মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিতদের মধ্যে ৭৪ জনের কাগজপত্র সঠিক পাওয়া গেছে। ৪৯ জন আসেননি। সে হিসাবে ১১৯ জন প্রার্থী বাদ পড়েছে।
Published : 31 Jan 2025, 12:15 AM
মেডিকেলে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত মুক্তিযোদ্ধা কোটার যে ১৯৩ জনকে যাচাই বাছাইয়ের জন্য ডাকা হয়েছিল, তাদের মধ্যে বাদ পড়েছেন ১১৯ জন।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বৃহস্পতিবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, যাচাই বাছাইয়ের জন্য যাদের ডাকা হয়েছিল, তাদের অনেকে আসেননি। নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ‘প্রমাণ করে পারেননি’ অনেকে।
“নীতিমালা অনুাযায়ী এই কোটা রাখা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য। ১৯৩ জনের মধ্যে একটা বড় সংখ্যক (৪৯ জন) অনুপস্থিত ছিল। যারা উপস্থিত হয়েছে, তাদের অনেকেই নাতি, নাতনি এমন ছিল। ফলে তারা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হওয়ার ক্রাইটেরিয়া পূরণ করতে পারেনি। তারা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান না, প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।”
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিতদের মধ্যে ৭৪ জনের কাগজপত্র সঠিক পাওয়া গেছে। ৪৯ জন আসেননি। সে হিসাবে ১১৯ জন প্রার্থী বাদ পড়েছে।
“আমরা যাচাইবাছাই করে ৭৪ জনের কাগজপত্র সঠিক পেয়েছি। তবে আরও যাচাইয়ের জন্য ওই ৭৪ জনের কাগজপত্র জেলা পর্যায়ে পাঠানো হবে। এছাড়া ৪৯ প্রার্থী আসেননি। মজার বিষয় হল প্রথম দিন অনুপস্থিত প্রার্থীর সংখ্যা কম ছিল, দ্বিতীয় দিন তা বেড়েছে, তৃতীয় দিন অনুপস্থিত প্রার্থীর সংখ্যা আরও বেড়েছে।”
নাজমুল হোসেন বলেন, ৭৪ প্রার্থী যদি এ কোটায় মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পান, তাহলে তা হবে মোট ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর ১ দশমিক ৪ শতাংশ।
“প্রাথমিকভাবে ৫,৩৭২ জন নির্বাচিত হয়েছে। যাদের তথ্য সঠিক পেয়েছি ফারদার ইনভেস্টিগেশনে তাদের কেউ বাদ পড়তে পারে। আবার যারা আসেনি তাদের কেউ রোববার আসতে পারে।”
গত ১৯ জানুয়ারি ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।
দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে ৫,৩৭২ জন নির্বাচিত হন, যাদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটার ১৯৩ জন ছিলেন।
কম নম্বর পেয়েও ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন- এই যুক্তিতে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করছেন কেউ কেউ। প্রকাশিত ফলকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে রোববার রাতেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের একদল শিক্ষার্থী। তারা ফল বাতিলেরও দাবি তোলেন।
এরপর ওই ১৯৩ জনের ফল স্থগিত করা হয়। সেদিন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. রুবীনা ইয়াসমীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “আমরা তাদের কাগজপত্র যাচাই করব। সেজন্য কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। ২৭, ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি- এই তিনদিন তারা সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে মন্ত্রণালয়ে আসবে।
“সন্তান ছাড়া অন্য কেউ এই তালিকায় রয়ে গেছে কি না তা আমরা যাচাই করব। যদি সন্তান ছাড়া অন্য কেউ লিস্টে থাকে, তাহলে তার স্থান পাওয়ার কোনো সুযোগই না।”