাওয়া।
আদালতের আদেশের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শোরুম খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে পাকিস্তানি পোশাক বিক্রি করা যাবে না, এমন একটি নির্দেশনাও রয়েছে।”
প্রায় এক মাস আগে প্রতারণার অভিযোগে গুলশানের ‘সানভীস বাই তনি’ শোরুম বন্ধ করে দেয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তাদের বিরুদ্ধে দেশে তৈরি পোশাক পাকিস্তানি বলে বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে।
গুলশান শুটিং ক্লাব এলাকার একটি মার্কেটে ওই অভিযান চালিয়েছিলেন ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল।
'সানভিস বাই তনি' শোরুম বন্ধ কেন অবৈধ নয়: হাই কোর্ট
ওইদিন তিনি বলেছিলেন, ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযোগের সফটওয়্যারে এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে বেশকিছু অভিযোগ এসেছে। এরপর প্রতিষ্ঠানটিকে কারণ দর্শানোর নোটিসও দেওয়া হয়। তারা দীর্ঘদিন ধরে দেশি পোশাকগুলো বিদেশি বলে চড়া দামে বিক্রি করে আসছিল অনলাইনে এবং এই দোকানে।
“তারা অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস বিক্রি করে। কিন্তু ডেলিভারি দেওয়ার সময় দেশি ড্রেস দেয়। শত শত কাস্টোমার এভাবে প্রতারিত হচ্ছে।”
এ বিষয়ে অভিযোগ এলে তাদের শুনানির জন্য নোটিস দেওয়া হলেও তারা কোনো জবাব দেয়নি; এরপর শোরুমটি বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে আব্দুল জব্বার মণ্ডল জানান।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ‘সানভিস বাই তনি’ শোরুম বন্ধ করে দেওয়ার পর তা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন রোবাইয়াত ফাতেমা তনি।
ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২৭ মে হাই কোর্টের এই বেঞ্চ রুল জারি করে; রুলে ‘সানভিস বাই তনি’ শোরুম বন্ধ করা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।