দুই সপ্তাহ আগে প্রতারণার অভিযোগে গুলশানের ‘সানভীস বাই তনি’ শোরুম বন্ধ করে দেয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
Published : 27 May 2024, 04:20 PM
রোবাইয়াত ফাতেমা তনির ‘সানভিস বাই তনি’ শোরুম বন্ধ করা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাই কোর্ট।
সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর শোরুম বন্ধ করার পর তা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন রোবাইয়াত ফাতেমা তনি।
তনির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ খালেকুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
অ্যাডভোকেট সৈয়দ খালেকুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক ‘সানভিস বাই তনি’ শোরুম সিলগালা করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে প্রতিষ্ঠনটির মালিক রোবাইয়াত ফাতেমা তনি একটি রিট আবেদন করেছেন।
“আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছেন। ‘সানভিস বাই তনি’ শোরুম সিলগালা করা কেন অবৈধ হবে না, তা আগামী ১০ দিনের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে আগামী ৫ জুন মামলার শুনানির দিন ঠিক করে দিয়েছেন।”
দুই সপ্তাহ আগে প্রতারণার অভিযোগে গুলশানের ‘সানভীস বাই তনি’ শোরুম বন্ধ করে দেয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তাদের বিরুদ্ধে দেশে তৈরি পোশাক পাকিস্তানি বলে বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে।
গুলশান শ্যুটিং ক্লাব এলাকার একটি মার্কেটে এই অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল।
ওইদিন আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযোগের সফটওয়্যারে এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ এসেছে। এরপর প্রতিষ্ঠানটিকে কারণ দর্শানোর নোটিসও দেওয়া হয়। তারা দীর্ঘদিন ধরে দেশি পোশাকগুলো বিদেশি বলে চড়া দামে বিক্রি করে আসছিল অনলাইনে এবং এই দোকানে।
“তারা অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস বিক্রি করে। কিন্তু ডেলিভারি দেওয়ার সময় দেশি ড্রেস দেয়। শত শত কাস্টোমার এভাবে প্রতারিত হচ্ছে।”
এ বিষয়ে অভিযোগ এলে তাদের শুনানির জন্য নোটিস দেওয়া হলেও তারা কোনো জবাব দেয়নি বলে আব্দুল জব্বার মণ্ডল জানান।