Published : 27 May 2024, 01:21 PM
প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর এবং কক্সবাজার বিমানবন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আবহাওয়া অনুকূলে মনে করলে এসব বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে এয়ারলাইন্সগুলো।
শাহ আমানত বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ সোমবার বেলা পৌনে ১২টায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজ ভোর ৬টা থেকেই ফ্লাইট চলাচলে কোনো বাধা নেই। বিমানবন্দরের কার্যক্রম চালু আছে। এয়ারলাইন্সগুলো চাইলে ফ্লাইট ওঠানামা করতে পারবে।”
কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক গোলাম মর্তুজা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের এখানে বিমানবন্দর ওপেন আছে। ওয়েদার পারমিট করলে এয়ারলাইন্সগুলো ফ্লাইট অপারেট করতে পারে। তবে, এই মুহূর্তে এখানে প্রচণ্ড ঝড়। সেজন্য কোনো বিমান ওঠানামা করছে না।”
ঘূর্ণিঝড় এগিয়ে আসায় রোববার এ দুই বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তাতে বিমান বাংলাদেশ, নভোএয়ার, এয়ার অ্যাস্ট্রা এবং ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের অন্তত ৪০টি ফ্লাইট বাতিল করতে হয়।
বরিশাল বিমানবন্দরেও রোববার ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে সেখানে বিমান ছাড়া অন্য কোনো এয়ারলাইন্স ফ্লাইট পরিচালনা করে না।
সোমবার বেলা ১২টার পর বরিশালে বিমানের স্টেশন ম্যানেজার দিলশাদ ভানু বলেন, “আমাদের পরবর্তী ফ্লাইট বৃহস্পতিবার।”
ঢাকায় ফ্লাইট ওঠানামা ব্যহত
আবহাওয়া অধিদপ্তর রেমাল সম্পর্কিত সর্বশেষ বুলেটিনে জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে তাণ্ডব চালাতে চালাতে স্থলভাগে উঠে আসার পর বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল, পরিণত হয়েছে গভীর স্থল নিম্নচাপে।
এর প্রভাবে সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকায় একনাগাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে। সাথে ঝোড়ো হাওয়া ও দমকা বাতাস বয়ে যাচ্ছে।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিভিন্ন রুটের ১০টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। দুটি ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে; ঢাকায় নামতে না পেরে অন্য জায়গায় নেমেছে তিনটি ফ্লাইট।
এছাড়া একটি ফ্লাইট ফেরত (রিটার্ন) গেছে বলে জানিয়েছেন এ বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম।
আবহাওয়া অফিস বলছে, উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে গভীর স্থল নিম্নচাপটি সোমবার সকাল ১০টার দিকে যশোর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছিল।
এটি আরো উত্তরপূর্ব দিক অগ্রসর হয়ে শক্তি হারিয়ে স্থল নিম্নচাপে এবং পরে লঘুচাপে পরিণত হবে। এক পর্যায়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে।
ঝড়ের বিপদ কেটে যাওয়ায় বন্দরের জন্য সংকেতও কমিয়ে এনেছে আবহাওয়া অফিস।
পায়রা ও মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাপিবদ সংকেত নামিয়ে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আর কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।