“অনেকে সাংবাদিক সেজে অপরাধ করে, কিন্তু প্রকৃত সাংবাদিক ও সাংবাদিক সেজে অপরাধ করার মধ্যে একটা পার্থক্য আছে,” বলেন তিনি।
Published : 14 Feb 2024, 10:50 AM
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন’ যেন সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে ব্যবহার না হয় সে বিষয়টি তিনি লক্ষ্য রাখবেন।
তিনি বলেন, “এক্ষেত্রে যেন একটা চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স থাকে সেটার ব্যবস্থা আমরা করব। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাইবার সিকিউরিটি আইন যেন সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে ব্যবহার না করা হয় সেদিকে আমি অবশ্যই লক্ষ্য রাখব।”
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) আয়োজিত 'সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে বিএফইউজে'র উপস্থাপন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন’ নিয়ে কথা কথা বলছিলেন আনিসুল হক।
তিনি বলেন, “অনেকে সাংবাদিক সেজে অপরাধ করে, কিন্তু প্রকৃত সাংবাদিক ও সাংবাদিক সেজে অপরাধ করার মধ্যে একটা পার্থক্য আছে। পার্থক্যটা যেন আমরা বুঝি। ৪২ ধারা থাকলেও একটা চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স থাকতে হবে। ৪২ ধারার অবারিত ক্ষমতা যেন কোনো ইনভেস্টিগেটিভ এজেন্সিতে না দিয়ে দেওয়া হয় সেটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে।“
পাঁচ বছর আগে সংসদে পাস হওয়া বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নাম বদলে ‘সাইবার সিকিউরিটি আইন করছে সরকার। অগাস্টের প্রথম দিকে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
সে সময় আইনমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, নাম বদলের সঙ্গে আইনের অনেকগুলো ধারায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
আনিসুল হক বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি পুরনো যে মামলাগুলোর ক্ষেত্রে মানহানির জন্য সাইবার সিকিউরিটি আইনে কোন কারাদণ্ড থাকবে না। বিজ্ঞ আদালতের ইনটেনশনের জন্য স্পষ্টিকরণ করতে চাই। যেটা আবার ৩৫ অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে আছে। পুরনো মামলায় ৫ লক্ষ টাকার অধিক জরিমানা দেওয়া যাবে না। এটা নিশ্চিত করার জন্য আমরা একটা বিধান চেষ্টা করছি।“
তিনি বলেন, “তার মানে হচ্ছে, পুরনো মামলায় সাজা দেওয়া যাবে না জেল-কারাদণ্ড এবং পাঁচ লাখ টাকার অধিক জরিমানা ধার্য করা যাবে না। এই জিনিসটা ব্যালেন্স করা হবে। আর অন্যগুলোতে খুব একটা সমস্যা হবে না। আমি দেখেছি এইটাই সমস্যা।“
বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে মহাসচিব দীপ আজাদের সঞ্চালনায় প্রস্তাব উপস্থাপন করেন বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)