এর আগে এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরানো হয় মতিউর রহমানকে।
Published : 04 Jul 2024, 09:28 PM
আদালতের আদেশে সম্পদ জব্দ ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ হওয়ার ঘটনায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর থেকে এবার সরানো হল কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালকে।
গত রোববার প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ফয়সালকে বগুড়া কর অঞ্চলের অধীন পরিদর্শী রেঞ্জ-১ এ বদলি করা হয়। বৃহস্পতিবার তাকে অবমুক্ত করে এনবিআর।
এনবিআরের আয়কর বিভাগের (ট্যাক্স লিগ্যাল ও এনফোর্সমেন্ট) প্রথম সচিব ছিলেন ফয়সাল।
সরকারি রাজস্ব আদায়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাটির সদস্য মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের বিপুল পরিমাণ সম্পদের তথ্য আসার আলোচনা ও তাকে সংস্থাটি থেকে সরিয়ে দেওয়ার মধ্যে ফয়সালের বিষয়টি সামনে আসে।
গত ২৭ জুন দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনে ঢাকার একটি আদালতের আদেশে আবু মাহমুদ ফয়সাল, তার স্ত্রী আফসানা জেসমিন এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিগণের নামে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর, বিক্রয় বা মালিকানা সত্ত্ব বদল রোধের জন্য ব্যাংক হিসাব, ব্যাংকে রক্ষিত সঞ্চয়পত্র ও নন ব্যাংকিং ফাইনান্সিয়াল প্রতিষ্ঠানের আমানতসমূহ থেকে অর্থ উত্তোলন অবরুদ্ধ এবং স্থাবর সম্পদ জব্দ হয়।
আদালতের আদেশের বোর্ড অফিস থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় ফয়সালকে।
ফয়সালকে বগুড়ায় পাঠানোর পর সেখানকার কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান নামে এক কর্মকর্তাকে বদলি করে এনবিআরের প্রথম সচিব (কর) হিসেবে পদায়ন করা হয়।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনে বলা হয়েছে, মাহমুদ ফয়সাল তার নিজ নামে ও তার স্ত্রী আফসানা জেসমিনের নামে ঢাকার জলসিড়ি আবাসন প্রকল্পে দুই কোটি ৩৫ লাখ ৬৫হাজার টাকা পরিশোধ করে ৫ কাঠার প্লট কিনেছিলেন।
অনুসন্ধান চলাকালে তারা জলসিড়ি আবাসন প্রকল্পের প্লট বিক্রি করে দেন। আরও সম্পদ বিক্রি করার চেষ্টা করছেন বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানতে পারার পর সেগুলো জব্দের আবেদন করা হয়।
দুদক মনে করছে, এসব সম্পত্তি তার আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন এবং সেগুলো ‘অপরাধলব্ধ’ কর্মের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে।
এর আগে এনবিআরের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে মতিউর রহমানকে সরিয়ে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সোনালী ব্যাংকে পরিচালকের পদও হারিয়েছেন তিনি।
মতিউর লাপাত্তা হয়ে গেছেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে, তিনি দেশ ছেড়েছেন, তবে কেউ নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছে না।
তবে দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনে মতিউর ও তার পরিবারের সব বিও হিসাব অবরুদ্ধ এবং তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।