বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানির প্রতিকারে বিশেষ প্রশিক্ষণ

এই প্রশিক্ষণে যাত্রীসেবায় আমূল পরিবর্তনের আশা করা হচ্ছে।

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের সবগুলো বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি কমিয়ে সেবার মান উন্নত করতে বিশেষ প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

বিমানবন্দরে কর্মরত সব সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা পর্যায়ক্রমে এই প্রশিক্ষণ নেবেন।

বুধবার সিভিল এভিয়েশন একাডেমিতে ‘প্যাসেঞ্জার সার্ভিস অ্যান্ড ফ্যাসিলিটেশন’ নামের এই প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধন করেন বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।

শাহজালাল বিমানবন্দরে কর্মরত ২৪টি সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং ৩২টি বিমান সংস্থায় কর্মরত সদস্যরা এই কোর্সে অংশ নিচ্ছেন।

দুদিনের এই প্রশিক্ষণের প্রথম ব্যাচে শাহজালাল বিমানবন্দরে কর্মরত কাস্টমস, ইমিগ্রেশন, এপিবিএন, বিমানবন্দর স্বাস্থ্য, জাতীয় গোয়েন্দা নিরাপত্তা সংস্থা, এভসেক, বাংলাদেশ বিমানসহ বিদেশী বিমান সংস্থার মোট ৩০ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।

এই কোর্সে অংশগ্রহণকারীদের ‘সম্মানিত যাত্রী সর্বাগ্রে’-শিরোনামের একটি পদক এবং সনদপত্র দেওয়া হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেবিচকের চেয়ারম্যান বলেন, “বিমানবন্দরগুলোর দীর্ঘদিনের যাত্রী হয়রানির প্রতিকারকল্পে এই কোর্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশের সকল বিমানবন্দরে কর্মরত প্রতিটি সংস্থার সদস্যদের জন্য এই কোর্স পরিচালনা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বেবিচক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিমানবন্দরগুলোতে যাত্রীদের যাত্রা নিরাপদ, আনন্দময় ও নির্বিঘ্ন করে আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করার জন্য এই কোর্স ক্রমান্বয়ে পরিচালনা করে যাবে।”

অনুষ্ঠানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বিমানবন্দরে কর্মরত ৫৬টি সংস্থার দেড় হাজার সদস্যের জন্য এই কোর্সটি ধারাবাহিকভাবে পরিচালনার পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান সংস্থার (আইকাও) মানদণ্ড অনুসারে বেবিচকের পৃষ্ঠপোষকতায় অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকদের তত্তাবধানে এই কোর্সের পর যাত্রীসেবায় আমূল পরিবর্তন আসবে।