“এই রকম বন্যায় চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের অন্যান্য রেললাইনেও পানি ওঠে,” বলেন মফিজুর।
Published : 10 Aug 2023, 08:38 PM
ভয়াবহ বন্যায় কক্সবাজারের পথে এক কিলোমিটারের মত রেলসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তা প্রকল্প উদ্বোধনে প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেছেন, “এই ক্ষতি আমাদের উদ্বোধনের সময়সূচিতে কোনো প্রভাব ফেলবে না। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার কাজ এক মাসের মধ্যে শেষ করা যাবে।
“আমাদের টার্গেট অনুযায়ী আমরা আগামী অক্টোবরের মধ্যে ঢাকা-কক্সবাজার রেল চলাচল উদ্বোধন করতে পারব। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন এখন ৮৭ শতাংশ।”
তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার বান্দরবানে ৫০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হওয়ায় পাহাড় থেকে হঠাৎ নেমে আসা বিপুল পানিতে বন্যার সৃষ্টি হয়। এতে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার তেমুহনী এলাকার প্রায় তিন কিলোমিটার রেলপথের ওপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হয়।
“আমরা আজ (বৃহস্পতিবার) পরিদর্শন করে দেখেছি- এর মধ্যে এক কিলোমিটারের মত রেলসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা শিগগিরই আমরা ঠিক করে ফেলতে পারব।”
দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার এই রেলপথ নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা।
প্রধানমন্ত্রীর সময় পাওয়া সাপেক্ষে সেপ্টেম্বরের শেষে বা অক্টোবরের শুরুতে রেলপথটি উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
পর্যাপ্ত সংখ্যক সেতু ও কালভার্ট না থাকায় চট্টগ্রামের লোহাগাড়া ও সাতকানিয়ায় পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হয়ে বন্যা পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করে বলে স্থানীয়দের অনেকেই অভিযোগ করছেন। কেউ কেউ বলছেন, বানের পানি রেলসড়কে বাধা পেয়ে তীব্র স্রোত তৈরি হওয়ায় বেশ কয়েকটি হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মফিজুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রকল্পের পরিকল্পনায় বা বাস্তবায়ন পরিকল্পনার কোনও ত্রুটির কারণে এই ক্ষতি হয়নি।
“প্রকল্পটিতে ১৪৫টি সেতু ও কালভার্ট করার কথা ছিল, কিন্তু বাস্তবায়ন পর্যায়ে আমাদের প্রয়োজন মনে হওয়ায় আমরা মোট ১৭৩টি সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ করে এই রেলসড়ক নির্মাণ করেছি।
“কিন্তু গত মঙ্গলবার এক রাতে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ায় তিন কিলোমিটার রেললাইনে পানি উঠেছে। তবে এখন পানি নেমে গেছে, চিন্তার কিছু নেই।”
কক্সবাজার রেলপথের প্রকল্প পরিচালকের ভাষ্য, “এই রকম বন্যায় চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের অন্যান্য রেললাইনেও পানি ওঠে। তখন রেললাইনের কিছু পাথর, মাটি সরে যায়। এই লাইনেও তেমনই পাথর আর কিছু মাটি সরেছে।
“এতে বড় ধরনের কোনও ক্ষতি হয়নি। আমাদের হাতে যে সময় আছে, তার মধ্যেই আমরা সেটা ঠিক করে ফেলতে পারব।”
তবে পানি পুরোপুরি না নামা পর্যন্ত আর্থিক ক্ষতি নির্ণয় করা যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।