‘মেগা সিটি’ ঢাকায় থাকা, অথচ টয়লেট তাদের জন্য এক দুঃখগাথা

ঢাকা শহরের প্রায় অর্ধেক মানুষের বাস বস্তিতে, যেখানে অর্ধশতের জন্য একটি টয়লেটও নেই। ফলে খোলা স্থানেও হয় মল-মূত্র ত্যাগ, তাতে স্বাস্থ্যুঝুঁকি বাড়ছেই।

শাহরিয়ার নোবেলবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Nov 2022, 08:02 PM
Updated : 12 Nov 2022, 08:02 PM

কখনও ভিক্ষা করে, কখনও কাগজ-প্লাস্টিক কুড়িয়ে জীবন কাটছে হাসনা বেগমের। সন্ধ্যা নামলে মাথা গোঁজেন ফুটপাত কিংবা ফুটব্রিজে। তাহলে টয়লেট সারেন কোথায়? প্রশ্ন শুনেই মাথা নিচু করে মুখ ঢাকলেন। বললেন, “দিনে পানিটানি কম খাই, না যাওনের লাইগ্যা। রাইতে আড়াল পাইলে ড্রেইনের দিকে যাই।”

হাসনার মতো ঢাকায় থাকা ছিন্নমূলদের নিয়ে করা এক গবেষণা ২০১৬ সালে প্রকাশিত হয়েছিল ‘জার্নাল অব ওয়াটার অ্যান্ড হেলথ’ এ। তাতে বলা হয়, খুব অল্প সংখ্যক ছিন্নমূল মানুষ পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করে থাকে। কারণ প্রতিবার টয়লেট ব্যবহার করতে গিয়ে তাদের ৫-১০ টাকা খরচ করতে হয়। যার ফলে তাদের বেশিরভাগই খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করছেন।

কিন্তু এই শহরেই আরেক দল মানুষ আছেন, যাদের থাকার জন্য একটি ঘর হলেও রয়েছে, স্বাস্থ্যসম্মত না হলেও টয়লেট রয়েছে, যদিও তা ব্যবহারের সুবিধা খুবই অপ্রতুল।

তাদের একজন রিকশাচালক আনোয়ার হোসেন, চারজনের পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন কড়াইল বস্তির এক খুপরি ঘরে। আনোয়ারের ওই বাসায় এমন ঘরের সংখ্যা ১০টি। সেখানে থাকেন সাত পরিবারের ২২ সদস্য। তাদের সবার জন্য শৌচাগার মাত্র একটি।

আনোয়ার বললেন, “সকালে সিরিয়ালে থাকন লাগে। কষ্ট অয় অনেক। কিছু করণের নাই। মানাইয়া লইছি।”

২০২০ সালে ওয়াটার ইন্টারন্যাশনাল সাময়িকীতে প্রকাশিত বিশ্ব ব্যাংক পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকার বিভিন্ন বস্তিতে ৯০ শতাংশ পরিবারকেই যৌথভাবে শৌচাগার ব্যবহার করতে হয়, যেখানে একটি শৌচাগার ব্যবহার করে গড়ে ১৬ পরিবার।

দিনে পানিটানি কম খাই, না যাওনের লাইগ্যা। রাইতে আড়াল পাইলে ড্রেইনের দিকে যাই।
ছিন্নমূল হাসনা বেগম

ঢাকার কয়েকটি বস্তি ঘুরে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এর জন্য স্থানের সংকট, সরকারি জায়গার বস্তিতে নজরদারির অভাব, ব্যক্তি মালিকানাধীন বস্তিতে ঘরমালিকদের পর্যাপ্ত শৌচাগার নির্মাণের মানসিকতা না থাকেই দায়ী। এসব বস্তিতে স্যানিটেশন নিশ্চিতে বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) কার্যক্রম চললেও সিটি করপোরেশনের তেমন উদ্যোগ নেই।

বস্তিবাসীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন নগর দরিদ্র বস্তিবাসীর উন্নয়ন সংস্থার (এনডিবাস) সভাপতি আব্দুল হামিদ ফকির বলেন, “যা আছে তা কোনোভাবেই যথেষ্ট না। সিটি করপোরেশনগুলো চাইলেই উদ্যোগ নিতে পারে।”

পল্লবী এলাকার এক বস্তির এ বাসিন্দার আক্ষেপ, “কাজের বেলায় আমাদের লাগে, কিন্তু অধিকার চাইতে গেলে আমাদের অবৈধ বলে, এইটা কোনোভাবেই মানবিক না।”

