“সবাই সবকিছু জানে তবুও কোনোভাবেই থামছে না ভয়ঙ্কর মানব পাচার।”
Published : 12 Feb 2024, 08:32 PM
দেশের সীমান্তবর্তী চার জেলার ১০টি পয়েন্ট মানবপাচারের রুট হিসেবে চিহ্নিত হলেও কোনোভাবেই পাচার থামছে না বলে উল্লেখ করে এ বিষয়ে দ্রুত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
সোমবার সংসদের অধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “পাচারের রুট চিহ্নিত। সবাই সবকিছু জানে তবুও কোনোভাবেই থামছে না ভয়ঙ্কর মানব পাচার। সীমান্তবর্তী চার জেলার ১০ পয়েন্টেই দীর্ঘদিন ধরেই চলছে পাচারের মতো জঘন্য কর্মকাণ্ড।
“অপেক্ষাকৃত নিরাপদ হওয়ায় নারী-শিশু পাচারের জন্য এসব পয়েন্ট বেছে নিচ্ছে পাচারকারীরা। অন্যদিকে সীমান্ত এলাকায় অভিযান নিয়ে মাঝে মধ্যেই বিবাদে জড়িয়ে পড়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। আর সেই সুযোগ নিচ্ছে পাচারকারীরা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়াও ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতা ও জনপ্রতিনিধি পাচারকারীদের সাথে জড়িত।”
তিনি বলেন, পুলিশ সদর দপ্তরের বরাত দিয়ে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচি জানিয়েছে, ২০০৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পাচারের ঘটনায় দেশ ও দেশের বাইরে ৬,৭৩৫টি মামলা হয়। মামলাগুলোর ভুক্তভোগীর সংখ্যা ছিল ১২ হাজার ৩২৪ জন। গত ১২ বছরে ভারতে পাচার হওয়া ২ হাজার ৫০ জনকে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
সীমান্তবর্তী জেলা যশোরের বেনাপোল, পুটখালী, সাদীপুর, শিকারপুর, কৈজারি, বৈকারি, ভোমরা, কলারোয়া, কাকডাঙ্গা ও ঝিনাইদহের কয়েকটি পথকে মানবপাচারের রুট হিসেবে তুলে ধরেন জাপা মহাসচিব।
নারী ও শিশু পাচারে জড়িতরা ছাড় পাবে না: বিজিবি মহাপরিচালক
চুন্নু বলেন, “আইনে আছে সীমান্তের ৮ কিলোমিটারের মধ্যে বিজিবি চাইলে অপারেশন করতে পারে, পাচারকারীদের ধরতে পারে। পুলিশ তো যেকোনো জায়গায় যেতে পারে।
“কিন্তু যখন পুলিশ ধরতে যায় সীমান্তে ৮ কিলোমিটারের মধ্যে তখন আবার বিজিবি পুলিশকে বাধা দেয়। পুলিশ এবং বিজিবির মধ্যে কোনো সমন্বয় নাই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলব, বিষয়টি খুব গুরুতর অপরাধের বিষয়। এ বিষয়ে যদি সরকার সচেতন না হয়, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে নিরীহ মানুষ যাবে কোথায়?”
এর আগে বিকালে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।