রোববার বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
Published : 22 Sep 2024, 03:51 PM
চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসায়িক গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ এবং প্রতিষ্ঠানটির সব সম্পত্তি স্থানান্তর বা বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে করা রিটের প্রেক্ষাপটে দুদককে তদন্ত প্রতিবেদন বিষয়ে জানাতে বলেছে হাই কোর্ট।
রোববার বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রুকুনুজ্জামান গত বুধবার এ রিট দায়ের করেন।
রিট আবেদনে এই গ্রুপ এবং প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারহোল্ডার পরিচালক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সব স্থাবর সম্পত্তির তালিকা দাখিল করারও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন আবেদনকারী আইনজীবী মো. রুকুনুজ্জামান। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহীন আহমেদ।
শাহীন আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রিটকারীর শুনানির পর আদালত দুদকের পক্ষে শুনতে চান।
“আমরা বলেছি বিষয়টি এখন দুদক তদন্ত করছে। আদালত জানতে চেয়েছেন তদন্ত কোন পর্যায়ে আছে। আমরা বলেছি বিষয়টা দেখে বলতে এক সপ্তাহ সময় দিলে ভালো হয়। এরপর এক সপ্তাহ সময় রেখে আগামী রোববার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
“রোববার দুদককে তদন্তের অগ্রগতি বিষয়ে জানাতে বলেছেন আদালত,” বলেন তিনি।
বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে এস আলম গ্রুপের এ পর্যন্ত নেওয়া ঋণের পরিমাণ, সেগুলোর বর্তমান অবস্থা ও দায়, বিদেশে পাচার করা অর্থ ও সব স্থাবর সম্পত্তির তালিকা, সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিট আবেদনে।
আদালতের অনুমতি ছাড়া কোম্পানির পরিচালকসহ পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও চাওয়া হয়েছে আবেদনে।
এর আগে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এস আলম গ্রুপের শেয়ারহোল্ডার, পরিচালক ও অন্যান্য ব্যবসা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের গ্রহণ করা মোট ঋণের পরিমাণ, বর্তমান অবস্থা ও দায়সহ কয়েকটি বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ও ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর আইনি নোটিস পাঠিয়েছিলেন আইনজীবী মো. রুকুনুজ্জামান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ সচিব, আইন সচিব, দুদক চেয়ারম্যান ও এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে চট্টগ্রামভিত্তিক এই শিল্প গ্রুপটির নানা সুযোগ সুবিধা পায়। সাতটি ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে চলে যাওয়ার পর এক লাখ কোটি টাকার বেশি ঋণ নেওয়ার ঘটনা ঘটে।
প্রবল গণ-আন্দোলনে গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ থেকে ব্যাংকগুলোকে মুক্ত করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এস আলম গ্রুপের সম্পদ বিক্রি করে টাকা আদায়ের কথা বলেছেন।