বিশ্ব ব্যাংকের তথ্য বলছে, সোয়া কোটি মানুষের ঢাকা শহরের ৪৭ শতাংশ বাস করে বস্তি এলাকায়। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়ন করতে হলে বাংলাদেশকে ২০৩০ সালের মধ্যে ৯০ শতাংশ মানুষকে স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ও পানি সুবিধার আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

ছিন্নমূল ও বস্তিবাসীদের বিদ্যমান স্যানিটেশন পরিস্থিতিতে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয় উল্লেখ করে দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক দিবালোক সিংহ বলেন, “সরকারকে এই খাতে বাজেট বাড়িয়ে ছিন্নমূল মানুষের জন্য মানসম্মত স্যানিটেশন নিশ্চিতের দিকে যেতে হবে।”  

‘আমগোরে দেখার কেউ নাই’

সম্প্রতি এক রাতে শাহবাগে যাত্রী ছাউনিতে শুয়ে পড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন মিজান নামের এক ব্যক্তি। কথায় কথায় জানালেন, ১৯৭৩ সাল থেকে রাস্তায় রাস্তায় জীবন কাটছে তার। টয়লেটের প্রসঙ্গ উঠতেই বললেন, “হাসপাতালের টয়লেটে যাই।”

“অনেকে আইয়া আপনের মতন বায়োডাটা নিয়া যায়, কিন্তু কিছু পাই না,” যোগ করলেন তিনি।

একই সুরে কথা বললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনের ফুটপাতে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিতে থাকা মোহাম্মদ আলী।

স্যানিটেশন সুবিধার আলাপ উঠতেই দুর্দশার কথা বলতে থাকলেন মহাখালীর কড়াইল বস্তির বাসিন্দা রিনা বেগম।

“ল্যাট্রিন তো পরের জিনিস, নিজের বাড়িঘর নদীতে গেছে। কোনোরকমে কাম কইরা এই শহরে বাঁইচা আছি। যা আছে তা দিয়াই চালাইতে হইবো। আপনের কাছে কইয়া লাভ নাই। আমগোরে দেখার কেউ নাই, কেউ কিছু দিবো না।”

আক্ষেপ প্রকাশ করে একই বস্তির গৃহবধূ লাভলী বেগম বললেন, “১২ ঘরে ২টা ল্যাট্রিন, আবার পানি আয়ে না, এইভাবে চলন যায় না। এইটা থাকার জন্য থাকা।”  

সরকারি জমিতে ঘর বানিয়ে তা ভাড়া দিয়ে থাকেন দখলদাররা। তারাই বাড়িওয়ালা হিসেবে পরিচিত বাসিন্দাদের কাছে। বেশ কয়েকজন বস্তিবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, স্যানিটেশন নিয়ে মাথাব্যথা নেই ‘বাড়িওয়ালাদের’,কেবল ঘর তুলে ভাড়া দেন।

শ্যামলীতে কল্যাণপুর খালের পাড় ধরে গড়ে ওঠা বস্তির এক সারিতে চোখে পড়ল ২৩টি ঘর। এর মধ্যে ২০ ঘরের জন্য টয়লেট আছে মাত্র একটি। সেখানকার অর্ধশতাধিক মানুষকে ওই একটি টয়লেটেই যেতে হয়। 

ওই বস্তির তিন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তারা ভাড়া দিলেও ঠিকঠাক পানি, টয়লেট সুবিধা পান না। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে, তখন সেই দলের নেতারা টাকা তোলে।

খালের ওপারের শেরেবাংলা নগর (বিএনপি বস্তি) বস্তির রিকশাচালক মো. ফারুক বলেন, “পাঁচ ঘরে ২৫-৩০ জনের একটা ল্যাট্রিন, এগুলা লইয়া কামড়াকামড়ি, ঝগড়াঝাঁটির শেষ নাই।” 

একই বস্তির বাসিন্দা রিনা বেগম বললেন, “মানুষ বেশি, জায়গা কম। লাগে তিনটা, আছে একটা; এইভাবে চলতাছে। কেউ জিগায় কেমনে আছি।”

বর্ষায় দুর্ভোগ ওঠে চরমে

সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের রাতের কথা বলতে গিয়ে শেরেবাংলা নগর বস্তির বাসিন্দা রোশনা বেগম বললেন, “ঝড়-তুফানের রাইতে ঘরে ঘরে পানি উঠছিল। সারারাত বইয়া ছিলাম, টয়লেট পানিতে ডুবা আছিল। টয়লেটের পানি, বর্ষার পানি সব আইয়া ঘরের ভিতরে ঢুকছে।”

তার পাশে দাঁড়ানো রিনা বেগম বলেন, “গু-মুতের পানি থেইক্যা বাঁচনের লাইগ্যা দুই কিলো দূরে মহল্লার ভিতরে সগনের (স্বজন) বাসায় আশ্রয় লইছিলাম।”

সাততলা বস্তি উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু ইউসুফ মৃধা বলেন, ”বৃষ্টির দিন সবার ঘরে পানি ওঠে। ল্যাট্রিনগুলার লাইন ভালোভাবে করা নাই। যে কারণে কোনটা কিসের পানি বোঝার কোনো উপায় থাকে না।”

বেশি অসুবিধায় নারী-শিশু

ছিন্নমূল মানুষ ও বস্তিবাসীদের যথাযথ স্যানিটেশন সুবিধা না থাকায় বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন নারী ও শিশুরা। এক টয়লেট এক ডজনের বেশি মানুষ ব্যবহার করায় নারীরা যেমন বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছেন, তেমনই শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়লে বেকায়দায় পড়তে হয় মায়েদের।

আজিমপুর এলাকায় ফুটপাতে থাকা সেলিনা বেগম বলেন, “পুরুষ লোকরা তো যেখানে ইচ্ছা খাড়াইয়া সারতে পারে। আমরার যত সমস্যা।” 

শেরেবাংলা নগর বস্তির গৃহবধূ মোছা. সুখী বলেন, “সকালে পুরুষ লোকেরা কাজে যায়, সিরিয়াল পড়ে। আমরা মেয়েরা তখন আর যেতে পারি না।”  

পুরুষদের ভিড়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ার কথা জানালেন সাততলা বস্তির আছিয়া খাতুন। তিনি বললেন, “মহিলা মানুষের কষ্ট বেশি, আমাদের অনেক চাইপা থাকন লাগে। এত পুরুষলোকের ভিড়ে তো আর আমরা যাইতে পারি না।”  

শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়লে রোগ নিয়ে মায়েদের যেমন দুশ্চিন্তার অন্ত থাকে না, তার সঙ্গে যোগ হয় বাচ্চার জন্য টয়লেট ব্যবস্থা নিয়েও।

কড়াইল বস্তির কুলসুম বেগম বলেন, “বাচ্চাদের ডায়রিয়া হইলে কঠিন সমস্যায় পড়ন লাগে। সবসময় তো আর বাথরুম খালি থাকে না।”

পর্যাপ্ত পানির অভাব এবং স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগারের অভাবে সমস্যা বাড়ে নারীদের ঋতু চলাকালে।

শেরেবাংলা নগর বস্তির রিনা বেগম বলেন, “আমার দুইটা বড়-বড় মেয়ে আছে, কী যে অসুবিধা হয়, তা কওনের মতন না।” 

যথাযথ স্যানিটেশন না পেলে স্বাস্থ্যের উপর যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে সে প্রসঙ্গে ব্র্যাকের রিজিওনাল কোঅর্ডিনেটর (ওয়াশ) নীলমনি সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট না থাকলে অনেক ধরনের রোগজীবাণু থাকে, যেগুলো তারা শরীরে বহন করে। ফিল্ডে কাজ করতে গিয়ে আমরা তাদের মধ্যে অনেক ধরনের খোসপাঁচড়া পাই।

“এর পাশাপাশি অনেক ধরনের পেটের পীড়া, পানি বাহিত রোগ যেমন ডায়রিয়া, কলেরা আমাশয় রোগী পাই। এর বাইরে নারীরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হোন। মাসিক চলাকালীন সময়ে পরিচ্ছন্ন টয়লেট না থাকায় তাদের জরায়ুর মুখে ঘা হয়। পাশাপাশি দীর্ঘক্ষণ চেপে রাখার ফলে দীর্ঘস্থায়ীভাবে কিডনিসহ শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের ক্ষতি হয়।”

বর্জ্য নিষ্কাশনেও উদ্যোগ নেই সরকারি সংস্থার

মহাখালীর কড়াইল ও সাততলা বস্তিতে পয়োবর্জ্য নিষ্কাশনে সরকারি উদ্যোগের অভাব দেখা গেল। কড়াইল বস্তিতে পয়োবর্জ্যের লাইনগুলোর সংযোগ দেওয়া হয়েছে ড্রেনে। অতিরিক্ত চাপে খুব অল্পদিনেই সেগুলো পূর্ণ হয়ে যায়।

কড়াইল বস্তির সবজি ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বলেন, “লাইনগুলা পুরা অইয়া যায়। প্রতি মাসে নিজেরা চাঁদা তুলে সাফ করা লাগে। সরকারি কিছু আসে না, যা করার নিজেরাই করা লাগে।”

সাততলা বস্তির অবস্থা আরও খারাপ। বস্তির ভেতরে অনেক জায়গায় ড্রেন না থাকায় ছোট ট্যাংকগুলো পূর্ণ হয়ে বর্জ্য রাস্তার ওপরে চলে আসে, তার ওপর দিয়েই মানুষকে চলাচল করতে হয়।

আর শেরেবাংলা নগর বস্তির পয়োবর্জ্য সরাসরি গিয়ে মিশছে কল্যাণপুর খালে।

দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের (ডিএসকে) উপপরিচালক অখিল চন্দ্র দাস বলেন, “জলাধারের উপর ঝুলন্ত যেসব বস্তি আছে, সেগুলোর অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। ধামালকোট, রায়েরবাজার, মিরপুর এলাকার বেশকিছু বস্তির অবস্থা খুবই নাজুক। এসব বস্তির পয়োবর্জ্য সরাসরি পানিতে মেশে।”

উত্তরণের পথ কী?

ছিন্নমূল ও বস্তিবাসীদের স্যানিটেশন নিশ্চিতে যেক’টি উদ্যোগ দেখা যায়, সেগুলোর বেশিরভাগ এনজিওকেন্দ্রিক। এনজিওগুলো ঢাকার বিভিন্ন বস্তিতে উন্নতমানের কিছু টয়লেট বসিয়েছে।

দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপপরিচালক অখিল দাস বলেন, “ডিএসকে ১৯৯৬ থেকে ওয়াটারএইডের সাথে বস্তিবাসীর পানি, স্যানিটেশন এবং পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কাজ করছে। এর আওতায় আমরা কমিউনিটি টয়লেট এবং সেপটিক ট্যাংক স্থাপন করছি।”

প্রকল্পের অধীনে উত্তর সিটির ২৭ বস্তির প্রায় দুই লাখ ৭৫ হাজার মানুষকে উন্নত স্যানিটেশনের আওতায় আনতে কাজ চলছে বলে জানান এই সংস্থার টেকনিক্যাল অফিসার এম রেজাউল করিম। 

সাততলা বস্তি উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু ইউসুফ মৃধা বলেন, “এনজিওরা চেষ্টা করতাছে। তাদের তুলনায় সিটি করপোরেশনের উদ্যোগ একেবারেই কম।” 

তবে বস্তিবাসীরা বলছেন, যারা একেবারেই হতদরিদ্র, তারা এনজিওর টয়লেট সুবিধাও পাচ্ছেন না। 

সাততলা বস্তির বাসিন্দা মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, “এনজিওর টয়লেটের জন্য জায়গা দেওয়া লাগে। আবার কিছু টাকাও জমা দেওয়া লাগে। যাদের এই সামর্থ্য নাই, তারা এই সুবিধাও পায় না।”

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান সমাজ কল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন-উল-হাসান বলেন, “সিটি করপোরেশনের তরফ থেকে এককভাবে কোনো প্রোগ্রাম চলে না। ইউকেএইডের অর্থায়নে ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের’ মাধ্যমে কিছু বস্তিতে উন্নতমানের শৌচাগার স্থাপনের কাজ করা হচ্ছে। সেখানে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করি।”

ইউকেএইডের এই কর্মসূচি ছাড়া দক্ষিণ সিটির তরফ থেকেও অন্য কোনো কার্যক্রম চলে না।

ঢাকা উত্তর সিটির সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “বস্তিগুলো কোনো না কোনো সরকারি দপ্তরের জায়গায় গড়ে ওঠে। বস্তি ওঠা নিয়ে আপত্তি না থাকলেও সিটি করপোরেশন সেখানে কিছু করতে গেলে আপত্তি আসে, ফলে কিছু করা যায় না।”

একেবারে ছিন্নমূল মানুষের স্যানিটেশন নিয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপসচিব (সামাজিক নিরাপত্তা) মুহাম্মদ শাখীর আহম্মদ চৌধুরী বলেন, “এটা আমার নোটসে রইল। আমরা কিছু পাবলিক টয়লেট স্থাপনের কাজ হাতে নিয়েছি। এ ব্যাপারে আমাদের সরকারি অর্থায়ন আছে। অধিদপ্তরের উদ্যোগেও ১৫-১৬ টা টয়লেট আমরা দিয়েছি। অবস্থা উন্নয়নে যত দ্রুত সম্ভব আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।”